উষ্ণতম বছরে পা দিলো পৃথিবী
১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:৩৪
।। মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।
পৃথিবী একদিন আর ওমন নীল সবুজের চমৎকার একটা গ্রহ থাকবে না। এই পৃথিবী হবে উষ্ণ লাল এক গ্রহ। আর সেই গ্রহ হওয়ার পথেই আরেক ধাপ এগুতে যাচ্ছে পৃথিবী।
পৃথিবীর আবহাওয়া নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা জানিয়েছেন এটা পৃথিবীর জন্য খুবই শঙ্কার একটি বছর। এই বছর পৃথিবী সম্মুখীন হবে আরও একটি এল-নিনো’র। এখন কথা হচ্ছে এল-নিনো কী?
এল-নিনো প্রশান্ত সাগরের দক্ষিণ অঞ্চলের একটা পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন। বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল সমুদ্র এলাকা উষ্ণ হয়ে যায় যার ফলে স্রোতের পরিবর্তন হয়। মেঘের পরিমাণ বেড়ে যায় আর এইসব মেঘ আর যাবে কই? সব আবার ঝড়বৃষ্টি হয়েই পৃথিবীতে পড়ে।
এল-নিনো এমনিতে তিন থেকে সাত বছরে একবার পৃথিবীতে আসে। শেষ এল-নিনোটা হয়েছিল ২০১৬ সালের শেষ থেকে ২০১৭ সালের শুরুর সময়টায়।
সেই হিসেবে এবারের এল-নিনো বেশ তাড়াহুড়ো করেই এসে পড়লো। এল-নিনো হলে একটা উল্টো প্রবণতাও দেখা যায় যার নাম লা-নিনা, এটা সমুদ্রের নিজে নিজে ঠাণ্ডা হওয়ার চেষ্টা, কিন্তু এর মাঝে যে সময়টা লাগে তা আর পাচ্ছে না পৃথিবী। ওদিকে ২০১৬, ২০১৭,২০১৮-এর গরম সময় পার করার পরে ২০১৯ এ এসে আবার এল-নিনো বলে দিচ্ছে পৃথিবী ঠাণ্ডা তো হবেই না বরং যে গরম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে ছিল তা পৃথিবীকে আরও তপ্ত করে দিবে।
তপ্ত পৃথিবী নিজেই নিজের অনেক ক্ষতি করে ফেলবে যদি আমরা তার তাপ শোষণ করার ব্যবস্থা না করি। তাপ শোষণ করার জন্য গাছ লাগাতে হবে, পানিকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে-এরাই তাপ শুষে নিবে। আর নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা থেকে তো পৃথিবীকে বের হয়ে আসতেই হবে। এর কোনো বিকল্প পৃথিবীর কাছে অন্তত নেই।
২০১৯ বছরে প্রবেশ পৃথিবীর মানুষের জন্য কোনো হাস্যরসের বিষয় নয়। ২০১৯ এ পৃথিবীর মানুষ প্রবেশ করলো পৃথিবীকে বাঁচানোর বিশাল দায়িত্ব নিয়ে। পৃথিবীকে বাঁচানোর দায়িত্ব, নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব।
নতুন বছরে এটাই চাওয়া, প্রতিটা মানুষ অনুধাবন করতে পারুক নিজ নিজ দায়িত্ব। খুব অল্প হলেও একটা প্রভাব রাখতে পারুক ইতিবাচক পরিবর্তনে।
শুভ নববর্ষ!
সারাবাংলা/এমএ