ঈদের দিন সারাদেশে ‘হালকা’ বৃষ্টির শঙ্কা
১১ আগস্ট ২০১৯ ১১:৫৭
রোজার ঈদের কথা মনে আছে? কী তুমুল বৃষ্টি। ঈদের জামাত, ঈদগাহ সব বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। তখন ভেবেছিলেন, রোজার ঈদে বৃষ্টি হয় হোক, কোরবানির ঈদে না হোক। কারণ কোরবানির ঈদে বৃষ্টি-টৃষ্টি হলে পানি-কাদা-পশুর রক্ত-বর্জ্যে মাখামাখি হয়ে যাবে একেবারে।
কিন্তু বিধিবাম। সেই কোরবানির ঈদের দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দুপুরের পর তো দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ ভালো পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে সারাবাংলাকে তেমন কথাই জানালেন।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ঈদের দিন অর্থাৎ সোমবার (১২ আগস্ট) সকালের দিকে ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি কমই থাকবে। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও তো ভারী বৃষ্টি হবে।
সোমবার সারাদেশের তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। দেশের কোথাও কাল তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সারাদিনই আকাশে রোদ-বৃষ্টির খেলা চলবে।
অ্যাকুওয়েদার জানাচ্ছে, ঈদের দিন সকালে ঢাকায় ১২ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হতে পারে আর বাতাসের আদ্রতা থাকতে পারে ৮৪ শতাংশ। সারাদিনই ঢাকায় কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়ে দিচ্ছে এই ওয়েবসাইটটি।
এখন আসি ঈদের দিন বৃষ্টি হলে কী করবেন সেই প্রসঙ্গে। প্রথমেই মনে করিয়ে দিই, ঈদের নামাজ পড়তে গেলে সঙ্গে ছাতা নেওয়ার কথা। কারণ, তা না হলে ভিজে নাস্তানাবুদ হতে পারেন।
এছাড়া যেহেতু বৃষ্টির পানিতে পশুর রক্ত ও কোরবানির বর্জ্য খুব দ্রুত মিশে ছড়িয়ে যেতে পারে তাই সাবধানে কাজ করতে হবে। যেন রক্ত বা বর্জ্য নির্দিষ্ট ড্রেন বা নালা দিয়েই প্রবাহিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। মাটিতে গর্ত করে বর্জ্য পুতে ফেলতে হবে কিংবা এমনভাবে রাখতে হবে যেন তা পরিবেশ নষ্ট না করে এবং সিটি করপোরেশনের গাড়ি আসলে সহজেই তা তুলে নিতে পারে।
যেখানে সেখানে পশুর রক্ত বা অন্যান্য বর্জ্য ফেলে রাখা কোনোভাবেই সুনাগরিকের কাজ হতে পারে না। যেহেতু আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে দায়িত্ব পালন আশা করি সেহেতু আমাদের নিজেদেরও তো সচেতন থাকা দরকার, তাই না?
সবার দিন ভালো কাটুক। ঈদ মোবারাক।