Saturday 30 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধরিত্রীর উদয় ও তা ক্যামেরাবন্দি করার গল্প


২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:২৩

বিচিত্রা ডেস্ক

আচ্ছা আমরা চাঁদ উঠতে দেখি… সূর্য ওঠা দেখি কিন্তু পৃথিবী কী কখনো ওঠে? হ্যাঁ ওঠে। তবে আমাদের এই পৃথিবীতে বসে পৃথিবীকে উঠতে দেখতে পাইনা কখনো। তাহলে কে দেখতে পায়? যারা মহাকাশে বিচরণ করে।

সেটি ছিলো ১৯৬৮ সাল। আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে ক্রিসমাসের পূর্বক্ষণ। অ্যাপোলো ৮ এ চেপে নাসার তিন নভোচারী পারি দিয়েছিলেন চাঁদের দেশে। তারা ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক বোরম্যান, জিম লোভেল ও বিল অ্যান্ডার্স। এই নভোচারীরা অসংখ্য ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন ধরিত্রীতে। সেই সব অসামান্য স্ন্যাপের মধ্যে একটি ছিলো এমন যাতে দেখা যাচ্ছে নিকশ কালো আঁধারের মাঝ দিয়ে ক্রমেই দৃশ্যমাণ হচ্ছে নীল সাদা আলোর এক বলয়। সেটা পৃথিবী। ২ লাখ ৪০ হাজার মাইল দূর থেকে ধরিত্রীর সে উদয় দৃশ্য প্রথম ক্যামেরাবন্দি করেন নাসার নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স।

ছবিটি তোলার আগে সহযাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন- হা ইশ্বর! দেখো দেখো কী অপরূপ দৃশ্য… এ যে দেখি পৃথিবীর উদয় হচ্ছে!

তারা আসলে পৃথিবীর ছবি তুলবেন এমনটা ভাবেনও নি। কাজ ছিলো চাঁদের ৭০ মাইল দূরে ঘুরে ঘুরে ওর ভূ-দৃশ্যের নানারকম ছবি তুলে আনা।

অতপর নভোযানের জানালা পথে অ্যান্ডার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়ে গেলো পৃথিবীর উদয়কালের দৃশ্য। তবে তার হাতের ক্যামেরাটি ছিলো সাদাকালো।


এদিকে চলমান ক্র্যাফ্টের জানালাপথে পৃথিবীকে আর দেখা যাচ্ছিলো না। চাঁদের ছবি তুলতে যাওয়া নভোচারীদের কাছে চাঁদের চেয়ে পৃথিবীর ছবি তোলার আগ্রহই বড় হয়ে উঠলো। ফলে তক্কে তক্কে তিনজনই। এর কিছুক্ষণের মধ্যে যেদিকটাতে জিম লোভেল বসে, সে দিকের জানালা পথে দেখা মিললো সুন্দরী বসুধার।

বিজ্ঞাপন

ক্লিক ক্লিক ক্লিক। আর লোভেলের চিৎকার। পেয়ে গেছি… পেয়ে গেছি… পুরো ফ্রেমে কী দারুণ সুন্দর আর স্পষ্ট।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

গণফোরামের সপ্তম কাউন্সিল শুরু
৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৯

আরো

সম্পর্কিত খবর