ধু-ধু আকাশের দিকে চোখ রাখা দায়
৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩২
আকাশ ভীষণ খাঁ-খাঁ, একরত্তি মেঘ নেই, শুধু
তরল আগুন গ’লে পড়ছে চৌদিকে। এই ধু-ধু
আকাশের দিকে চোখ রাখা দায়। হঠাৎ কখনো
জমে মেঘ; মনে হয়, হয়তোবা বৃষ্টি হবে ঘন,
হৃদয়-ডোবানো বৃষ্টি। কোত্থেকে ডাকাত এসে সব
কালো মেঘ লুট করে নিয়ে যায়; দিগন্ত নীরব।
কেমন করে কবি শামসুর রাহমান একেবারে বছরের এই সময়টার বর্ণনা দিয়ে গেছেন!
দুপুরেই আমার এই কবিতাটার কথা মনে পড়ছিল। কী ভয়ানক গরমটাই না ছিল সেই সময়টা। গাছের পাতাগুলোও যেন নড়তে ভুলে গিয়েছিল। যদিও জানাই ছিল যে, এমন গরম পড়বে। কারণ আবহাওয়া অফিস জানিয়েই রেখেছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দুঃখের কথা হলো, এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ সহসাই মুক্তি মিলছে না।
তবে ঘূর্ণিঝড় ফণি, যেটি রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা একটি লঘুচাপ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায়।
ফণির কারণে রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্র বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে হিসেবে রংপুর আর সিলেটের মানুষকেই আপাতদৃষ্টিতে সুখি মনে হচ্ছে। অন্তত ঠাণ্ডা হাওয়ার ছোঁয়া তো মিলবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীতে দিনের তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে কিছু মেঘের আনাগোনা থাকলেও দিন হবে রৌদ্রজ্জল। তবে আশার কথা হলো রাতের তাপমাত্রা কমবে।
এই গরমে শিশু আর বৃদ্ধদের দিকে বেশি নজর দিন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি যেন তারা পান করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
নিরাপদে কাটুক সকলের দিন।
সারাবাংলা/এসএমএন