Sunday 16 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুরের সঙ্গী ক্ল্যারিনেট

ফারহানা নীলা
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৩

ক্ল্যারিনেট, সঙ্গীতের এক অনন্য বাদ্যযন্ত্র। ছোট্ট কাঠের দেহ, বাঁশের মূলো, আর সোনালি ধাতুর কী। এটি শুধু জাজ বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে নয়, বরং আধুনিক পপ, ফোক, এবং এমনকি ফিল্ম সঙ্গীতেও এক অনন্য ছাপ রাখে। প্রতি ১৬ নভেম্বর সারা বিশ্বে পালিত হয় ক্ল্যারিনেট দিবস, যাকে উৎসর্গ করা হয়েছে এই বাদ্যযন্ত্রের জন্য।

ধ্বনির জাদু

ক্ল্যারিনেটের ধ্বনি নরম থেকে প্রাণবন্ত, সুমধুর থেকে হাস্যকর—সব ধরনের আবেগ প্রকাশে সক্ষম। ছোট্ট বাদ্যযন্ত্রটি প্রায় ১৭০০ সালের দিকে আবিষ্কৃত হলেও আজও সঙ্গীতপ্রেমীদের মন জয় করে আসছে।

ক্ল্যারিনেটের ইতিহাস

জার্মানিতে এই বাদ্যযন্ত্রের জন্ম। প্রথমে এটি মূলত সামরিক ব্যান্ডে ব্যবহার হতো। ধীরে ধীরে জাজ, ক্লাসিকাল, এবং কনসার্ট হলে ক্ল্যারিনেটের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। বিখ্যাত জাজ শিল্পী বনি গুডম্যান ক্ল্যারিনেটকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

কেন ১৬ নভেম্বর?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দিনে ক্ল্যারিনেটের সঙ্গীতধারা এবং তার বিশ্বজুড়ে প্রভাবকে স্মরণ করা হয়। সঙ্গীতপ্রেমীরা এই দিনটি উদযাপন করে ক্ল্যারিনেট কনসার্ট, ক্লাস, এবং ছোট ছোট পারফরম্যান্স আয়োজন করে।

মজার দিক

ক্ল্যারিনেট সহজ মনে হলেও এটি বাজানো সহজ নয়। হাওয়া, হাতের অবস্থান, এবং ডিহ্মার মেলবন্ধন—সবই নির্ভুল হতে হবে। তাই এটি শিখতে গিয়ে অনেকেই হাস্যরসের মুহূর্তের মুখোমুখি হন।

ক্ল্যারিনেটের সঙ্গে জীবনের সুর

এই দিনটি শুধু সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য নয়। সঙ্গীতপ্রেমী সাধারণ মানুষও ক্ল্যারিনেট শুনে আনন্দ পায়। অনেকে ছোট্ট ধ্বনির মধ্যেও জীবনের নানা গল্প খুঁজে পান।

সারাবাংলা/এফএন/এএসজি