গোমড়া আকাশ পড়ল ঝরে
৩০ জুন ২০১৯ ১২:১৪
সকাল বেলা ঘুম থেকেই উঠতেই ঢাকাবাসীর দেখা হয়েছে গোমড়া আকাশের সঙ্গে। সেই গোমড়ামুখো আকাশ একটু পরেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার উপর। আর তাতে ভিজে একাকার হয়েছেন অফিসগামী মানুষজন।
আর এই অফিসগামী মানুষের তালিকায় ছিলাম আমিও। অবশ্য সাতসকালে রাজধানীর রাস্তায় আরও কিছু মানুষকে স্বেচ্ছায় ভিজতে দেখেছি। রিমঝিম বৃষ্টিতে ভেজার মধ্যে একধরনের আনন্দ আছে বৈকি।
যতই আনন্দ থাকুক, যদি খুব জরুরি কোনো কাজ বা মিটিং থাকে সেক্ষেত্রে ভিজে অফিস যাওয়াটা বোকামিই হবে। কারণ ভেজা শরীর নিয়ে আপনি প্রেজেন্টেশন দেবেন বা ক্লায়েন্ট মিটিং করবেন সেইটা নিশ্চয় ভালো হবে না।
সে যাই হোক, সকালটা তো ভালোই ভালোই কেটে গেছে। এবার আসুন জেনে নিই বাকি দিনটা কেমন যাবে।
উপগ্রহের হিসাব অনুযায়ী দুপুরেও বজ্রসহ এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। মোটামুটি সারাদিনই থাকবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই সারাদিনই সাবধানে চলতে হবে। বিশেষ করে শিশুরা যেন স্কুল থেকে ফেরার পথে ভিজে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই পুরো মৌসুমটাই তাদের ব্যাগে রেখে দিতে হবে ছাতা কিংবা বর্ষাতি।
এবার জেনে আসি এই আবহাওয়ার কারণ। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিত অংশ ভারতের উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিত অংশ উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
এসবের প্রভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রয়েছে বজ্রপাতের শঙ্কাও।
এরইমধ্যে আমরা জেনেছি যে আজ ভোরে বঙ্গোপসাগরে নোয়াখালীর কাছে সাগর উত্তাল ছিল। আর এতে রীতিমতো একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ থেকে ৪৩ টি কনটেইনার সাগরে পড়েও গেছে। তবে ওইসব কনটেইনারে কী ছিল তা এখনো জানা যায়নি।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে সবাই সাবধানে থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
সারাবাংলা/এসএমএন