এবার চার্বাক দর্শনে ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র!
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:০৭
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: ‘এরা সাগর ডিঙিয়ে বোমা ফেলে আসে বীর পুরুষের বেশে, মরে কখনও বাঁচেনি যারা’ নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই কার কথা বলা হচ্ছে! বিশ্বের সবচেয়ে ‘ক্ষমতাধর’ রাষ্ট্র খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বে মোড়লগিরি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে কর্তৃত্ব, অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ-সব মিলিয়েই বর্তমান বিশ্বে একছত্র আধিপত্য উত্তর আমেরিকার এ দেশটি।
সেসব রয়েছে আগের মতোই। পরিবর্তন এসেছে কেবল দর্শনে। গত কয়েক বছর ধরে চার্বাক দর্শনে ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র! ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ।’ অর্থাৎ ঋণ করে হলেও ঘি খাও, যতদিন বাঁচো সুখে বাঁচো।
যুক্তরাষ্ট্রের জাঁকজমক, শানশওকত সবই হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দৌলতে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বরাতে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
আজ রোববার এক খবরে সংস্থাটি জানায়, গত বছরের চেয়ে ৮৪ শতাংশ ধার বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। চলতি বছরে দেশটির ধারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ধারের পরিমাণ ছিল ২০৪ বিলিয়ন ডলার, ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক মন্দায় ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় সতেরশ’ ৮৬ বিলিয়ন ডলারে। যার বেশিরভাগই আসে চীনের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। এরপর ক্রমশ কমে গতবছর এ পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। চলতি বছরে এ ঋণের পরিমাণে উল্লম্ফন ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সূত্রে আরও জানা গেছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ১০ বছরের শসনামলে দেশটির জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়েছিল ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওবামা ২০০৮ সালে যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ ছিল ১০ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গত ৮ বছরে জাতীয় ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। এই ঋণের বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় হয়েছে চিকিৎসা, গবেষণা, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা ও সামরিক খাতে।
সারাবাংলা/ এসবি