Tuesday 01 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রামবাসীর বাধায় দু’মুখো কেউটে উদ্ধারে ব্যর্থ বন বিভাগ (ভিডিও)


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৫৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:২৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দু’মুখো সাপ নিয়ে প্রচলিত আছে অনেক গাল-গল্প। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের একটি গ্রামে দু’মুখো সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। বন বিভাগের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। খবর এনডিটিভির।

বন বিভাগের সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ কৌস্তভ চক্রবর্তী জানান, গ্রামবাসী পৌরণিক কাহিনীতে বিশ্বাস করে। তারা সাপটিকে কিছুতেই বন বিভাগের কাছে তুলে দেয়নি।

তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি জৈবিক সমস্যা। আমরা অনেক সময়েই দেখি একজন মানুষের দু’টি মাথা, বা দু’টো বুড়ো আঙুল রয়েছে। একইভাবে এই সাপেরও দুটি মাথা রয়েছে।

এধরনের প্রাণীকে আলাদা করে যত্ন করা হলে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে জানান কৌস্তভ।

বিজ্ঞাপন

প্রাণিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তী জানান, দুই মাথাওয়ালা এই সাপ ন্যাজা কটিয়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এটিকে কেউটে নামে ডাকা  হয়। ভ্রূণের বিভাজনের সময় হয়ত সাপের মাথা দু’টো হয়ে গিয়েছে। পরিবেশগত বিভাজনের জন্যও এমন হতে পারে।

কেউটের বৈশিষ্ট্য:

কেউটের আঁশ চকচকে ও মৃসণ। মাথা চওড়া। ফণার পেছনে একটি চোখের মতো দাগ দেখা যায়। এদের ফণা গোগরোর মতো ছোটো ও গোল। গল্যা ফ্যাকাশে ও ছোপ ছোপ। ল্যাজের তলার আঁশ গাঢ়। কেউটে মূলত নিশাচর। তবে সন্ধ্যে ও ভোরে সজাগ থাকে। জলা জায়গায় থাকতে এরা ভালোবাসে। ধান খেত বা ধানের গোলায় এদের দেখা মিলে। খাবার হিসেবে বেছে নেয় মাছ, ছোট সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙ। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে এরা ৮ থেকে ১৮টি ডিম পাড়ে। স্ত্রীরা ডিম ফোটা পর্যন্ত পাহারা দেয়। কেউটে খুব দ্রুত ও সজাগ সাপ। ভয় পেলে শরীর তুলে ও হিসহিস করে কামড়াতে আসে।

দু’মুখো সাপ বন বিভাগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর