বর্তমানে গুগল ফটোজ শুধুমাত্র গ্যালারি বা ব্যাকআপ সেবায় সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ স্টোরেজের বাইরে অ্যাপটিতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট সার্চ, এডিটিং টুলসহ নানান সুবিধা।
আসুন জেনে নেই, গুগল ফটোজের আর কি কি সুবিধা আছে…
কিউআর কোড দিয়ে দ্রুত অ্যালবাম শেয়ার _
নির্দিষ্ট ই-মেইল বা ফোন নম্বর ব্যবহার করে শেয়ার করার বদলে এখন ব্যবহারকারীরা সহজেই কিউআর কোড তৈরি করতে পারেন। এতে বড় কোনো গ্রুপে ছবি ও ভিডিও ভাগাভাগি করে নেয়া আরো সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। কেবল কোড স্ক্যান করলেই যে কেউ অ্যালবাম দেখতে পাবে।
ছবি খুঁজতে স্থানের নাম কিংবা কিওয়ার্ড সার্চ _
নির্দিষ্ট তারিখ মনে না থাকলেও সার্চ ট্যাবে কেবল স্থান বা কিওয়ার্ড লিখলেই ছবিগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। জায়গার নাম যেমন শ্রীমঙ্গল কিংবা বান্দরবান, অথবা সাধারণ বর্ণনা যেমন সমুদ্রসৈকত, পাহাড় কিংবা জঙ্গল লিখলেই মিলিয়ে যাবে ছবি।
মানচিত্রে খুঁজে নিন ভ্রমণের স্মৃতি _
অ্যাপের কালেকশন> প্লেসেস অপশনে গিয়ে ব্যবহারকারীরা ভ্রমণ করা শহরগুলোর তালিকা এবং প্রতিটি শহরে কতগুলো ছবি বা ভিডিও সংরক্ষিত আছে তা দেখতে পারবেন। নির্দিষ্ট শহরে ট্যাপ করলে ভ্রমণের সব স্মৃতি একসঙ্গে দেখা যাবে।
গুগল লেন্স দিয়ে ছবির ভেতরের তথ্য উন্মোচন _
এর সাহায্যে অচেনা স্থাপনার নাম খুঁজে বের করা, পণ্যের তথ্য জানা কিংবা ছবিতে থাকা ঠিকানা বা ই-মেইল কপি করা সম্ভব। ব্যবহারকারীরা কেবল ছবি খুলে নিচে থাকা লেন্স আইকনে ট্যাপ করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তথ্য পাওয়া যাবে হবে।
ভিডিওতে পছন্দমতো গান যোগ করা _
এ অ্যাপের ওপরের প্লাস আইকনে ট্যাপ করে ‘হাইলাইট ভিডিও’ নির্বাচন করলে ভিডিওতে গান যুক্ত করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে একক ভিডিও বা একাধিক ক্লিপও বেছে নেয়া যায়। সব শেষে ‘ক্রিয়েট’ অপশন চাপলেই ভিডিও তৈরি হয়ে যাবে।
এক ট্যাপে ফোনের জায়গা খালি করা _
অ্যাপের প্রোফাইল আইকনে ট্যাপ করে ‘ফ্রি আপ স্পেস অন দিজ ডিভাইস’ নির্বাচন করলে লোকাল স্টোরেজ খালি করা যায়। এক্ষেত্রে গুগল ফটোজ দেখাবে কোন ছবি ও ভিডিও ক্লাউডে বেকআপ আছে এবং ফোন থেকে মুছে ফেলা যাবে।