শনি’র একি অপরূপ রূপ!
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৪৮
শনি’র এমন সুন্দর রূপ পৃথিবীর চোখে আর কখনোই ধরা পড়েনি। এবার নাসা’র লেন্সে শনি ধরা পড়েছে এক অপরূপ রূপে। হাবল টেলিস্কোপে ছবিটি তোলা হয় সম্প্রতি যখন শনি তার বার্ষিক গতির ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে দিয়ে যাচ্ছিলো তখন।
তবে এর সাথে সাথে নাসার বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন। তা হচ্ছে- ঝড়ের কবলে পড়ে শনি’র বলয়ে ক্ষতি হওয়ার দিকটি। হাবল টেলিস্কোপের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা-থ্রি’র এই ছবিতে গ্রহটির পরিবর্তনগুলো স্পষ্টভাবেই ধরা পড়েছে।
গেলো বছরের এক প্রকাণ্ড ও শক্তিশালী ঝড়েই এই ক্ষতির মুখে পড়ে শনি। তাতে এর উত্তর মেরুর দিকটা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে এর উত্তর মেরুর ষড়ভূজ (হেক্সাগন) কাঠামোটি এখনো একই রকম রয়ে গেছে।
এর আগে সাধারণত চলমান স্যাটেলাইট থেকেই এই গ্রহের ছবি তোলা হতো। তখন এর পূর্ণ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র পাওয়া যেতো না, যতটা হাবল তুলতে পারলো। বছরের ঠিক যে সময়টিতে শনি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে দিয়ে যায় তখনই কেবল হাবল এই ছবি তুলতে পারে।
ছবিটি তোলা হয় গত ২০ জুন আউটার প্ল্যানেট অ্যাটমোসফেয়ার লিগ্যাসি (ওপাল) প্রকল্প থেকে। ওই দিনই শনি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে দিয়ে যাচ্ছিলো। তবে তার দূরত্ব ছিলো পৃথিবী থেকে ৮৪৫মিলিয়ন মাইল।
এই ছবিতে দেখা গেছে, শনির রঙও কিছুটা বদলেছে। হলুদাভ পিঙ্গলবর্ণা গ্রহটি ঋতুতে ঋতুতে কিছুটা রঙ পাল্টায়। ছবিটি যখন তোলা হয়, তখন গ্রহটির উত্তর মেরুতে গ্রীস্মকাল চলছিলো।
১৯৮১ সালে নাসা’র ভয়েজার ১ ই প্রথম এই ষড়ভূজটি আবিষ্কার করে। আর বলা হচ্ছে- প্রবল গতিসম্পন্ন জেট স্ট্রিমের কারণেই এই ষড়ভূজের সৃষ্টি।
এবারের ছবিটি এতই স্পষ্ট যে, তাতে শনির বলয়ে অসংখ্য ঘুর্ণায়মান বৃত্তের অবস্থান স্পষ্ট। নাসা মনে করছে, ভবিষ্যতে এই গ্রহে নভোযান পাঠানোর ক্ষেত্রে এই ছবিটি তাদের কাজে দেবে।
গ্যাসে ভরা এই গ্রহটির আবহমণ্ডল সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কীভাবে বদলায় সেটাই এখন বোঝার চেষ্টা করছে ওপাল।
সারাবাংলা/এমএম