শৈত্য প্রবাহ দ্বারে, কড়া নাড়ে
২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:০১
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
শৈত্যপ্রবাহের একটা সহজ হিসেব আছে। যখন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, সেটা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এরপর তাপমাত্রা কমে যদি ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হয়, সেটা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা যদি আরও কমে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে সেটা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আমাদের দেশে এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির মধ্যে আছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকোর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ও তেঁতুলিয়ায় ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের অন্য সব জেলায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত আছে। এমনকি খুলনা ও বরিশালেও তাপমাত্রা এমনই। আর ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ১৩ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সর্বনিম্ন আছে।
এই উপাত্ত দেখে অবশ্য বোঝা দায় যে শৈত্যপ্রবাহ কবে আসবে, তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে তাপমাত্রা দ্রুতই কমে আসবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আকাশ মেঘলা থাকবে। এমনিতেও ঘূর্ণিঝড় ফেথাইর কারণে তাপমাত্রা অনেক কমে এসেছে। এই মেঘলা আকাশের কারণে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। ওদিকে ডিসেম্বরের শেষে একটা নিম্নচাপের আশংকা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরের শেষে ভীষণ শীতের একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আজকের দিনের পূর্বাভসে বলা যায়, আজকে আকাশ সারাদেশেই মেঘলা থাকবে। দিনে এক দু বার সূর্যের দর্শন পাওয়া যেতেও পারে তাই তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে তবে রাতের তাপমাত্রা কমে যাবে।
যার কাছে যা শীত কাপড় আছে তা নিয়ে তৈরি হিয়ে যায় শীতের জন্য। শুধু তাই না, অতিরিক্ত থাকলে গরিবদের মধ্যেও কিছু বিলিয়ে দিন। একটা শীত যেন একজন মানুষের প্রাণ কিছুতেই কেড়ে নিতে না পারে।
নিরাপদে কাটুক আজকের দিনটি।
সারাবাংলা/এমএ