Saturday 20 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবুজের রাজ্য সিলেট: চা বাগান, পাথরের নদী আর ঝরনার গান

সানজিদা যুথী সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯

বাংলাদেশের মানচিত্রে উত্তর–পূর্ব কোণে সবুজে মোড়ানো এক স্বপ্নের নাম—সিলেট। প্রকৃতি এখানে কেবল দৃশ্য নয়, অনুভব। পাহাড়, নদী, চা বাগান আর ঝরনার সুরে সিলেট যেন নিজস্ব এক ভাষায় কথা বলে।

সিলেটে ঢুকলেই চোখে পড়ে সারি সারি চা বাগান। যতদূর চোখ যায়, সবুজের ঢেউ। পাহাড়ের গায়ে সাজানো চা গাছগুলো যেন কারিগরের নিখুঁত তুলির আঁচড়। সকালের আলোয় শিশিরভেজা পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের হাসি আর বিকেলের নরম রোদ—সব মিলিয়ে চা বাগান এক জীবন্ত ক্যানভাস। এখানে বাতাসেও থাকে চায়ের গন্ধ, ক্লান্ত মন যেন আপনাআপনি হালকা হয়ে যায়।

চা বাগান পেরিয়ে এগোলেই জাফলং। পাহাড়ঘেরা এই সীমান্ত অঞ্চল প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। খাসি পাহাড়ের পাদদেশে বয়ে চলা স্বচ্ছ নদী, পাথরের স্তূপ আর নীল আকাশ—সব মিলিয়ে জাফলং যেন প্রকৃতির খোলা দরজা। বর্ষায় নদীর রং বদলায়, স্রোত তীব্র হয়, আর পাহাড়ি ঝরনাগুলো তখন প্রাণ ফিরে পায়।

বিজ্ঞাপন

সাদা পাথর—সিলেটের আরেক বিস্ময়। স্বচ্ছ পানির নিচে ছড়িয়ে থাকা দুধসাদা পাথরগুলো সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে। পানির সঙ্গে পাথরের মেলবন্ধন এখানে এক অদ্ভুত শান্তির জন্ম দেয়। পায়ের নিচে ঠান্ডা পাথরের স্পর্শ আর চারপাশের নীরবতা—এই অভিজ্ঞতা শহুরে জীবনের কোলাহল ভুলিয়ে দেয় মুহূর্তেই।

আর আছে পাহাড়ি ঝরনা। বৃষ্টির দিনে পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা পানির ধারা শব্দ করে জানিয়ে দেয় প্রকৃতির উপস্থিতি। কখনো সরু, কখনো প্রশস্ত—এই ঝরনাগুলো সিলেটকে করে তোলে আরও জীবন্ত। ঝরনার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয়, প্রকৃতি যেন নিজের গল্প নিজেই শোনাচ্ছে।

সিলেট তাই শুধু ভ্রমণ নয়, এক অনুভূতির নাম। এখানে প্রকৃতি কথা বলে, মন শোনে। চা বাগানের সবুজ, জাফলংয়ের পাথর আর ঝরনার কলকল ধ্বনি—সব মিলিয়ে সিলেট বারবার ডাক দেয় ফিরে আসার জন্য।

বিজ্ঞাপন

আরো

সানজিদা যুথী - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর