পহেলা বৈশাখে ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে নিতে ভুলবেন না
১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৮
ঢাকা: সারা বছরজুড়ে জমানো যত গ্লানি আর জরা মুছে দিতে প্রতিবছর ‘তাপস নিঃশ্বাস বায়’ সঙ্গে নিয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। সূর্যের তীব্র তাপদাহের ভ্রূকুটিকে উপেক্ষা করে আমরা বাঙালিরা রঙিন সাজে সেজে মেতে উঠি বাংলা বর্ষবরণের আনন্দে। তবে, বর্ষবরণের আনন্দকে ফিকে করে দিতে পারে হঠাৎ আসা কালবৈশাখী ঝড় বা তুমুল বৃষ্টি। তবে আপনাদের জন্য সুখবর হলো, এবারের বাংলা বছরের প্রথমদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সারাদেশে বাংলা বছরের প্রথম দিনের সকালের তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিক। তাই রাজধানীবাসী বন্ধু-বান্ধব আর পরিবার-পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তে সেজেগুজে বেরিয়ে যেতে পারেন রমনার বটমূলের উদ্দেশে। এরপর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাতেই নির্বিঘ্নেই যোগ দিতে পারবেন, প্রকৃতি বাধ সাধবে না।
তবে, যারা সারাদিনের জন্য বের হচ্ছেন, তারা কিছুটা শতর্কতা অবলম্বন করেই বের হন। কারণ, বাঙালির বর্ষবরণের আনন্দকে ফিকে করে দিতে বৈশাখের প্রথম দিনের দুপুরে নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতরের তুলনামূলক বৃষ্টি পরিমাপের ম্যাপে দেখা যায়, পহেলা বৈশাখের সকালে ঢাকার আকাশ পরিষ্কার থাকলেও দুপুরের পরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সঙ্গে ছাতা বা রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।
দেশের অন্য এলাকার লোকজনও সকালে নিশ্চিন্তে নববর্ষ বরণ করতে পারবেন বলেই জানা গেছে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে। তবে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, ‘বৈশাখের প্রথম দিনে আমরা কালবৈশাখীর আশঙ্কা করছি না। তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থামার পর তাপমাত্রা বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চৈত্রের শেষ থেকে বৈশাখের শুরুর এই সময়টা সাধারণত এমনই থাকে। এই সময় আমরা যেকোনো কিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকি।’ তাই প্রস্তুত থাকুন আপনারাও। নববর্ষ উপলক্ষে কেনা নতুন পোশাক এবং নিজেকে বৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে শুষ্ক থাকুন অথবা বৃষ্টিতে ভিজেই মেতে উঠুন বর্ষবরণের আনন্দে।
এদিকে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, রোববার দুপুরে বেশ ভালো বৃষ্টিপাত হবে ঢাকা ও এর পাশের জেলাগুলোতে। সংবাদ মাধ্যমটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ প্রবল বর্ষণের মুখোমুখি হতে পারে ঢাকা শহর। ঢাকা আবহাওয়া অফিস অবশ্য রাতের বেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছে।
সারাবাংলা/টিএস/এটি/আরএফ