Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে বিয়ের জাঁকালো আয়োজন- বাধ্য করে কে?


৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:১৪

তিথি চক্রবর্তী।।

যাদের সামর্থ্য আছে তারা বিয়েতে অনেক টাকা খরচ করছে। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই কিংবা বিয়েতে অনেক টাকা খরচ করার ইচ্ছা নেই তাদেরকেও সমাজ বাধ্য করছে সমস্ত রীতিনীতি মেনে বিয়ে করতে। লোকলজ্জা কিংবা নিজের মানসম্মান ধরে রাখার দায়ে বিয়েতে নানা ধরনের আয়োজন করতে হচ্ছে। বিয়ের আয়োজন নির্ভর করে যার যার সামর্থ্য কিংবা ইচ্ছার ওপর। সেটিকে ছাপিয়ে যখন কিছু কিছু আয়োজন করতে ‘বাধ্য’ করে সমাজ, তখন বিয়ের মূল আনন্দই নষ্ট হয়।

বিজ্ঞাপন

অনেক ছেলেমেয়ে সাধারণ আয়োজনে ও স্বল্প খরচে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না। আনুষ্ঠানিকতা কিংবা লৌকিকতার নামে বাড়তি আয়োজন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় অনেকের।

কেস স্ট্যাডি ১: একটি  পত্রিকায় বড় পদে কাজ করছেন শীলা চৌধুরী (ছদ্মনাম)। বিয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানান, ১০ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন নিজের পছন্দেই। বাগদান অনুষ্ঠানে ছেলের বাড়ি থেকে রুপার সেট দেওয়া হয়েছিল বলে আত্মীয় স্বজনরা হাসাহাসি করেছিল। শীলা সোনার সেট পছন্দ করেন না। তাই নিজের বাগদান অনুষ্ঠানের জন্য রুপার সেট পছন্দ করেছিলেন। আর এতেই সবার এতো কথা! এখানে তার নিজের পছন্দের চেয়ে লোক দেখানো ব্যাপারটাই প্রধান হয়েছে।

বিয়ের জন্য খরচ কিছুটা কমাতে চেয়েছিলেন শীলা। কারণ বিয়েতে অনেক দামি শাড়ি কিংবা গহনা পড়া তার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। অথচ বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির পছন্দমতো দামি জিনিসপত্র কিনতে হয়েছে শীলাকে। তিনি জানান, বিয়েরদিন পরার জন্য একটি শাড়ি খুব পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু দাম কম বলে তার ননাস সেই শাড়িটি কিনতে দেননি। পরে ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি শাড়ি কেনেন ঠিকই, কিন্তু বিয়ের দিন ছাড়া ওই শাড়িটি আর একদিনও পরা হয়নি শীলা চৌধুরীর। এখানেই শেষ না, বিয়ের স্যান্ডেল কিনেছেন ৩০০ টাকা দিয়ে। তা দেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অবাক। ‘৩০০ টাকার স্যান্ডেল পরে বিয়ে! একি সম্ভব!’ এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে ৭,৫০০ টাকা দামের স্যান্ডেল কিনে আনা হয়। সেই স্যান্ডেল জোড়া শীলার পায়ের উপযোগী না হওয়ায় তিনি হাঁটতেই পারছিলেন না। শীলা চৌধুরী বলেন, এখনকার মতো ম্যাচিউরিটি তখন থাকলে কখনোই সবার কথামতো বিয়ের আয়োজন করতাম না। সুন্দর একটা জামদানি শাড়ি ও ৫০০ টাকার স্যান্ডেল পরেই বিয়ে করতাম।

বিজ্ঞাপন

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আধুনিকতার প্রভাবে এমন একটি ধারা সমাজে চলে এসেছে যে বিয়েতে অনেক আয়োজন করতে না পারলে সে হয়ে যায় ‘সেকেলে’। ফলে সাধারণ মানুষ সময়ের সাথে বা যুগের সাথে তাল মেলাতে চায়। এই আধুনিকতার ধারণার সাথে জড়িত রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। এখন ঘরে বসেই সারাবিশ্বের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। অন্যদেশের সংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে আমাদের সংস্কৃতিতে, যা অবশ্যম্ভাবী। সংস্কৃতি কখনও স্থির থাকে না, এটা পরিবর্তনশীল। এ কারণে আগে বিয়ের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম চালু ছিল এখন সেগুলো অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।

বিয়েতে দামী স্যুট, ঘড়ি, গয়না, শাড়ি পরতে হবে এবং বিয়ের গাড়ি সাজাতে হবে, ভাল ফটোগ্রাফার আনতে হবে- এই ধারণাগুলো মানুষের ভাবনার জগতে হঠাৎ করে আসেনি। এর পেছনেও কারণ আছে। সমাজের ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এর জন্য দায়ী। বিয়ে হলো এমন একটি মাধ্যম যেটির জৌলুস দেখেই বোঝা যাবে সে কত সম্পদের মালিক। আবার অনেকসময় ছেলেপক্ষ মেয়েপক্ষের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্যও বিয়েতে অতিরিক্ত খরচ করতে বাধ্য করে মেয়েপক্ষকে।

কেস স্ট্যাডি ২: একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছেন সাদিয়া আফরিন। তিনি বলেন, বিয়ের জন্য অনেক বেশি আয়োজন বাহুল্য মনে হয় আমার। বিয়ে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন নিয়ে করা উচিত। অনেক টাকা দিয়ে শাড়ি কিনতে হবে, দামি হোটেল ভাড়া করতে হবে, দামি বিউটি পার্লারে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করে সাজতে হবে কিংবা নামকরা ফটোগ্রাফার নিয়ে আসতে হবে- এসব হলো লোক দেখানো ব্যাপার। যারা বিয়ে করছে সিদ্ধান্তটা তাদের হওয়া উচিত। প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা থাকে। সেখানে অন্যদের অংশ নেওয়া উচিত না। আবার বিয়েতে অনেক অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিরা দাওয়াত চায়, যা খুবই বিব্রতকর। বিয়ে ব্যাপারটা এমনিতেই অনেক ব্যয়বহুল। তাই খরচ করতে হয় ভেবেচিন্তে। তাছাড়া আমি যাদের পছন্দ করি না কিংবা যাদের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা নেই তারা কেন আমার কাছে বিয়ের দাওয়াত চাইবে? আমি কাকে দাওয়াত দেবো সেটি নিশ্চয়ই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন, নৃবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ফরিদউদ্দিন আহামেদ বলেন, সমাজের অন্য অনেককিছুর পরিবর্তনের সাথেই বিয়ের আয়োজনের পরিবর্তনটি যুক্ত। বিত্তশালীরা বিয়েতে নতুন নতুন অনেক আনুষ্ঠানিকতা চালু করছে। বিয়ে একটি আবেগের বিষয়। এখন নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা চালুর মধ্য দিয়ে আবেগের বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। অর্থাৎ আবেগকে ছাপিয়ে এখন লোক দেখানো ব্যাপারটি সামনে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, এর দুটি কারণ আছে। প্রথমত, মিডিয়া আমাদেরকে প্রভাবিত করছে। অধিকাংশ মানুষ অনুকরণপ্রিয়। তাই অন্য দেশের সংস্কৃতি অনুসরন করার প্রবণতা আমাদের মধ্যে আছে। আরেকটি কারণ হলো বিশ্বায়ন। ফলে বিয়েকে ‘আর্ট অফ লাইফ’ বলা যাচ্ছে না এখন। আনন্দের সাথে চিত্তের একটি সম্পর্ক আছে, যা আর্থিক সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে।

বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মীয় রীতিনীতি বা বিধানগুলোও এখন হয়ে গেছে লোক দেখানো ব্যাপার। বিধান মানার ক্ষেত্রেও লোকদেখানো ব্যাপারটা চলে আসছে। কে কত খরচ করতে পারলো সেটাই এখন আসল কথা। এ কারনে বিয়ের মূল আনন্দটাই এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেমন মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী, বিয়েতে ছেলেকে দেনমোহর দিতে হয়। বর্তমানে দেনমোহর দেওয়ার সাথে স্বামীর স্ট্যাটাস যুক্ত। তাই পাত্র কত টাকা দেনমোহর দিয়েছে এটা জানার জন্য আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব অধীর আগ্রহে থাকে।

হিন্দুধর্মের বিয়েতে এখনও অনেক ধরনের প্রথা চালু আছে। হিন্দুধর্মের বিয়ে মানেই মেয়ের বাবার ওপর তীব্র চাপ। বিয়েতে মেয়েকে দিতে হয় ভরি ভরি গহনা। ছেলের বাড়িতে পাঠাতে হয় সংসারের প্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র। বেশিরভাগ হিন্দু ছেলেরাই মেয়েপক্ষের টাকায় বিয়ে করে। ‘ছেলে কেন বিয়ের জন্য টাকা খরচ করবে’- এ ধরনের মনমানসিকতা এখনও অনেকে বহন করে। এজন্য হিন্দু পরিবারে কোন মেয়ে শিশু  জন্মানোর পর থেকেই বাবা তার মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করে। বিয়ের খরচ মানেই তা শুধু মেয়ের বাবার। যৌতুক প্রথা আইন করে নিষিদ্ধ হলেও সামাজিক রীতি কিংবা উপহারের নামে এখনও হিন্দুধর্মে চালু আছে বিয়েতে পণ দেওয়ার ব্যাপারটি।

অনেক ছেলে অবশ্য মেয়েপক্ষের উপহার নিতে চায় না। কিন্তু পরিবারের চাপে নিতে বাধ্য হয়। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মানস চৌধুরী বলেন, যারা ছোটবেলা থেকে পরিবারে ভাল ছেলে বা ভাল মেয়ে সেজে আছে ও কোনকিছুর প্রতিবাদ করেনি, শুধুমাত্র তারাই বিয়ের ক্ষেত্রে  এসবের প্রতিবাদ করতে পারবে না। প্রতিবাদ হলো একটি সংস্কৃতি। এটি একদিনে গড়ে ওঠে না। তাই ছোটবেলা থেকেই চারপাশের নানা অসঙ্গতি নিয়ে যে ভাবতে শেখে, তার মধ্যেই প্রতিবাদী মন তৈরি হয়।

কেস স্ট্যাডি : আলোকচিত্রী পরিতোষ রায় (ছদ্মনাম) নিজের বিয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। বিয়ের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও যখন শশুরবাড়ি থেকে খাট আসেনি তখন পরিতোষের বড় ভাইয়ের শাশুরিসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এটা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল। তারা এই ছোট্ট বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা করতো তখন লজ্জায় পড়ে যেতেন পরিতোষ। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারেননি। তিনি বলেন, এই ঘটনায় নতুন বউয়ের কাছে নিজেকে ছোট মনে হত আমার।

বিয়েতে উপহার দেওয়াকে ‘মাঙ্গলিকতা বা সামাজিকতার’ নামে বৈধতা দেওয়া হয় সমাজে। অথচ এর মাঝে রয়েছে চরম পুরুষতান্ত্রিকতা। বিয়ের আয়োজন ও কেনাকাটায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেপক্ষের পছন্দকে প্রধান্য দিতে হয়। মেয়েপক্ষের যদি সামর্থ্য নাও থাকে তবুও বিয়ের তথাকথিত আয়োজনের মধ্যে ত্রুটি রাখা যায় না।

ফরিদউদ্দিন আহামেদ বলেন, বিয়েকে উৎসব হিসেবে দেখা উচিত। যখন এর মধ্যে আর্থিক ও লেনদেনের বিষয়গুলো যুক্ত হয় তখন এর স্বাভাবিকতা হারিয়ে যায়। উৎসবও আর থাকে না। বাঙালী সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং লোক দেখানো বিষয়গুলো উপেক্ষা করে বিয়ে করাটাই যৌক্তিক।

অঞ্চলভেদেও বিয়েতে এমন কিছু প্রথা চালু আছে, যেগুলো পালন করা অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে যায়। যেমন চট্টগ্রামের বেশিরভাগ বিয়েতে আনুষ্ঠানিকতার নামে এমন কতগুলো রীতি চালু আছে যেগুলো এই একবিংশ শতাব্দীতে থাকার কথা ছিল না। সামর্থ্য না থাকলেও সেখানে মেয়ের বাবাকে সোনার গয়না, ছেলেমেয়ের জন্য দামি পোশাক, ছেলের ঘরের সকল আসবাবপত্র এবং ছেলেপক্ষের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের পোশাক উপহার দিতে হয়। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর প্রথম কোরবানি ঈদে পাত্রপক্ষকে কোরবানির গরু কিনে দিতে হয়। মেয়ের বাবা এসব দিতে পারল কিনা সেটিই মূখ্য বিষয়।

বিয়ে হলো দুজন মানুষের মধ্যে পারষ্পারিক ভালবাসা ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠার একটি মাধ্যম। সেখানে অর্থ সম্পদ যখন যুক্ত হয় তখন এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য আর থাকে না।

সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। তাই বিয়ের ক্ষেত্রেও আগের চেয়ে মানুষ বেশি খরচ করার সামর্থ্য লাভ করেছে। এই খরচটি যারা অপ্রয়োজনীয় মনে করবে তাদের নিজেদেরকে আগে এই প্রথা ভাঙতে হবে। অর্থ্যাৎ নিজের ও পরিবারের মধ্য দিয়েই এর সূচনা করতে হবে। স্কুল, কলেজে এ সম্পর্কিত আলোচনা করতে হবে।

 

এত অসঙ্গতির মাঝেও কিছুটা আশার প্রদীপ জ্বালাচ্ছে অনেকেই। এখন অনেক ছেলেমেয়ে নিজের টাকায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাই বাবামায়ের টাকায় বিয়ে করার প্রচলিত নিয়মে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসছে। অনেকে বিয়েতে উপহার দেয়া-নেয়ার প্রচলন থেকেও বেরিয়ে আসছে। আজকাল অনেকের বিয়ের কার্ডে লেখা থাকে ‘উপহার আনবেন না’। প্রচলিত নিয়ম ভাঙ্গার জন্য এসব উদ্যোগ অবশ্যই সমাজে সাড়া জাগাবে।

ফরিদউদ্দিন আহামেদ বিষয়টিকে সামগ্রিকভাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, মানুষের মন মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়া দরকার। বিয়েটা আমাদের যাপিত জীবনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশিকিছু করতে গেলে তা হয়ে যায় বাহুল্য। আর আমাদের মধ্যে সবকিছু মেনে নেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এ ধরনের প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ভারতের প্রত্যেকটি বিয়ের জন্য রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দিতে হয়। যে যত বড় আয়োজনে বিয়ে করে তাকে তত বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। তাই ওখানে বিয়ে করতে গেলে ইচ্ছামতো আয়োজন করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, অনেকে দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত অসুখী থাকে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ডিভোর্স দিতে পারে না। বিয়ের আয়োজনের ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য। সামর্থ্য না থাকলেও বিয়েতে বড় আয়োজন করতেই হবে এই রেওয়াজ চালু হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

 

অলঙ্করণ- আবু হাসান

 

 

সারাবাংলা/টিসি/ এসএস

 

 

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর