হতে পারে বজ্র-বৃষ্টি, ধুলোর ওড়াউড়ি
১৯ মার্চ ২০১৯ ০২:১৮
হঠাৎ শীতের শেষে ফাল্গুনের ফুটন্ত আকাশ
সাহসী দৈত্যের মতো অভাবিত মেঘের আসর
জমলো এমনভাবে, ভাবলাম, বঙ্গোপসাগর
উদ্বৃত্ত জলের কণা পাঠিয়েছে আগেই এ মাসে।
সেই কবে এই কথা বলেছিলেন কবি আল মাহমুদ। এ বছরও কিন্তু একই পরিস্থিতি। এবারও ফাল্গুলের ফুটন্ত আকাশে বজ্র-বৃষ্টি-শিলা হানা দিয়েছে বারবারই। ফাল্গুন শেষে চৈত্রের শুরুতেও সেই একই অবস্থা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কারণ পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশে রয়েছে। এই মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপও রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এর প্রভাবে রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলাও থাকবে।
ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবেই কি না, আবহাওয়া তুলনামূলক শীতল থাকবে। মানে এই চৈত্রে যতটা গরম লাগার কথা ততটা হয়ত লাগবে না। তাই বলে শীত লাগবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। দুপুরের দিকে বরং কিছুটা ভ্যাপসা গরমও পড়তে পারে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর রাতে তা নেমে যাবে ২১ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া বেশ শুষ্কই থাকবে। যদি সেরকম বৃষ্টি না হয় তাহলেও বাতাসে থাকবে ধুলোর ওড়াউড়ি। সেজন্য সারাদিন রাজপথ মাড়িয়ে বাড়ি ফিরে চুল শ্যাম্পু করে ফেলাই ভালো।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, নারীরা এরকম সময়ে মাথায় পাতলা স্কার্ফ জড়িয়ে নিতে পারেন। তাহলে ধুলো আর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও বাঁচা যাবে। তাই বলে ভেজা চুল কিন্তু ভুলেও বেঁধে রাখা যাবে না।
সে যাই হোক, চৈত্রের পঞ্চম দিন রোগে-গরমে-মেঘে-বৃষ্টিতে ভালো কাটুক, এটাই প্রত্যাশা।
সারাবাংলা/এসএমএন