ও পাখি তোর যন্ত্রণা !
৩ জুলাই ২০১৯ ১৩:০৯
টম ইলিস একজন শিক্ষক। বসবাস করেন ইংল্যান্ডের ডাবিংশ্যায়ার কাউন্টির প্রিস্ট্যাসিন শহরে। তিনি যে বিরাট পাখিপ্রেমী, তা নন। বরং এই সব পাখি-টাখির ঝুট ঝামেলা তিনি এড়িয়ে যান। একদিন তিনি আবিষ্কার করেন, তারই বাড়ির ছাদে একটি সিগাল দুইটি বাচ্চা জন্ম দিয়ে জায়গা দখল করে নিয়ে বসেছে। দেখে তিনি বেশ বিরক্ত, হতাশ আর নার্ভাস হয়ে পড়েন।
দিন কয়েক পরে নতুন এক যন্ত্রণায় পড়েন টম ইলিস। বাচ্চা দুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিগালটি খুব আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। বাড়ির গেট দিয়ে কেউ ঢুকলেই সে উড়ে আসছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে এবং ঠোকরাতে চাইছে। তার হাত থেকে বাঁচতে দুই তিনবার জায়গা বদল করে, চোখ ফাঁকি দিয়ে গেট থেকে বাড়িতে ঢুকতে হচ্ছে।
উপায়ন্তর না দেখে ভদ্রলোক ফোন করেন ডাবিংশ্যায়ার কাউন্টি কাউন্সিলে। সাহায্যের কথা বলেন। কাউন্সিলের অফিস থেকে, যাতায়াতের সময় তাকে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু আইন করে সিগাল সুরক্ষার নীতি চালু আছে, তাই তাঁর পক্ষে এর থেকে বেশি কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। সিগালকে আঘাত করা বেআইনি। আরও বলা হয় সিগালের এমন আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য মানুষের আগ্রাসী মনোভাবই দায়ী। মানুষের সংস্পর্শে এরা আর নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছে না।
বিবিসি অবলম্বনে
সারাবাংলা/একেএম/এনএইচ