৮৪ বছর বয়সী জিমন্যাস্ট!
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:৪৯
।। বিচিত্রা ডেস্ক।।
জিমন্যাস্টিকসে বয়স খুব কড়াকড়ি বিষয়। বলা হয়, যেহেতু কম বয়সে শরীরের স্থিতিস্থপকতা বেশি তাই তারা জিমন্যাস্টিক্সে একটা আলাদা সুবিধা পায়। এর জন্য জিমন্যাস্টিকসে কম বয়সীদের খুব চাহিদা। এমনকি পরিণত বয়স্কদের প্রতিযোগিতায় আইন করে বয়স বেঁধে দেওয়া আছে যেন কম বয়সীরা বড়দের প্রতিযোগিতায় গিয়ে বড়দের হারিয়ে দিতে না পারে। শরীরের এতসব কসরত তো আর বয়স বাড়লে করা সহজ নয়, শরীরের হাড় শক্ত হয়ে যায়, আর বয়সের সঙ্গে শরীরের কতো রকমের সমস্যা হয়। তাই ত্রিশের পরে জিমন্যাস্টিকস পেশাই ত্যাগ করেন অনেকে।
৮৪ বছর বয়সী মার্জরি কার্টার অবশ্য এইসব মানেন না। এই বয়সে এসেও সে দারুন অ্যাথলেট। বিশ্বজুড়ে নানান পত্রপত্রিকা আর সংবাদ মাধ্যম মাতিয়ে দিচ্ছে তার শারীরিক কসরতের নানান ভিডিও আর ছবি। ৮৪ বছর বয়সেও এসেও একটুও জং ধরেনি তার শরীরে। একদম ছোট্ট একটি প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তার বিশ্বাস বেঁচে থাকলে একশ বছর বয়সেও এরকম কসরত দেখিয়ে বেড়াবেন তিনি।
মার্জরি বলেন, বিষয়টা হচ্ছে চেষ্টা করার, আর আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
১৯৫২ ও ১৯৬০ সালের অলিম্পিকে ব্রিটেনের হয়ে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। যদিও কোনো পদক অর্জন করতে পারেননি কিন্তু তার অধ্যাবস্যায়ও ছাড়েননি মার্জরি। এরপর তিনি বহু বছর কাজ করেন জিমন্যাস্ট কোচ হিসেবে। ৭৫ বছর বয়সে চাকরি থেকেও তিনি অবসর নেন। অবসর জীবনে এসে যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন এভাবে বসে থাকলে একদিন তার শরীরে জং ধরে যাবে নিজে থেকেই আবার যোগ দিয়েছেন জিমে। সপ্তাহে তিনদিন ট্রেনিং-ও করছেন।
সম্প্রতি মার্জরি ইনস্পিরেশনাল জেনারেশন নামে একটা প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। এটা খুব মজার একটা প্রতিযোগিতা, ব্রিটেনের রিটায়ার্ডমেন্ট হোম বিল্ডারদের সংস্থা প্রবীণ নাগরিগদের মধ্য এই প্রতিযোগিতা চালায়। নবীননের মতো এ মানুষগুলোও নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পায়। সেখান থেকেই বের হয়ে আসেন মার্জরি কার্টার তার অনন্য অনুকরণীয় গল্প নিয়ে। শুধু তাই না, মার্জারি এ বছর এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীও।
অলিম্পিকে সোনা না পাওয়ার আফসোস থাকলে এভাবেই ঘুচালেন মার্জরি কার্টার। তাহলে ঐ যে বলে, চেষ্টা কখনও ছাড়তে নেই এটা কিন্তু ভুল কথা না। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সাফল্য যে কোনো সময় যে কোনোভাবে ধরা দিতে পারে, তখন যেন দরজা বন্ধ না থাকলে, তাহলে জীবনে আফসোস ছাড়া কিছুই থাকবে না।
সারাবাংলা/এমএ