ঐতিহাসিক ঘটনাবহুল আশুরা আজ
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:০৬
হিজরি ১৪৪১ সালের ১০ মুহাররম আজ। সেই হিসাবে মুসলিম বিশ্বে আজ পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার এই দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস। বাংলাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটি।
আরবি ‘আশারা’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ১০ বা দশম। আরবি ক্যালেন্ডারের হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে বলা হয় আশুরা। মহান আল্লাহ বছরের যে কয়েকটি দিনকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন, তার মধ্যে আশুরা বা মহররমের ১০ তারিখ অন্যতম। ঐতিহাসিক ও ঘটনাবহুল এ দিবসটিকে বলা হয় পৃথিবীর আদি-অন্তের দিন। অর্থাৎ এ দিনেই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে, ধ্বংস বা কেয়ামতও এ দিনেই সংঘটিত হবে।
যে সব ঘটনায় তাৎপর্যপূর্ণ আশুরা
আশুরার দিন যেসব তাৎপর্যময় ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, সংক্ষেপে সেগুলো হলো—
১. এই দিনে আল্লাহ তা’আলা পৃথিবী সৃষ্টি করেন। আর এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
২. এ দিনে হজরত আদম (আ.) বেহেশত থেকে দুনিয়ায় নেমে আসেন। মহররমের ১০ তারিখে আল্লাহ পাক আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল করেন এবং এ দিনে তিনি স্ত্রী হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে সাক্ষাৎ করেন।
৩. হজরত নুহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা আল্লাহর গজব মহাপ্লাবনে নিপতিত হওয়ার পর ১০ মহররম তিনি নৌকা থেকে ঈমানদারদের নিয়ে দুনিয়ায় অবতরণ করেন।
৪. হজরত ইব্রাহিম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ৪০ দিন পর ১০ মহররম সেখান থেকে মুক্তি লাভ করেন।
৫. হজরত আইয়ুব (আ.) ১৮ বছর কঠিন রোগ ভোগ করার পর মহররমের এ দিনে আল্লাহর রহমতে সুস্থতা লাভ করেন।
৬. হজরত ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র হজরত ইউসুফ (আ.) তার ১১ ভাইয়ের ষড়যন্ত্রে কূপে পতিত হন এবং এক বণিক দলের সহায়তায় মিসরে গিয়ে হাজির হন। তারপর আল্লাহর বিশেষ কুদরতে তিনি মিসরের প্রধানমন্ত্রী হন। ৪০ বছর পর ১০ মহররম পিতার সঙ্গে মিলিত হন।
৭. হজরত ইউনুস (আ.) জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে নদী অতিক্রম করে দেশান্তরিত হওয়ার সময় নদীর পানিতে পতিত হন এবং মাছ তাকে গিলে ফেলে। মাছের পেট থেকে তিনি আল্লাহর রহমতে ৪০ দিন পর মুক্তি পান ১০ মহররম তারিখে।
৮. হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের অত্যাচারের কারণে তার দলবলসহ অন্যত্র চলে যান। পথে নীল নদ পার হয়ে তিনি ফেরাউনের হাত থেকে আশুরার দিন মুক্তি পান। আর ফেরাউন তার দলবলসহ নীল নদের পানিতে ডুবে মারা যায়।
৯. হজরত ঈসা (আ.)-এর জাতির লোকেরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলে মহররমের ১০ তারিখ আল্লাহ পাক তাকে আসমানে উঠিয়ে নিয়ে মুক্তি দান করেন।
১০. মহররম মাসের ১০ তারিখ কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনার অবতারণা হয়। এদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন কারবালা প্রান্তরে শাহাদাতবরণ করেন। তবে শেষ ঘটনাটির জন্য বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বে আশুরা দিবসটি বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
কারবালার ইতিহাস ও বিষাদ সিন্ধু
‘ঊনবিংশ শতাব্দীর সপ্তম দশকের দিকে সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ লেখকদের অন্যতম মীর মশাররফ হোসেন যে মহাকাব্য দিয়ে তুমুলভাবে সাড়া ফেলে দেন তা হলো ‘বিষাদ সিন্ধু’। এই মহাকাব্যের রয়েছে তিনটি পর্ব— ‘মহরম পর্ব’, ‘উদ্ধার পর্ব’ ও ‘এজিদ বধ পর্ব’।
ইতিহাসে উল্লেখ আছে, ইসলামের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হোসেন দামেস্ক অধিপতি মাবিয়ার পুত্র এজিদের খলিফা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে কারবালা প্রান্তরে হৃদয় বিদারক হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়।
মহররম পর্বের বিষয়বস্তু হলো ইমাম হাসানের সাথে এজিদের বিরোধ, ইমাম হাসানকে বিষ প্রয়োগে হত্যা ও কারবালায় ইমাম হুসাইনকে হত্যা।
এর ইতিহাসে লেখা হয়েছে, আবদুল জব্বারের স্ত্রীর নাম জয়নাব। খুবই রূপবতী। মু‘আবিয়ার পুত্র ইয়াযীদ তাকে দেখে মুগ্ধ হয় এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। ইয়াযীদের মা মারওয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং প্রলোভন দেখিয়ে জয়নাবের সঙ্গে আবদুল জব্বারের বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করে। আবদুল জব্বার জয়নাবকে তালাক দেয়। এরপর ইয়াযীদ জয়নাবের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দূত পাঠায়। পথে এ দূতের সঙ্গে ইমাম হাসানের সাক্ষাৎ হয়। ইমাম হাসান জয়নাবের কাছে তার পক্ষ থেকেও বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য দূতকে অনুরোধ করেন। জয়নাব ইয়াযীদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে এবং ইমাম হাসানের প্রস্তাব গ্রহণ করে। ইমাম হাসান জয়নাবকে বিয়ে করেন। ইয়াযীদ ক্রোধে ফেটে পড়ে। অন্যদিকে ইমাম হাসানের অপর স্ত্রী জায়েদা জয়নাবকে হিংসা করতে শুরু করে।
এর মধ্যে মু‘আবিয়া অসুস্থ হয়ে মারা যান। ইয়াযীদ বাদশাহ হয়। সে মদিনার অধিবাসীদের তার আনুগত্য স্বীকার করার নির্দেশ দেয়। মদিনার অধিবাসীরা তা অস্বীকার করলে ইয়াযীদ মারওয়ানকে মদিনা আক্রমণের জন্য পাঠায়। মদিনার সেনাদলের সঙ্গে মারওয়ানের সেনাদলের যুদ্ধ হয় এবং মারওয়ান পরাজিত হয়। পরে মারওয়ান মায়মুনা নামের এক বৃদ্ধার সাথে ইমাম হাসানকে হত্যার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র করে। মায়মুনা ইমাম হাসানের স্ত্রী জায়েদার মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে ইমাম হাসানকে হত্যা করে। ইমাম হুসাইন এ হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
এদিকে কুফার শাসক উবায়দুল্লাহ ইবনে যিয়াদ (আবদুল্লাহ জেয়াদ) ধোঁকা দিয়ে ইমাম হুসাইনকে বন্দি করার জন্য বাহ্যিকভাবে ইমাম হুসাইনকে নেতা বলে স্বীকার করে এবং তাকে কুফায় আসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠায়। ইমাম হুসাইন কুফার অবস্থা যাচাইয়ের জন্য মুসলিম ইবনে আকীলকে পাঠান। মুসলিম কুফার ব্যাপারে ইতিবাচক পত্র পাঠানোর পর ইমাম ছয় হাজার সৈন্য নিয়ে কুফার দিকে রওয়ানা হন। পথে তিনি মুসলিমের শাহাদাতের খবর পান। মুহররম মাসের আট তারিখে ইমাম হুসাইন কারবালার প্রান্তরে পৌঁছেন। এখানে ইয়াযীদের সেনাবাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ হন। তারা ফোরাত নদীর পানি বন্ধ করে দেয়। ইমামের পরিবার ও সাথীরা ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে পড়েন। এ অবস্থার মধ্যেও ইমাম হুসাইন তার মেয়ে সাকীনার সাথে ইমাম হাসানের ছেলে কাসেমের বিয়ে দেন। অবশেষে মুহররমের ১০ তারিখে ইয়াযীদের সেনাদলের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ইমাম হুসাইন তার সব সঙ্গী-সাথীসহ শাহাদাত বরণ করেন।
কারবালা প্রান্তরের এ বিয়োগাত্মক ঘটনা বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন ভাবে উঠে এসেছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার মহররম কবিতায় আশুরার দিনের সে ঘটনাকে তুলে ধরেছেন—
‘নীল সিয়া আসমান লালে লাল দুনিয়া –
আম্মা লাল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া,
কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে?
সে কাঁদনে আসু আনে সিমারের ও ছোরাতে।
রুদ্র মাতম ওঠে দুনিয়া দামেস্কে –
জয়নালে পরালো এ খুনিয়ারা বেশ কে ?
হায় হায় হোসেনা ওঠে রোল ঝঞ্ঝায়,
তলোয়ার কেঁপে ওঠে এজিদের পাঞ্জায়
উন্ মাদ দুল দুল ছুটে ফেরে মদিনায়
আলীজাদা হোসেনের দেখা হেথা যদি পায়।’
যেভাবে উদযাপিত হয় আশুরা
ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মুহররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে। শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে। আশুরা উপলক্ষে ৯ ও ১০ মুহররম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ রোজা মুহররম তারিখে রাখা মুলমানদের জন্য সুন্নাত। এছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের জন্য চেষ্টা করে থাকে।
কারবালার শিক্ষা
আশুরার দিন কারবালা প্রান্তরে মানব ইতিহাসের যে নির্মম কাহিনী রচিত হয়েছিল তা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাদের মজবুত ঈমান। তাই আমাদের ঈমানি চেতনায় বলীয়ান হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
কারবালার প্রান্তরে হজরত হুসাইন (রা.) সপরিবারে আত্মত্যাগ করে সমগ্র বিশ্ববাসীকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যে মস্তক আল্লাহর কাছে নত হয়েছে সে মস্তক কখনও বাতিল শক্তির কাছে নত হতে পারে না। আল্লাহর পথে অটল থাকতে মুমিনরা তাদের জীবনকে উৎসর্গ করতে দ্বিধা করে না। তাই আজকের মুসলমানরা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শপথ নিতে পারলেই কেবল আশুরার তাত্পর্য প্রতিফলিত হবে।
আশুরার বর্জনীয় বিষয়
আশুরার দিন ক্রন্দন-বিলাপ করা, বুকে চাপড়ানো, পিঠে চাবুক দিয়ে আঘাত করা, নিজেকে রক্তাক্ত করা ও শোক মিছিল করা কোনোটিই শরিয়তসম্মত কাজ নয়। কোরআন-হাদিসে এর কোনো ভিত্তি নেই। আশুরার দিন ভালো খাবারের আয়োজন করতে হবে, মুরগি জবাই করতে হবে— এমন ধারণা ও কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। ‘এদিন ভালো খেলে সারাবছর ভালো খাওয়া যাবে’— এ জাতীয় কথিত হাদিস শোনা গেলেও মূলত এ ধরনের কোনো বিশুদ্ধ হাদিস পাওয়া যায় না।
অতএব আশুরার দিন শোক-মাতম না করে এখান থেকে কী শিক্ষা নেওয়া যায় সে চেষ্টাই করা উচিত। তাছাড়া আশুরা মানে কেবল কারবালার ঘটনা নয়; এদিন ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা ঘটেছে। কারবালার ঘটনা ওই ঘটনাগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক ঘটনা, যার মধ্যে মুসলমানের অনেক শিক্ষার বিষয় আছে।
ঢাকায় আশুরার ইতিহাস
বাংলাদেশের শিয়া মতাবলম্বীরা আশুরায় তাজিয়া মিছিল, মাতমসহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। তবে ঢাকায় মহরমের আশুরা পালনের ইতিহাস বেশ পুরনো। মূলত মোগল আমলে ঢাকায় মহরমের আচার-অনুষ্ঠান পালন জোরেশোরে শুরু হয়। মোগলদের মধ্যে শিয়া মতাবলম্বী অনেক অভিজাত ব্যক্তি ছিলেন। মোগল শাহজাদা শাহ সুজা নিজে ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী। তিনি ঢাকায় আসার সময় তিনশ অভিজাত শিয়া পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে শাহ সুজার সুবেদারির সময় ঢাকায় ইমাম বাড়া বা হোসেনি দালান নির্মিত হয়। ইমাম হোসেনের স্মরণে নির্মিত হোসেনি দালান পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এখানে শিয়া উপাসনালয় ও কবরস্থান রয়েছে। অবশ্য ঢাকার হোসেনি দালানের নির্মাণকাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। হোসেনি দালানে স্থাপিত একটি শিলালিপিতে এর নির্মাতা হিসেবে শাহ সুজার নৌ সেনাপতি মীর মুরাদের (১৬৪২ খ্রিস্টাব্দ) নাম রয়েছে।
ইতিহাসবিদ এম হাসান দানির মতে, মীর মুরাদ এখানে ছোট আকারের ইমামবাড়া স্থাপন করেন। এটি ভেঙে গেলে ঢাকার নায়েবে নাজিমরা নতুনভাবে তা নির্মাণ করেন।
ইতিহাসবিদ জেমস টেলর তার বইয়ে বলেন, ১৮৩২ সালেও আদি ইমামবাড়া টিকে ছিল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে তার সংস্কার হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এটি বিধ্বস্ত হয়। ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এটি সংস্কার করেন। ১৯৯৫ ও ২০১১ সালেও ইমাম বাড়ার সংস্কার হয়েছে। তবে ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা হামলা হয়। সে হামলায় একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
মোগল আমল থেকেই ঢাকায় আশুরার দিন তাজিয়া মিছিলের আয়োজন হতে থাকে। এটি ঢাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। ঢাকার নায়েবে নাজিমরা ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী। তাই তারা জাঁকজমকপূর্ণ তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করতেন। উনিশ শতকের প্রথম দিকে আলম মুসাওয়ার নামে এক শিল্পীর ছবিতে ঢাকার মহরম মিছিল মূর্ত হয়েছে। প্রতিবছর আশুরার দিন এখান থেকে তাজিয়া মিছিল বের করেন শিয়া মতাবলম্বীরা। মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে আবার হোসেনি দালানেই ফিরে আসে। ঢাকায় মহরমের মেলাও ঐতিহ্যবাহী। দেশের অন্যান্য স্থানেও মহরমের মেলার ঐতিহ্য রয়েছে।