যে ওরাংওটাং পেয়েছে মানুষের অধিকার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৭
আলোচিত এই ওরাংওটাং-এর নাম ‘সান্দ্রা’। ১৯৮৬ সালে সে জন্মেছিল জার্মানিতে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে তাকে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের একটি চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়।
স্বভাবে সান্দ্রা একটু বেশিই লাজুক। চিড়িয়াখানার কোলাহল সে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। তবে, বুয়েন্স আয়ার্সের সেই চিড়িয়াখানার পরিবেশ ছিল জঘন্য।
সান্দ্রা খুব ভালো নেই বুঝতে পেরে কয়েকজন আইনজীবী সান্দ্রার সুরক্ষা ও মানুষের মতোই অধিকার চেয়ে দাবি জানান আদালতে। বেশ কয়েকবার রিট বাতিল হলেও ২০১৪ সালে আদালত রায় দেন সান্দ্রাকে ‘ব্যক্তি’ হিসেবেই গণ্য করতে ও সুরক্ষা দিতে হবে।
প্রায় ২০ বছরেরও বেশি সময় আর্জেন্টিনায় থাকার পর সান্দ্রা এবার নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। তাকে বেশ কিছুদিন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কানাসে নিয়ে আসা হবে।
ফ্লোরিডায় সান্দ্রা তার নতুন বাড়িতে আরও বন্ধুদের দেখা পাবে। আরও ১১টি ওরাংওটাং রয়েছে এখানে। এছাড়া রয়েছে খেলাধুলা ও সময় কাটানোর মতো পরিবেশ। বুয়েন্স আয়ার্সের চিড়িয়াখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার আদালত সান্দ্রাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন।
৩৩ বছরের সান্দ্রা ১৯৯৯ সালে ‘এক মেয়ের’ মা হয়েছিলেন। তবে সেই শিশু ওরাংওটাংকে বিক্রি করে দেওয়া হয় চীনে।