কুয়াশার কাব্য
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:২১
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
শীতের ঢোল-ডাগর বাজনায় যারা বাদক যেমন শীত, মিষ্টি রোদ, ছোট দিন… তারা সবাই এলাকা দখল করে নিয়েছে। যে আসেনি সে হচ্ছে কুয়াশা, তাকে নিয়েই আজকে আমাদের আলাপ।
বঙ্গোপসাগরে একটা লঘু চাপ আমাদের এদিকের আকাশ শাসন করছে, যেহেতু বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে, তাই তার খবর সবারই জানা হয়ে গেছে। সেই বঙ্গোপসাগরে বসে আমাদের আকাশ মেঘলা করে রেখেছে তাই আস্তে আস্তে তাপমাত্রা কমে আসছে।
এত কমাকমির মধ্যেও কাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এগুলো কোনো ভাবনার কথা না। কারণ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেশের কোনো অঞ্চলেই ১৫ ডিগ্রির বেশি না। তাই আমরা ধরেই নিতে পারি শীত আসছে।
মেঘ আর তাপমাত্রার কথা যখন বলেই ফেললাম এবার বলি আপেক্ষিক আর্দ্রতার কথা। আপেক্ষিক আর্দ্রতা একদম ক্লাসের ফার্স্ট হয়ে আছে। নিজের সময়মতো তার কাজের কোনো ব্যত্যয় নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কমের দিকে থাকে। সন্ধ্যে নামলে বাড়ে।
ভাবছেন, এত সবের মধ্যে তাহলে কুয়াশার কাব্যটা কই? হুম। সেটাই তো গল্পের মূল আকর্ষণ। কুয়াশা এখন পর্যন্ত মাঝারি পর্যায়ে আছে। রাতের দিকে নদী অববাহিকায় সে অবস্থান নেয়। সূর্যের দেখা মিললেই মিলিয়ে যায়।
তবে খবর হচ্ছে, শুক্রবার নাগাদ ভারি কুয়াশার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এখন খবর ঠিক হোক কি বেঠিক। আমাদের কাজ হচ্ছে কুয়াশা নামার আগে কাঁথা কম্বল রোদে সেঁকে নেয়া। কারণ সময় গেলে সাধন হবে না।
শুভ যাক আজকের দিনটি।
সারাবাংলা/এমএ