রোকেয়া সরণি ডেস্ক।।
উত্তর-দক্ষিণ সুদানে ১০ দিনে অন্তত ১০০ নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। চলতি বছর নভেম্বরের ১৯ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যেই এসকল নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রুথ ওকেলো জানান, যৌন হয়রানির শিকার হওয়া বেশিরভাগ নারীর বয়স ১০ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি। এমনকি যৌন হয়রানির হাত থেকে রেহাই পায়নি গর্ভবতী নারীরাও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে উত্তর সুদানের তথ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নারী নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘নারী ধর্ষণের ঘটনা একেবারেই সত্য না। এদেশে নাগরিক অধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে নারী অধিকারগুলো সবার আগেই বিবেচনায় রাখা হয়’।
২০১৩ থেকে দক্ষিণ সুদান সামরিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, যার মাসুল দিতে হচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষকে। এর আগেও দক্ষিণ সুদানে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। কিন্তু এই চুক্তি কেন কার্যকর হচ্ছে না তা স্পষ্ট নয়।
দক্ষিন সুদানের এই ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং নারী নির্যাতন বন্ধে সারাবিশ্বে ক্যাম্পেইন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/টিসি/এসএস