আজ ১৩ নভেম্বর, বিশ্ব সদয়তা দিবস। এক দিন, যখন আমরা সবাইকে ছোটো ছোটো সদয় কাজ করার জন্য উৎসাহিত করি। তবে, এই দিনটি শুধু বড় বড় কাজের জন্য নয়— ছোটো হাসি, বন্ধুর প্রতি সহমর্মিতা, বা কারো জন্য দরজা খোলা— সবই গণ্য।
সদয়তা: কতটা ছোট, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ
সদয়তা মানে বড়ো দান নয়। সকালে কাউকে হাসি দেওয়া, বাসে কারো জন্য জায়গা খালি রাখা, বা অফিসে সহকর্মীকে ‘শুভ সকাল’ বলা— এসবই সদয়তার ছোটো উদাহরণ। বিজ্ঞানও বলে যে, এই ছোট কাজগুলো আমাদের মন ভালো রাখে।
মজারভাবে সদয়তা
আপনি চাইলে এই দিনে মজারভাবে সদয়তা দেখাতে পারেন। যেমন-
বন্ধুর চায়ের কাপের পাশে একটা হাসির নোট রেখে দেওয়া।
অফিসে কারো ডেস্কে ছোট্ট ‘আপনি দারুণ!’ স্টিকার লাগানো।
পোষা প্রাণীর জন্য নতুন খেলনা কিনে দেয়া এবং ছবি বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করা।
কল্পনাশক্তি ব্যবহার করুন।
সদয়তা মানেই শুধু মানুষকে সাহায্য নয়। আপনি চাইলে কল্পনাশক্তি ব্যবহার করে মজার কিছু করতে পারেন। যেমন –
পাড়ার ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য হঠাৎ করে গল্পের সময় আয়োজন করা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘Random Acts of Kindness Challenge’ চালু করা।
বন্ধুদের জন্য হঠাৎ করে চকলেট বা ক্যান্ডি পাঠানো।
সদয়তার চেইন তৈরি করুন
একজনের সদয়তা অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে। এই দিনে চেষ্টা করুন এক ধরনের চেইন তৈরি করতে। যদি আপনি কাউকে ছোটো সহায়তা দেন, তারা হয়তো অন্য কারোর সাহায্য করবে। এমনকি এই চেইন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হতে পারে!
ছোটো চেষ্টা, বড়ো প্রভাব
বিশ্ব সদয়তা দিবস মনে করিয়ে দেয়, যে ছোটো সদয়তা সমাজে বড়ো প্রভাব ফেলে। একটি হাসি, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ শব্দ, বা সাহায্যের হাত বাড়ানো—এসবই একরকম ‘সুখের ডোমিনো’ তৈরি করে।
আজকের চ্যালেঞ্জ
আজ ১৩ নভেম্বর, কমপক্ষে তিনজনকে আপনার ছোটো সদয়তা দিয়ে আনন্দিত করুন। দেখবেন, এই ছোট কাজগুলো কত আনন্দ নিয়ে আসে!