Sunday 07 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ই-সিম ব্যবহার করছেন? সতর্ক হোন এখনই!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০৩

অনেকেই এখন ই-সিম ব্যবহার করছেন। দিন দিন আরো ধীরে ধীরে দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-সিম। এমনকি অনেক ফোন এবং স্মার্টওয়াচেও ই-সিম ব্যবহারের অপশন আছে। গুগল ঘোষণা দিয়েছিল তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকবে না আর সিম স্লট।

অনেকেই হয়তো ই-সিম কী বুঝতে পারছেন না। আসুন জেনে নেই ই-সিম কী এবং এর ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধাগুলো…

ই-সিম হচ্ছে ফোনে ইনস্টল করা ভার্চুয়াল সিম। ই-সিমের পুরো নাম এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল। এটি ফিজিক্যাল সিম কার্ডের মতো নয়। আপনি একটি ই-সিম কিনলে কলিং ও মেসেজিংসহ সব কাজই করবে। তবে আপনাকে এটি ফোনে রাখতে হবে না। এটি টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে ওভার-দ্য-এয়ার সক্রিয় থাকে। তবে ই-সিম ব্যবহারের যেমন রয়েছে অনেক অনেক সুবিধা তেমনি আছে অসুবিধা।

বিজ্ঞাপন

ই-সিমের সুবিধা _

* ই-সিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি যদি সিম কোম্পানি পরিবর্তন করেন। তবে আপনাকে সিম কার্ড পরিবর্তন করতে হবে না। এমনকি ফোন ভিজে গেলেও এ সিমের কোনো সমস্যা হবে না। বারবার খোলার ঝামেলাই যেহেতু নেই, তাই এ সিম নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা নেই।

* এছাড়া একই সঙ্গে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সিম কিনতে হবে না। তবে ই-সিমের নম্বর নিতে হবে। একসঙ্গে এক ফোনে পাঁচটি পর্যন্ত ই-সিম ব্যবহার করা যাবে। তবে তিনটির বেশি হয়তো ব্যবহারকারীকে দেওয়া হবে না।

* ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন অন্য দেশে গিয়েও। এ সিম সেখানে কাজে লাগবে লোকাল নম্বর পেতে। ই-সিম কার্ড বা ফ্ল্যাগশিপ ফোন আপনি সহজেই ওয়াক এবং পার্সোনাল আলাদা করতে পারবেন।

* এছাড়া আপনি চাইলেই এক ফোন থেকে অন্য ফোনে ই-সিম স্থানান্তর করতে পারবেন না। যেমন একটি স্মার্টফোন নষ্ট হলে বা নতুন স্মার্টফোন কিনলে চাইলেই সিম পরিবর্তন করতে পারবেন না।

* ই-সিম খুলে ফেলা যায় না, তাই চুরি হওয়া ডিভাইস ট্র্যাক করা সহজ হয়। অপরাধীরা সহজে সিম ফেলে দিতে পারে না। ফলে চুরি যাওয়া ফোন ট্র্যাক করা সহজ হয়।

ই-সিম ব্যবহারের অসুবিধা _

* যেহেতু এক ফোন থেকে অন্য ফোনে ই-সিম সরাসরি স্থানান্তর করা যায় না। নতুন ফোনে নতুনভাবে একটিভেশন করতে হয়। তাই ফোন বদলানো বেশ ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে।

* একাধিক নম্বর ব্যবহারেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। একাধিক ই-সিম সংরক্ষণ করা গেলেও সবগুলো একসঙ্গে সক্রিয় রাখা যায় না। কল আসলে এক সিম ব্যতীত অন্যগুলো বন্ধ থাকতে পারে।

* এখনও সব ফোনে নেই ই-সিম সাপোর্ট। অর্থাৎ সব স্মার্টফোনে এখনোই ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন না। সাধারণত আইফোন, গুগল পিক্সেল, স্যামসাং, অপো বা সোনির উচ্চমানের মডেলগুলোতেই ই-সিম সুবিধা রয়েছে।

ই-সিম ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত _

* অপরিচিত নমবার থেকে আসা কল বা বার্তার জবাব দেওয়া যাবে না।

* সন্দেহজনক কোনো উৎস থেকে আসা বার্তায় লিঙ্ক থাকলে তাতে ক্লিক করা উচিত নয়।

* ই-সিম সক্রিয় করার অনুরোধ অবশ্যই কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য মোবাইল স্টোরে গিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

* ফোনে হঠাৎ নেটওয়ার্ক না পাওয়া গেলে অবিলম্বে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং সম্ভাব্য পেমেন্ট বা টাকা উত্তোলন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সারাবাংলা/এনএল/এএসজি

ই-সিম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর