পান্ডার মৃত্যুতে তদন্ত দল পাঠাবে চীন
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪৩
১৬ বছর আগে চীন থেকে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই চিড়িয়াখানায় এসেছিল চুয়াং চুয়াং নামের একটি জায়ান্ট পান্ডা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অজানা কারণে মারা গেছে ১৯ বছরের চুয়াং চুয়াং। বিপন্ন এই প্রাণীটির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না চীন। পান্ডাটির মৃত্যু তদন্ত করতে থাইল্যান্ডে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দেশটি। খবর জিনহুয়ার।
বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন প্রাণীকে সেসব দেশের চিড়িয়াখানায় পাঠায় চীন। ২০০৩ সালে ধারে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই চিড়িয়াখানায় এসেছিল চুয়াং চুয়াং নামের পুরুষ পান্ডাটি। সেখানে তার সঙ্গে এসেছিল লিন হুই নামের একটি মেয়ে পান্ডাও। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই পান্ডা যুগল।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই তাদের প্রজননের চেষ্টায় ছিল। তবে চুয়াং চুয়াং লিন হুইয়ের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ না দেখালে বিপাকে পড়েন তারা। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনসহ নানাভাবে চেষ্টা করা হয় চুয়াং চুয়াংয়ের। যেন সে সঙ্গিনীর সাথে প্রজননে আগ্রহী হয়। সব চেষ্টা বিফলে গেলে ২০০৯ সালে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করানো হয় পান্ডা দুটির। এরপর লিন হুই বাচ্চা প্রসব করে।
গত সোমবার হঠাৎ করেই মারা যায় চুয়াং চুয়াং। সাধারণত জায়ান্ট পান্ডার গড় আয়ু ২৫ থেকে ৩০ বছর। এই সময়ের আগেই চুয়াং চুয়াংয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি চীনের প্রাণীপ্রেমীরা। চীনের সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, পান্ডাটির মৃত্যুতে চীনের কনজারভেশন ও রিসার্চ সেন্টার থেকে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল যাবে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই চিড়িয়াখানায়। সেখানে এই মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত করবেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চুয়াং চুয়াংয়ের এই অকাল মৃত্যুতে ক্ষোভ জানিয়েছে চীনের মানুষ। অনেকেই লিখেছেন, থাইল্যান্ড পান্ডাদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত জায়গা নয়। অনেকে আবার বলছেন, থাইল্যান্ডের চিড়িয়াখানা চুয়াং চুয়াংয়ের যত্ন নেয়নি। চুয়াং চুয়াংয়ের সঙ্গিনী লিন হুইকে চীনে ফেরত পাঠানোর দাবিও করেছেন তারা।