বর্তমানে এই সময়ে আমাদের অফিস বা বাসা এই দুই জায়গাতেই নিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে যাদের বাসায় ছোট্ট বাচ্চা আছে, তাদের নিরাপত্তায়। অথবা বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও গেলে সেই নিরাপত্তায় বা অফিসে কর্মচারী পর্যবেক্ষণে দিন দিন বেড়েই চলেছে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার। বাজার থেকে এসব হোম সিকিউরিটি সিস্টেম কিনতে গুনতে হবে অনেক টাকা। কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার পুরনো ফোনটাই হতে পারে আপনার ঘরের স্মার্ট সলিউশন।
আসুন জেনে নেই, কিভাবে আপনি পুরানো ফোনটিকে পরিণত করবেন সাশ্রয়ী হোম সিকিউরিটি ক্যামেরায়-
কোন ফোনটি বাছাই করবেন?
Android 5.0 বা iOS 10 ও তার উপরের যেকোনো ফোন চলবে।
ক্যামেরা সচল থাকতে হবে।
WiFi সংযোগ থাকতে হবে।
যদি ফোনের ব্যাটারি দুর্বল হয়, তাহলে চার্জে রেখে চালানোই উত্তম।
সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাপ ইনস্টল
Alfred Camera হলো এমন একটি অ্যাপ, যা অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোন উভয় প্ল্যাটফর্মেই কাজ করে। এটি দিয়ে আপনি লাইভ ভিডিও দেখতে পারবেন, মুভমেন্ট ডিটেকশন পাবেন, অ্যালার্ট পাবেন, অডিও কমিউনিকেশন করতে পারবেন এবং ভিডিও ক্লাউডে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
ব্যবহারবিধি
নতুন ও পুরনো দুই ফোনে Alfred অ্যাপটি ইনস্টল করুন।
নতুন ফোনে Viewer, আর পুরনো ফোনে Camera নির্বাচন করুন।
উভয় ফোনে একই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
Android ব্যবহারকারীরা পাবেন বাড়তি সুবিধা
ভিডিও রেজোলিউশন সেটিং,
পাসকোড লক,
অটো রিস্টার্ট অপশন,
Viewer ফোন থেকেই নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ, ক্যামেরার নামকরণ, ট্রাস্ট সার্কেল সেটআপ, সেন্সিটিভিটি কনফিগার করা ইত্যাদি।
বিকল্প অ্যাপস
Faceter – সহজ সেটআপ ও ক্লাউড সংরক্ষণ সুবিধা
EpocCam – কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য উপযোগী
iVCam – কাস্টমাইজেশন ফিচারসহ ক্যাম সফটওয়্যার
উপযুক্ত স্থানে ক্যামেরা সেট
যে স্থানটি আপনি নিরাপদ রাখতে চান, যেমন:
প্রধান দরজা,
বারান্দা,
মূল্যবান সামগ্রীর আশপাশ,
সেই জায়গার দিকে ফোনটি তাক করে রাখুন।
একাধিক ফোন থাকলে মাল্টিপয়েন্ট কভারেজও সম্ভব।
ক্যামেরা মাউন্ট ও পাওয়ার সংযোগ দিন
ফোনকে ট্রাইপড, কার মাউন্ট বা ওয়াল হোল্ডার দিয়ে স্থাপন করুন
চাইলে ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করুন
ফোনটি সবসময় পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাছাকাছি রাখুন
চার্জিং কেবল দীর্ঘ হলে ভালো হয়
সতর্কতা
ফোন গরম হওয়ার মতো স্থানে, যেমন হিটারের পাশে বা রোদে, রাখবেন না
অতিরিক্ত তাপ ফোনের ব্যাটারি ও লেন্সের ক্ষতি করতে পারে
নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে করণীয়
পুরনো ফোন থেকে ব্যক্তিগত ডেটা মুছে ফেলুন।
সফটওয়্যার আপডেট রাখুন, যতদিন সম্ভব।
নিরাপত্তার মেয়াদ শেষে ফোনটি রিসাইকেল করুন।