Tuesday 25 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু

ফারহানা নীলা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০৪

ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরে নির্মিত চেনাব রেলসেতু এখন বিশ্বকে চমকিত করছে। নদীর উপরিভাগ থেকে সেতুর সর্বোচ্চ উচ্চতা প্রায় ৩৫৮ মিটার, যা ইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। দৈর্ঘ্যে প্রায় ১.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের রেল যোগাযোগে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

স্থাপত্য ও প্রকৌশল

চেনাব সেতু একটি প্রযুক্তিগত অলঙ্কার। সেতুর মূল উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চমানের স্টিল ও কংক্রিট, যা দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতা নিশ্চিত করে। সেতুর নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে নদীর প্রবাহ, পাহাড়ি ঝুঁকি এবং ভূমিকম্পের প্রভাব সহ্য করতে পারে। বাঁক ও স্তম্ভ স্থাপন এমনভাবে করা হয়েছে, যা প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে স্থায়িত্ব বজায় রাখে।

বিজ্ঞাপন

অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব

চেনাব রেলসেতু কেবল প্রকৌশলগত দৃষ্টিকোণেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি এলাকার অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রামবন থেকে রায়েসি অঞ্চলের যাতায়াত আগের তুলনায় অনেক সহজ ও দ্রুত হবে। স্থানীয় ব্যবসা, কৃষি ও পরিবহণে এর প্রভাব ইতোমধ্যেই অনুভূত হতে শুরু করেছে। এছাড়া, সেতুর মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষ সহজেই শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে, যা শিক্ষাব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নতিতেও সহায়ক।

পর্যটনের আকর্ষণ

চেনাব সেতু এখন পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ। প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং আধুনিক স্থাপত্যের মিলন এক অনন্য দৃশ্য উপহার দেয়। সেতুর উপর দিয়ে যাত্রা করা মানে চেনাব নদী এবং উঁচু পাহাড়ের সৌন্দর্য সরাসরি অনুভব করা। ফটোগ্রাফার এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এটি এক অপরিসীম সুযোগ।

নামকরণ ও প্রাকৃতিক সমন্বয়

সেতুর নামকরণ করা হয়েছে নদীর সঙ্গে মিল রেখে। চেনাব নামকরণ কেবল ভৌগোলিক অবস্থান নির্দেশ করে না, এটি প্রকৌশল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের নিখুঁত সমন্বয়কেও প্রকাশ করে। নদীর স্রোত এবং পাহাড়ি দৃশ্যের সঙ্গে সেতুর নকশার সাদৃশ্য দর্শনীয়।

ভারতীয় প্রকৌশলের প্রতীক

চেনাব রেলসেতু প্রযুক্তি, স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্যের এক অসাধারণ সমন্বয়। এটি প্রমাণ করে যে, জটিল ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে মানুষ অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। এই সেতু শুধু রেলপথ নয়, ভারতের প্রকৌশল কল্পনার এক উজ্জ্বল প্রতীক। এটি আগামী বহু বছর ধরে মানুষের চেতনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনার অনুপ্রেরণা হবে।

ভবিষ্যৎ দিক

চেনাব রেলসেতু কেবল একটি শারীরিক কাঠামো নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ার রেল যোগাযোগের একটি নতুন অধ্যায়। এটি স্থানীয় অর্থনীতি, পর্যটন এবং সামাজিক সংযোগকে নতুন মাত্রা প্রদান করবে। আগামী দিনে এই সেতু আরও বহু মানুষের জীবন সহজ করবে এবং ভারতের প্রযুক্তিগত সামর্থ্যের গৌরবকে বিশ্বে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:০৪

মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে আগুন
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৮

বাবার সঙ্গে খেলায় ফিরুক শৈশব
২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪

আরো

ফারহানা নীলা - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর