‘ছাতি লই বাইর অন’, ‘জামপার না নিয়া বেরায় যাবার ন্যায়’
২ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৫২
সারাবাংলা ডেস্ক
প্রকৃতিও যেন ছুটি কাটাচ্ছে। সূর্য মামা চোখ মেলে তাকাতে তাকাতে সকাল গড়িয়ে যায়। আড়মোড়া ভেঙে কুয়াশা পথ ছাড়তে ছাড়তে তিন কর্মঘণ্টা পেরিয়ে যায়। মাটিতে বসে বসে ক্লান্ত হয়ে যায় উড়োজাহাজ।
কারণ হিসেবে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমী লঘুচাপ দায়ী। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থাকলেও এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং এর প্রতিবেশী এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী তিন দিনে এই অবস্থা পাল্টানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জেলাগুলো আংশিক মেঘলা থাকবে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
বিভাগীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ৪ মি.মি. থেকে ২২ মি.মি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই দ্বিতীয় ভাগে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে বয়ে যাবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ।
এ সময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। রাজধানী ঢাকা এবং এর আশেপাশের এলাকার তাপমাত্রা নেমে যাবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহীনূর ইসলাম জানান, এ সপ্তাহে প্রতিদিন উজ্জ্বল সূর্যের আলো কমে আসবে আরো একঘণ্টা। গত সপ্তাহে উজ্জ্বল সূর্য কিরণ পাওয়া গেছে ৬ ঘণ্টা করে।
সারাবাংলা/এটি