পুরুষের ঘাড়ে চাপানো কর্তব্যের বোঝা বনাম পুরুষের স্বপ্ন!
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৫৯
রাজনীন ফারজানা।।
মনে করো, যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে।
তুমি যাচ্ছ পালকিতে, মা, চ’ড়ে দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।
হুট করেই হারে রে রে রে রে করতে করতে ডাকতদের আক্রমণ আর বাচ্চা ছেলের ডাকাতদেরকে যুদ্ধে হারিয়ে মাকে উদ্ধার। বাংলাদেশে বীরপুরুষ কবিতা শোনেনি আর টগবগিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে মাকে দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করার স্বপ্ন দেখেনি এমন ছেলে পাওয়াই যাবে না বলতে গেলে। ছোটবেলায় কল্লোলও বীরপুরুষ কবিতা মুখস্থ করেছে। আদর করে কল্লোলের মা তাকে জিজ্ঞাসা করেছে সেও কি এভাবে তার মাকে সব বিপদ থেকে উদ্ধার করবে কি না। শৈশবের উচ্ছাসে সে তখন বুক চিতিয়ে বলত অবশ্যই করবে।
কিন্তু যখন কিছুটা বড় হল তখন মারামারি কিংবা সহিংসতা একদমই ভালো লাগে না কল্লোলের। স্কুলে বা খেলার মাঠে ঝগড়াঝাঁটি এড়িয়ে চলে যতটা সম্ভব। তাই ছেলে বন্ধুরা খুব ক্ষেপায় ওকে। ‘তুই কি মেয়ে নাকি’ বলে অপমান করতেও চেষ্টা করে। এসব কারণে একসময় কল্লোল বাইরে খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। বাড়িতে বসে বই পড়ে, ছবি আঁকে কিংবা বোনদের সাথে লুডু, ক্যারম বা পুতুল খেলে। কিন্তু সে যে পুতুল খেলে তা বন্ধুদের জানায়না। একে সে পাড়ার কোন মারামারিতে যায় না, বাইরে গিয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলে না। এরপর পুতুল খেলার কথা জানতে পারলে তাকে দারুণ অপমানিত হতে হত।
সিনেমার পোকা শামীম। দেশ বিদেশের কোন সিনেমা বাদ যায় না। স্বপ্ন দেখে একদিন একটা বিশ্বমানের সিনেমা বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে। মনের মধ্যে চিত্রনাট্য আর চরিত্ররা ঘুরপাক খায় সারাক্ষণ। চলচ্চিত্র বানানোর উপর উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী সে। কিন্তু তার পরিবার একদমই রাজী না। তাদের মতে চলচ্চিত্র পরিচালনা তেমন ভালো পেশা না। উপার্জনও কম। তাই পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে বাধ্য হয়ে নিজের স্বপ্ন বুকে চেপে রেখে অন্য বিষয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে তাকে। পেশার ক্ষেত্রেও পরিবারের পছন্দই গুরুত্ব দিতে হবে তার।
এদিকে বছর চল্লিশের জুয়েলের রাতে ঘুম হয়না। চোখের নীচে গাঢ় কালি। চুল পড়ে যাচ্ছে দ্রুত হারে। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ধরা পড়েছে বছরকয়েক আগে। দুই সন্তানকে বড় করা, সংসারের খরচ সব মিলিয়ে অসম্ভব চাপ। জুয়েলের স্ত্রী চাকরি করলেও সংসার খরচের পুরো চাপটা জুয়েলের একার উপর। জুয়েল বেশ ভালো একটা চাকরি করলেও নিজের শখ বা প্রয়োজনের দিকে তেমন একটা নজর দিতে পারেন না। কারণ তার উপার্জনের বড় অংশই পুরুষ হিসেবে পরিবারের বাকি সবার প্রয়োজন ও চাহিদা পূরনের জন্য ব্যয় করতে হয়। এসব চাপে নিজেকে মাঝেমধ্যে অসহায় লাগলেও কাউকে কিছু বলতে পারে না সে। ফলাফল বিষণ্ণতা ও নির্ঘুম রাত কাটানো।
আমাদের সমাজে এরকম অসংখ্য কল্লোল, শামীম ও জুয়েল আছেন। সমাজের চাহিদা অনুযায়ী জীবন কাটাতে গিয়ে নিজেদের স্বপ্ন এবং শান্তি বিসর্জন দিতে হয় যাদের। সমাজ নির্ধারন করে দেয় একটা ছেলে শিশু বড় হয়ে একজন মানুষ হবে নাকি পুরুষমানুষ হবে।
জন্মের পর সব শিশুই একই ধরণের আচরণ করে কিন্তু সে যখন বড় হতে থাকে তখন তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তার আচরণ ঠিক করে দেয়। ছেলে হলেই তাকে শক্তিশালী, আবেগহীন আর যুদ্ধংদেহী হতে হবে। ফলে দেখা যায় অধিকাংশ ছেলে শিশু বড় হয়ে পুরুষ মানুষ হলেও মানুষ হতে পারে খুব কম জনই।
কি ধরণের চাপ থাকে একটা ছেলের উপর? কথা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হকের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে মেয়েদেরকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নানাভাবে চাপে রাখে কিন্তু অর্থনৈতিক চাপটা এখনও ছেলেদেরকেই নিতে হয়। সেই চাপটাও দিয়ে থাকে একই পুরুষতান্ত্রিক সমাজই। তিনি বলেন, ছোট থেকেই একটা ছেলেকে শেখানো হয় বড় হয়ে তাকে উপার্জন করতে হবে, সংসার চালাতে হবে, পরিবারের সব সদস্যের ভালো মন্দের দায়িত্ব নিতে হবে। ফলে দেখা যায় পরিবারের নারীরা উপার্জন করলেও গুরুতর সময়ে (ক্রাইসিস মোমেন্টে) পরিবারের ছেলে সদস্যকেই টাকা জোগাড় বা অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক তানিয়া আরও বলেন, এমনকি বিয়ের ক্ষেত্রেও একটা ছেলের পড়াশোনা, চাকরি, উপার্জন, গাড়ি বাড়ি আছে কিনা দেখা হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এসব দেখা হয়না। মেয়েদের ক্ষেত্রে তার বাবার অর্থসম্পত্তি দেখে হয় যা তার বাবার উপর একধরণের চাপ সৃষ্টি করে।
শুধু উপার্জন করা বা সম্পত্তি অর্জনই নয়, পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও ছেলেদের উপর বাড়তি চাপ থাকে আমাদের দেশে। ছেলেদের শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস এ ধরণের বিষয়ে না পড়ে কারিগরী বিষয়ে পড়তে জোর দেওয়া হয়। যাতে ভালো চাকরি জোগাড় করা ও উপার্জন করা যায়।
তানিয়া হক বলেন একটা ছেলেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতেই হবে। এই চাপটা এত প্রবল যে উপার্জন না থাকলে একটা ছেলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। উপার্জন না থাকলে একটা মেয়েও কষ্ট পায় কিন্তু একটা ছেলে রীতিমত নিজেকে অপরাধী ভাবতে থাকে, যোগ করেন অধ্যাপক তানিয়া।
অধ্যাপক তানিয়া আরও বলেন, সমাজের সব ছেলে তাদের উপর থাকা বাড়তি চাপ অনুভব করতে পারেনা। অনেকে অনুভব করলেও সে বুঝতে পারে ছেলে হিসেবে সমাজে সে বাড়তি সুযোগ পায়। তখন কেউ কেউ সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে বলে জানান তিনি।
শুধু উপার্জন বা পরিবারের দায়িত্ব নেওয়াই নয় একটা ছেলের আচরণ কেমন হবে তাও সমাজ নির্ধারিত করে দিতে চায়। কেউ ঘরের কাজ করলে বা শক্তিমত্তা দেখাতে হবে এমন কাজ এড়িয়ে চললে বা সহিংসতা অপছন্দ করলে তাকে ঘরে চুড়ি পরে বসে থাকতে বলা হয়। মেয়েলী বলে খোঁটা দেওয়া হয়। কিন্তু কোন কাজটা ছেলের আর কোন কাজটা মেয়ের তা প্রকৃতি নির্ধারণ করে না দিলেও সমাজ ঠিকই চাপিয়ে দিতে চায়। একই জিনিস দেখা যায় শখের ক্ষেত্রেও। ছেলে আর মেয়ের শখও যেন আলাদা আলাদা হতে হবে। আবার ছেলে হলে তাকে শখের দিকে অত গুরুত্ব দেওয়া চলবে না।
ছোটবেলা থেকে শাইখ হাসানের দুটো শখ, একটা বইপড়া আরেকটা গিটার বাজানো। ছোটবেলায় শুনতেন গল্পের বই পড়তে গিয়ে পরীক্ষায় প্রথম হতে পারেন না। তাই বাবা মা গল্পের বই বাদ দিয়ে পাঠ্যবই পড়তে বলতেন। আর এখন নতুন নতুন বই কিনলেও চাকরি, সংসার আর বাচ্চাদের সময় দেওয়াটাকেই প্রাধান্য দেন। শখের গিটার ও শেখা হয়ে ওঠেনি তার। বাচ্চাদের সময় না দিয়ে নিজের শখের পেছনে ব্যয় করলে একধরণের অপরাধবোধ হয় বলে জানালেন তিনি।
সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে এখন একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উঁচু পদে কাজ করেন তিনি। উপার্জনও ভালো। কিন্তু পেশা পরিবর্তন নিয়ে তার বাবা-মা খুশি না। এর ফলে তাদের পরিবারের সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
শাইখ বলেন জ্ঞান হবার পর থেকেই শুনে আসছেন বাবার পরে তার দুই বোনের দায়িত্ব নিতে হবে। বছরদশেকের ছোটবোনের পড়াশোনা থাকা খাওয়ার যাবতীয় খরচ তিনি দেন। কিন্তু তবুও তার বাবা-মা তাকে বলেন তিনি নিজের বউ বাচ্চার জন্য টাকা খরচ করতে গিয়ে ছোটবোনের বিয়ের কথা ভাবছেন না। তাই নিজের শখ আহ্লাদ সব বাদ দিয়ে পরিবারের সবার সুখের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন তিনি।
বাবার পরে সংসারের দায়িত্ব ছেলেকে নিতে হবে এমন একটা ধারণা আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই পরিবারের খরচ চালাতে যেয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজে ঢুকে যান। অনেক বাবাকেই আক্ষেপ করে বলতে শোনা যায় বাবারা তো টাকা উপার্জনের যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। অর্থাৎ বাবা কিংবা ভাই হওয়া মানেই যেন আলাদা একটা সামাজিক চাপ। তানিয়া হক বলেন, আমাদের সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়াটাই এমন। মিডিয়া, পরিবার, শিক্ষাক্ষেত্র, ধর্ম, রাষ্ট্র প্রতিটা ক্ষেত্রেই পুরুষের উপর বাড়তি চাপের বিষয়টা চলে আসছে। তিনি বলেন, এর ফলে একটা মানুষ যেভাবে বেড়ে উঠতে চায় তা সে পারেনা। এবং একধরণে বাঁধাধরা নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে বাঁচতে বাধ্য হয় সে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক সমাজেরই কিছু নির্দিষ্ট রীতিনীতি থাকে। আশা করা হয় সমাজের মানুষ সেগুলো মেনে চলবে। আমাদের সমাজেও তেমনি একটা ছেলেকে পুরুষালী হতে হয়। আর পুরুষ হতে গেলে তার কাঁদা চলবে না, আবেগ চেপে রাখতে হবে, পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে, শক্তিশালী এবং সাহসী হতে হবে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, এই চাপটা মূলত পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাই দিয়ে থাকে যা একজন মানুষের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, কোন ছেলের হয়ত নার্স হওয়ার ইচ্ছা বা ছোট শিশুদের পড়াতে ভালো লাগে। কিন্তু সমাজে প্রচলিত আছে বাচ্চাদের শুধুমাত্র মেয়েরাই পড়াবে কিংবা নার্সিংও শুধুমাত্র মেয়েদের পেশা। ফলে সেই ছেলেটাকে নিজের পছন্দের পেশা বাছাই করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে তার মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী হওয়ার চাপে একটা ছেলে অনেকসময় আত্মহত্যা করে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর ঘটে যাওয়া আত্মহত্যার ঘটনাগুলোকে উদাহরন হিসেবে দেখান তিনি। দেশে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার ফলে কর্মজীবন নিয়ে হতাশা কাজ করে ছেলেদের মনে। এসব কারণে তারা আত্মহত্যা করে বলে মনে করেন তিনি।
এইযে নিজেকে একজন পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার চাপ এর প্রভাবে কি একটা ছেলে নিজেকে মানুষ ভাবতে পারছে কিংবা একজন নারীকেও সে কি মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করছে? অধ্যাপক সাইফুল বলেন, আমাদের সমাজে জন্মের পর থেকেই ছেলে আর মেয়ের সাথে আলাদা আলাদা আচরণ করা হয়। ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, একটা ছেলে শিশু ছোটবেলা থেকেই নিজেকে সুপিরিয়র ভাবতে শিখে যায়। এই আচরণের প্রভাব তাদের পরবর্তী জীবনেও পড়ে। তিনি বলেন, ছেলে মেয়ে যে সমান এইটা ভাবতে শেখাতে হবে। দায়িত্ব ভাগাভাগি করতে শেখাতে হবে।
আমাদের দেশে অনেকসময় দেখা যায় বোন থাকলে ভাইরা বিয়ে করতে পারেনা। আগে বোনদের বিয়ে দিতে হবে এমন একটা অলিখিত নিয়ম যেন চালু আছে। এতে অনেক ছেলের সম্পর্ক ভেঙে যায়। চাপ পড়ে তার মানসিক ভালো থাকায়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন অনেক চাপই ছেলেদের নিতে হয় আমাদের দেশে।
বাবা মা কেউ অসুস্থ হলে ছেলে সন্তানের উপরই চাপ থাকে খরচ করার। মেয়ে সন্তান ভালো উপার্জন করলেও মূল দায়িত্ব ছেলেকেই নিতে হয়।
আবার ছেলেদের আবেগ প্রকাশেও বাঁধা দেওয়া হয়। শেখানো হয় ছেলে মানুষ কখনও কাঁদে না। তাই হাজার কষ্ট হলেও আমাদের দেশের ছেলেরা বাধ্য হয় আবেগ চেপে রাখতে। হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডঃ লেনিন চৌধুরী বলেন, একজন মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে যেসব বৈশিষ্ট্য বিকশিত হবার তা হবেই। কিন্তু সমাজে মেয়েদের যেমন নরম কোমল আর সহশীল হতে শেখায় তেমনি একটা ছেলেকে রাফ এন্ড টাফ হতে শেখায়। এতে দেখা যায়, তাদের মধ্যে একধরণের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের জন্ম নেয়। তারা যুক্তিহীনভাবে বেড়ে ওঠে। এতে তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
অনেকসময় দেখা যায় ছেলে সন্তানকে বা পুরুষদের বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে দেওয়া হয়। তাই পুরুষেরাই বেশি উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের মত রোগে ভুগে থাকেন।
সামাজিক নানা বাড়তি চাপে মানসিকভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হন একজন পুরুষ? লেলিন চৌধুরী বলেন, মানুষ হিসেবে আবেগ প্রকাশ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সেটা করতে না পারলে নানারকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তিনি বলেন অতিরিক্ত চিন্তা করলে বা আবেগ চেপে রাখলে আমাদের শরীরে স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। যা উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা, স্ট্রোক, হৃদরোগ, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ও স্নায়ুতন্ত্রের অসুখ ডেকে আনে। আর এসব রোগে ছেলেদেকেই বেশি ভুগতে দেখা যায়।
একটা সমাজে নারী পুরুষের সমানাধিকার তখনই আসবে যখন তারা সমভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং তাদের সাথে সমানভাবে আচরণ করা হবে। যে ছেলেটা আজ ব্যাগ ওঠাতে পছন্দ করে না তাকে জোর করে ব্যাগ ওঠানো বা বাজার করানো নিষ্প্রয়োজন। একটা ছেলে যখন নিজেকে পুরুষ না ভেবে মানুষ ভাবতে শিখবে তখনই সে সমাজের বাকি সবাইকে মানুষ ভাবতে পারবে এবং সম্মান দেখাবে।
কাভার ফটো অলঙ্করণ: আবু হাসান
সারাবাংলা/ আরএফ/ এসএস
ছেলেদের উপার্জন ছেলেদের পেশা পুরুষতন্ত্র পুরুষতন্ত্রের চাপ পুরুষের চাপ পুরুষের দায়িত্ব পুরুষের দায়িত্বের বোঝা সমাজের চাহিদা