রংবৃত্ত
১২ জুলাই ২০১৮ ১৪:৪৪
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
রংধনুর কথা আমরা জীবনে কতই না শুনেছি, দেখেছি। এমনকি স্কুলের পাঠ্য বইয়ে রংধনু কীভাবে তৈরি হয় এই বিষয়ে একদম হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়।
তবে রংধনু যদি বৃত্তাকারে হয় সেটাকে কী বলা যায়? পূর্ণবৃত্ত রংধনু? কিন্তু ধনুক যদি পূর্ণবৃত্তের হয় তা আর কীভাবে ধনুক হয়? পূর্ণ বৃত্ত হলে তার নাম হতে হবে রংবৃত্ত।
রংবৃত্ত একটি বিরল আলোক ভ্রম। আজকে ঢাকার আকাশে দেখা গেছে এই বিরল আলোক ভ্রম। একদম বেলা ১২টায় যখন আকাশের ঠিক চূড়ায় সূর্যটা ছিল তখনই সূর্যকে ঘিরে দেখা যায় একটা পূর্ণবৃত্ত রংধনু।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে তৈরি হলো এই রংবৃত্ত? রংধনু তৈরির যা কলাকৌশল ঠিক একই কলাকৌশলে তৈরি হয়েছে এই রংবৃত্তও। সূর্যের আলো সাধারণত ১৮০ ডিগ্রি কোণে বৃষ্টির ফোটার উপরে পরে সাদা আলোর বিভিন্ন প্রতিসরণ কোণের জন্য রঙ আলাদা হয়ে যায়। ৪৫ ডিগ্রিতেও তা হয়। এই রংধনু ঠিক একই কারণে দেখা গেলো।
শুধু নিচ থেকে উপরে দেখতে পারার কারণ ধূলিকণা যার উপরে আলোগুলো পড়েছে। আমরা আসলে শুধু আলো দেখিনি, দেখেছি ধুলার উপরে পড়া আলো।
এই ধূলিকণাগুলো আসলে ‘সিরাস’ ধরণের মেঘ। এগুলো এতই সূক্ষ্ম যে খালি চোখে আমরা দেখতেই পাইনি। এই রংধনুর আরেক নাম হচ্ছে হালো বা সান হালো। আমরা বরং একে একটা সহজ নামে ডাকি, রংবৃত্ত।
সারাবাংলা/এমএ
ছবি কৃতজ্ঞতা- শাহরিয়ার হক, আরাফাত সেতু, বিপ্লব চন্দ্র, উম্মে হাবীবা