Saturday 18 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুপ্তচরদের কৌশলী জুতা!

ফারহানা নীলা
১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৭

যুদ্ধের মাঠকে বড় বড় মিনিয়েচারের বোর্ড মনে করুন— টুকরা টুকরা সৈন্য, কৌশল, পরিকল্পনা। কিন্তু সেই প্যাগোডার নিচে একেবারে খাটো-খাটো রহস্যও থাকে: যেমন— একজোড়া জুতা। হ্যাঁ, আপনি ঠিক পড়ছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গুপ্তচররা যখন রোমাঞ্চকর কাজ করত, তাদের এক হাতে ছিল কম্পাস, আর অন্য হাতে থাকা জুতোটা ছিল— হয়ত একটু মজার, কিন্তু কাজের।

প্রতিবেশী দেশের আকাশযান আর ট্যাংকের গর্জন যতই ভয় দেখাক, গুপ্তচররা তাদের মিশন চালিয়ে নিত কারিগরির ছোট্ট কৌশলে। আর সেই কৌশলের মজারতম নাম হলো: পায়ের ছাপ ফাঁকি দেওয়া। কল্পনা করুন— রাতের অন্ধকারে আপনি চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছেন, কিন্তু পেছন থেকে শত্রু আপনার ছাপ দেখে বলে বসে, ‘আরে, এই দলটা ওই দিকে গিয়েছে।’ আর আপনি তখন সোজাসুজি উল্টো দিকে বেয়ে চলে যাচ্ছেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শত্রু-পালু স্মার্টফোনে লোকেশন শেয়ার করলেই তো আপনি ট্রোল খেতেন— কিন্তু তখনকার দিনে ছিল শুধু মাটি, চিহ্ন আর এক জোড়া হাস্যকর কিন্তু কার্যকর জুতা।

বিজ্ঞাপন

কী রকম জুতা ছিল— এটা ইতিহাসবিদদের এক চিমটি জিজ্ঞাসা ঘাড়ে রেখে দিয়েই যায়। কাহিনীর মতে, কেউ বলেছে—জুতার সোল এমনভাবে কাটা হত যাতে ছাপটা একদমই অদ্ভুত দেখায়; কেউ বলে, পশুর পায়ের মত ছাপ তৈরি করা হত যাতে শত্রু ভেবেই বসে ‘আহা, রাজপথে কোনো পশুচিহ্ন আছে, গুপ্তচররা নিশ্চয় ঐদিকে!’ আবার কেউ বলেছিল— জুতার তলায় এক ধরণের কৌশল থাকত, যাতে ছাপের গভীরতা বদলে দেয়ার মতো কিছু মেকানিজম ছিল। ঘটনাগুলো শুনলে মনে হবে— অ্যাটেনশন গ্র্যাবিং ট্রিক কোন কমেডি শো থেকে উঠানো!

হাস্যকর হলেও, এই কৌশলের পিছনে ছিল বাস্তব কারণ। যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে ওঠে বিভ্রান্তি। শত্রুকে ভুল পথে পাঠানো মানেই সময় জেতা— আর সময় বাঁচলে, হিট-অ্যান্ড-রান, তথ্য সংগ্রহ বা কুখ্যাত ব্যাকস্ট্যাবিং সবই সম্ভব। একটু বুদ্ধি আর বহু কৌতুক—মিশলে তৈরি হয় এমন কৌশল, যা ইতিহাসের ভারি বইতে বড় করে লেখা না গেলেও মিশন সফল করতে সাহায্য করেছিল।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার? এখানেই রয়েছে মানুষের কৌতূহল ও সৃজনশীলতার জ্বলজ্বলে চাখা। যে অহেতুক জিনিসকে আমরা দৈনন্দিন ভাবি— একটি জুতা— ওইটাই যখন রূপ নেয় একটি কৌশলের প্রতীক, তখনই দেখা যায় কিভাবে ‘ছোট’ থেকে ‘বৃহৎ’ রূপান্তর ঘটে। কখনও কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্তগুলোই আসলে ছোট ছোট কাণ্ডের এক ঝাঁকুনির ফল—আরোহণের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে কৌতুক আর কৌশল।

তবে আমাদের ইতিহাস-রসিকেরা সতর্ক করবে—সব গল্পই হয়তো পুরোপুরি সত্য নয়। কিছুয়েকটাকে লোককাহিনী বলেই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও এই গল্পগুলোই নিজেদের মধ্যে কথা বলে—মানুষ বিপদে পড়ে কিভাবে হাস্যরসের পোঁতা কৌশলও কাজে লাগায়। ‘Info: Next gen science’ না পড়েও বুঝা যায়—ইনোভেশন সবসময় মহৎ জিনিসের সঙ্গে নয়; কখনো সেটা আনে একটুখানি মজা আর কার্যকর কৌশল।

আজকের দিনে, যখন আমরা গহন প্রযুক্তি আর ড্রোন নিয়ে কথা বলি, তখনও সাবধান হয়ে থাকা দরকার—বুদ্ধি আর রসিকতায় ভরা ছোট কৌশলগুলো বড় আর বড় প্রযুক্তির মাঝেই লুকিয়ে থাকতে পারে। হয়ত কোনো গবেষক ভবিষ্যতে দাঁড়িয়ে বলবে, ‘শুধু AI-ই নয়—এক জুতা থেকেই আমরা শেখা পেয়েছি কিভাবে স্লিপার-ট্রিক কাজ করে।’ আর তখন আমরা হেসে বলবো—কি জানি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সারা বিশ্বের জন্য বড় ইতিহাস বয়ে আনলো, আর আমাদের জন্য কিচ্ছু হাস্যরস।

শেষে একটি চিন্তা রেখে যাই—আপনি যদি পরদিন সকালে হাঁটতে গিয়ে কোনো অদ্ভুত ছাপ দেখেন, হাসবেন না—হয়ত সেটার পেছনে লুকিয়ে আছে ইতিহাসের এক ছোট কিন্তু কার্যকরী কৌশল। তাই জুতা বদলে নিন, ছাপ বদলান, আর হয়ত একদিন আপনি নিজেই একটি জুতা-কাহিনী গল্পে পরিণত হবেন!

সারাবাংলা/এফএন/এএসজি
বিজ্ঞাপন

গুপ্তচরদের কৌশলী জুতা!
১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৭

আরো

সম্পর্কিত খবর