নোবেলজয়ী ৫৩ নারী [ফটো স্টোরি]
১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৪৫ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:০১
জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় শুরু থেকেই নারীরা অবদান রেখে আসছেন। তবে পুরস্কার বা স্বীকৃতির ক্ষেত্রে নারীদের অবজ্ঞা করা হয় বলে রয়েছে অভিযোগ। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৫৩ জন নারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল জিতেছেন। তাদের মধ্যে মেরি কুরি ১৯০৩ সালে পদার্থবিজ্ঞান ও ১৯১১ সালে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন।
- ১. এসথার দুফলো ফরাসি অর্থনীতিবিদ ও এমআইটির অধ্যাপক। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন পথ নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে দুফলো অর্থনীতিতে নোবেল জিতেন।
- ২. ওলগা তোকারচুক পোলিশ লেখক। তিনি শিক্ষক পিতামাতার সন্তান। স্থানিক প্রতিবেশের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকলেও পৃথিবীকে দেখেছেন পাখির চোখে। ওলগার বিখ্যাত উপন্যাস ‘সেইগি জাকুবো’ ‘দ্য জার্নি অব দ্য বুক পিপল’ ‘ফ্লাইটস’। তিনি সাহিত্যে নোবেল জিতেন ২০১৯ সালে।
- ৩. নাদিয়া মুরাদ ইয়াজিদি গোত্রের শরণার্থী। মানব পাচার, গণহত্যা-নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের নিয়ে তিনি কাজ করে থাকেন। এই মানবাধিকার কর্মী ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি-গোষ্ঠী কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন।
- ৪. বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস আরনোল্ড এনজাইমের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেছেন। মার্কিনিদের মধ্যে প্রথম এবং সারাবিশ্বে পঞ্চম নারী হিসেবে তিনি রসায়নে নোবেল জিতেন। ২০১৮ সালে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
- ৫. ডোনা স্ট্রিক্টল্যান্ড কানাডার ওন্টারিওতে বেড়ে উঠেছেন। তিনি গবেষণা করেন লেজার রশ্মি নিয়ে। ২০১৮ সালে তাকে পদার্থবিদ্যায় নোবেল দেওয়া হয়।
- ৬. সেতলানা অ্যালেক্সিভিস ইউক্রেনে জন্ম নেওয়া লেখক ও সাংবাদিক। লেখকসুলভ কল্পনা আর সাংবাদিকসুলভ ডকুমেন্টেশনের কারণে তার প্রামাণ্য উপন্যাসগুলোর ভেতরে বাইরে সোভিয়েত ইউনিয়নের নস্টালজিয়া। অধিকাংশ লেখার প্রেক্ষাপট অবিভক্ত রাশিয়া আর বেলারুশের বিভিন্ন রাজনৈতিক শাসনামলকেন্দ্রিক। তিনি ২০১৫ সালের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৭. ইউ ইউ টু্ চীনের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির একজন প্র্যাক্টিশনার। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে যুগান্তকারী ভূমিকার জন্য এই নারী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি ২০১৫ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জয় করেন।
- ৮. মে ব্রিট মোজার নরওয়েজিয়ান মনোবিজ্ঞানী। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য মস্তিষ্কের যে কোষ সংরক্ষণ করে তার পরিচয় সারা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরেছেন। ব্রিট মোজার ২০১৫ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৯. মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানি নারীর লৈঙ্গিক সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। বিশেষত নারীশিক্ষার ইস্যুতে সোচ্চার তিনি। ২০১২ সালে স্কুল থেকে ফেরার সময় তালেবান জঙ্গিরা তার মাথায় গুলি করে। সৌভাগ্যক্রমে মালালা বেঁচে যান। নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে কনিষ্ঠতম হিসাবে তিনি ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল লাভ করেন।
- ১০. অ্যালিস মুনরো কানাডিয়ান লেখক। ছোটগল্পের জন্য জগদ্বিখ্যাত। গল্পের বিভিন্ন চরিত্রের বর্ণনায় নিজের অভিজ্ঞতার গল্পই যেন জানিয়ে থাকেন। ২০১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন।
- ১১. লেম্যাগ বাউয়ি লাইবেরিয়ার শান্তি আন্দোলনের কর্মী। দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন খ্রিস্টান ও মুসলিম নারীদের সংগঠিত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০১১ সালে জিতেন শান্তিতে নোবেল।
- ১২. তাওয়াককুল কারমান ইয়েমেনের সাংবাদিক। সীমিত গণতান্ত্রিক অধিকারের কঠোর সমালোচক। আটক হয়েছেন, প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন কিন্তু থেমে যাননি। গণতান্ত্রিক অধিকার ও বাক-স্বাধীনতার পক্ষে বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘উইমেন জার্নালিস্টস উইদাউট চেইনস। ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- ১৩. অ্যালেন জনসন সারলিফ লাইবেরিয়ার নির্বাচিত নারী সরকারপ্রধান হিসেবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন। লিখেছেন অনেক বই। ২০১১ সালে শান্তিতে নোবেল জিতেন।
- ১৪. অ্যাডা ই ইয়োন্যাথ ইসরাইলি ক্রিস্টাল বিশেষজ্ঞ। কোষীয় বস্তুতে রাইবোজোম এর গঠন বর্ণনা করে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তিনি ২০০৯ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী।
- ১৫. মার্কিন ডাক্তার দম্পতির সন্তান অ্যালিজাবেথ এইচ ব্ল্যাকবার্ন। তিনি ক্রোমোজোমের শেষ সুরক্ষা ধাপ টেলিমরে নিয়ে গবেষণা করেছেন। ২০০৯ সালে চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন।
- ১৬. অ্যালিনোর অস্ট্রোম আমেরিকান রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ। এমন এক সমবায় ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নিয়ে গবেষণা করেছেন যেখানে সাধারণেরা টেকসই ও ন্যায্য ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে পারে। তিনি ২০০৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী।
- ১৭. হারটা ম্যুলার রোমানিয়ায় জন্ম নেওয়া জার্মান ভাষার লেখক। তার লেখায় স্বৈরশাসক নিকোলাই চসেস্কু অধীনে রোমানিয়ার দুরবস্থা চিত্র ফুটে উঠেছে। ২০০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল জিতেন।
- ১৮. ক্যারোল ডব্লিউ গ্রেইডার মার্কিন মলিক্যুলার জীববিদ্যা বিশারদ। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ক্রোমসোমের শেষ সুরক্ষা ধাপ টেলোমেরে এবং এর এনজাইম স্ট্রাকচার ব্যাখ্যা করে আলোচনায় আসেন তিনি। চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২০০৯ সালে।
- ১৯. ফ্রান্সোইস ব্যারে সিনউসি ২০০৮ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন। এইডসের ভয়াবহতা এবং এইচআইভি ভাইরাসের উন্নততর দমন প্রক্রিয়ায় তার আবিষ্কার ভূমিকা রেখেছে।
- ২০. ডরিস লেসিং ব্রিটিশ পিতামাতার সন্তান। বসবাস করেছেন লন্ডনে। দূরদর্শী ঔপন্যাসিক, কবি ও নাট্যকার। ১৫ বছর বয়সে তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। লিখেছেন ৫০ এরও অধিক বই। সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন ২০০৭ সালে।
- ২১. এলফ্রিড জেলিনেক অস্ট্রিয়ান লেখক। ‘পিয়ানো টিচার’, ‘লুস্ট’ তার গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস। তার লেখায় আলোচিত হয়েছে আধুনিক ক্রেতাভিত্তিক সমাজব্যবস্থার সমালোচনা। জেলিনেকের সাহিত্যকর্মে সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান। সাহিত্যে নোবেল জিতেছেন ২০০৪ সালে।
- ২২. ওয়াঙ্গারাই মুতা মাথাই কেনিয়ার নায়েরিতে জন্ম নেওয়া শিক্ষাবিদ। পূর্ব এবং মধ্য আফ্রিকার প্রথম নারী হিসেবে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও মানবাধিকার আন্দোলনের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিচিত তিনি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা রেখেছেন। নোবেল জিতেছেন ২০০৪ সালে।
- ২৩. লিন্ডা বি বাক মার্কিন জীববিদ্যা বিশারদ। সিয়াটোলে বসবাসরতদের অলফ্যাক্টরি রিপোর্ট প্রকাশ তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ২০০৪ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ২৪. শিরিন এবাদি ইরানি আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, রিফিউজিদের নিয়ে কাজ করে থাকেন। হিউম্যান রাইটস সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ অধিকর্তা। ২০০৩ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী।
- ২৫. জোডি উইলিয়ামস ভারমন্টে জন্ম নেওয়া শান্তি আন্দোলনের কর্মী। এল সালভাদরভিত্তিক স্থলমাইন বিরোধী আন্তর্জাতিক আন্দোলনের সংগঠক। ১৯৯৭ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী।
- ২৬. উইসলাওয়া সিমবোরস্কা পোল্যান্ডের নাগরিক। বসবাস করেছেন ক্রাকাউয়ে। পোলিশ সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। তার কবিতার অন্তর্মুখী দ্বন্দ্ব সবসময় ফুটে উঠেছে। ১৯৯৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ২৭. ক্রিশ্চিয়ান ন্যুসলেইন ভোলহার্ড জার্মান জীন বিশারদ। ‘কামিং টু লাইফ’ তার প্রথম প্রকাশিত বই। মাছির জীনগত বিবর্তন নিয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। ১৯৯৫ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ২৮. টনি মরিসন ওহাইওতে জন্ম নেওয়া মার্কিন লেখক। অ্যামিরেটাস অধ্যাপক হিসেবে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তার লেখা বই ‘বিলাভড’ পুলিৎজার পুরস্কার ও আমেরিকান বুক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। তার লেখায় কালো মানুষের জীবন সংগ্রাম গুরুত্ব পেয়েছে। ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ২৯. রিগোবের্টা মেনচু টুম গুয়েতেমালার অধিকারকর্মী। তার ভাই ও মায়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা আত্মস্মৃতি আশ্রিত বই ‘আই, রিগোবের্তা মেনচু’ তাকে সারাবিশ্বে পরিচিতি এনে দেয়। গুয়েতেমালায় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার অনস্বীকার্য ভূমিকা রয়েছে। ১৯৯২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
- ৩০. অং সান সু চি আধুনিক মিয়ানমারের স্বাধীনতার প্রতীক। মহাত্মা গান্ধির অহিংস চেতনায় উদ্বুদ্ধ। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরোধিতা করার কারণে দীর্ঘ গৃহ বন্দিত্ব বরণ করেছিলেন। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত। ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- ৩১. নেডাইন গর্ডিমার জন্মসূত্রে দক্ষিণ আফ্রিকান। লেখক ও ইহুদি অভিবাসীর সন্তান। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য কনজারভেসোনিস্ট’। তার লেখায় ঘুরে ফিরে এসেছে জাতি বিদ্বেষের প্রসঙ্গ। ১৯৯১ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৩২. ক্যানসারে দাদার মৃত্যু গ্রেট্রুর্ড বি এলিয়েনের জীবনকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। তাই তিনি তার জীবনব্যাপী ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। জৈবরসায়নে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখে ক্যানসারের ওষুধ উদ্ভাবনে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৮৮ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৩৩. রিটা লেভি মন্টালচিনি ইতালিয়ান নিউরোবায়োলজিস্ট। ‘নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর’ নিয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা রয়েছে। টিউমারের চিকিৎসা, ক্ষত সারানোর ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর। ১৯৮৬ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৩৪. বারবারা ম্যাকক্লিনটক কানেক্টিকাটে বসবাসরত মার্কিন জিন বিশারদ। কর্নেল’স এগ্রিকালচার কলেজের শিক্ষার্থী। জিনগত উপাদান পরিবর্তিত হতে হতে ক্রোমজোমের নতুন কোনো জায়গায় স্থানান্তরিত হতে পারে তা তিনি দেখিয়েছেন। ১৯৮৩ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৩৫. অ্যালভা মিরডাল সুইডিশ কূটনীতিবিদ। জাতিসংঘ এবং ইউনেস্কোর হয়ে কাজ করেছেন। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনের সরব কণ্ঠস্বর। ১৯৮২ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- ৩৬. মাদার তেরিজা ১২ বছর বয়সে ঈশ্বরের আহ্বান অনুভব করে মিশনারি জীবন বেছে নেন। ধর্মীয় সংঘে যোগ দিয়ে মানবতার সেবায় কাজ করতে আসেন কলকাতার বস্তিতে। নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের সাহায্যার্থে মিশনারিজ অব চ্যারিটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
- ৩৭. রোজালিন সুসম্যান ইয়ালো মার্কিন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট। আজন্ম বাস করেছেন নিউইয়র্কে। শরীরে ইনসুলিনের অভাব নয় বরং শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অপরিমিত ইনসুলিনের ব্যবহারের কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিস হতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছেন। রক্তের হরমোন পরিমাপক ‘আরআইএ’ নিয়ে ধারণা দেন। ১৯৭৭ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৩৮. বেটি উইলিয়ামস প্রটেস্টান্ট পিতা ও ক্যাথোলিক মাতার সন্তান। সারাবিশ্বের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শান্তি আন্দোলনের সোচ্চার কর্মী। ‘কমিউনিটি ফর পিস পিপোলেট’ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
- ৩৯. মাইরিড কোরিগান উত্তর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক শান্তি আন্দোলনের কর্মী। ‘কমিউনিটি ফর পিস পিপোলেট’ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বেলফাস্টের এক বন্দুক হামলায় তার বোনের তিন সন্তানের নির্মম মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। এই সহিংসতা দেখার পর থেকে তিনি বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ বন্ধের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
- ৪০. ন্যালি স্যাকস জার্মান-সুইডিশ কবি ও নাট্যকার। তার লেখায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে অন্যান্য ইহুদিদের সাথে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার বর্ণনা বেশ স্পষ্ট। তার বিখ্যাত রচনা ‘যেইছেন ইম স্যান্ড’। জীবনের জটিল প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে দায়সারা সাহিত্য নয় লেখালেখির মধ্যে দিয়ে তিনি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ভয়াবহ আবহের দিকে পাঠককে টেনে নিয়ে গেছেন। ১৯৬৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৪১. ডরোথি ক্রোফুট হজকিন ব্রিটিশ রসায়নবিদ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। প্রোটেইনের ক্রিস্টালোগ্রাফি ও এক্স রে উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৪ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী।
- ৪২. মারিয়া জিওপার্ট মায়ের জার্মানিতে জন্ম নেওয়া পদার্থবিদ। বিয়ের পর বসবাস শুরু করেন আমেরিকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় অ্যাটম বোম্ব প্রজেক্টে কাজ করেছেন। পারমাণবিক গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তার। ১৯৬৩ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী।
- ৪৩. গের্টি থেরিসা কোরি চেক রিপাবলিকে জন্ম নেওয়া অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান বায়োকেমিস্ট। শরীর কিভাবে শক্তিকে ব্যবহার করে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ‘কোরি সাইকেল’ নামে মেটাবোলিজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আবিষ্কার করেন। ১৯৪৭ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী।
- ৪৪. ইমিলি গ্রিন বালচ বোস্টনে বেড়ে ওঠা আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও সমাজতাত্ত্বিক। তিনি দারিদ্র্য, অভি-ভাবসনের মতো বহুলালোচিত জটিল সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৪৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
- ৪৫. গ্যাব্রিয়েলা মিস্ট্রাল চিলির কবি। তার প্রেমিক আত্মহত্যা করার পর থেকে কবিতা তাকে টানতে শুরু করে। আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৪৫ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৪৬. পার্ল বাক ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জন্ম নেওয়া আমেরিকান লেখক। বসবাস করেছেন চীনের ঝিনঝিয়াংয়ে। তার বেস্ট সেলার উপন্যাস ‘দ্য গুড আর্থ’। ১৯৩৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
- ৪৭. আইরিন জোলিয়ট কুরি নোবেল বিজয়ী পিতামাতার সন্তান। প্যারিসে জন্ম নেওয়া ফরাসী বিজ্ঞানী। কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন। ইউরেনিয়ামের ফিসন প্রক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তার গবেষণায় উঠে আসে। ১৯৩৫ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী।
- ৪৮. জেইন অ্যাডামস ওহাইওতে বেড়ে ওঠা, মার্কিন নারীবাদী ও সমাজকর্মী। উনিশ শতকের শেষ এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে স্থায়ী আবাসন আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৩১ সালে প্রথম মার্কিন নারী হিসেবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- ৪৯. সিগ্রিড আন্ডসেটডেনমার্কে জন্ম নেওয়া লেখক।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের অত্যাচারের মুখে নরওয়েতে পালিয়ে যান।মধ্যযুগে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার জীবন নিয়ে লেখা তার বিখ্যাত ট্রিলজি ‘ক্রিস্টিন ল্যাভার্ন্সডাটার’।১৯২৮ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৫০. গ্রাজিয়া ডেলেড্ডাইতালিয়ান লেখক।বসবাস করেছেন রোমে।সার্ডিনিয়া দ্বীপে কাটানো তার জীবনের গল্প পরবর্তীতে প্রকাশিত হলে বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে।তার নিজের জীবনে পরিচিত অনেক চরিত্রকে তিনি সাহিত্যে নিয়ে এসেছেন।১৯২৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৫১. মেরি কুরিরেডিয়াম ও পলোনিয়াম নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার কারণেই আহত সৈনিকদের চিকিৎসায় রেডিয়ামের বহুল ব্যবহার শুরু হয়।তিনি প্রথম নারী হিসেবে দুইটি ক্যাটেগরিতে নোবেল জিতেছেন।১৯১১ সালে রসায়নে নোবেল বিজয়ী।
- ৫২. সিলমা ওটিলিয়া লোভিসা লেজারোফসুইডেনে জন্ম নেওয়া লেখক।তার বিচিত্র কল্পনাশক্তি সারাবিশ্বে বিখ্যাত।প্রায়ই তার গল্পে তার জন্মভূমি ভ্যার্মল্যান্ডের প্রসঙ্গ চলে আসে।‘গোস্টা বার্লিংস সাগা’ তার লেখা প্রথম উপন্যাস।১৯০৯ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী।
- ৫৩. বারোনেস বার্থা সোফিঅস্ট্রিয়াভিত্তিক শান্তি আন্দোলনের কর্মী।তার লেখা ‘লে ডাউন ইওর আর্মস’ যুদ্ধবিরোধী উপন্যাস হিসেবে সারাবিশ্বে সমাদৃত।সামরিকীকরন বিরোধী এই বইটি শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী বই হিসেবে স্বীকৃত।১৯০৫ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী।
- ৫৪. মেরি কুরিস্বতঃস্ফূর্ত তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে গবেষণা করেন।প্রথম নারী হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।১৯০৩ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী।