শীত আরও বাড়বে
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:১৭
গতকাল থেকে হুট করেই ঠান্ডা পড়ে গেল ঢাকায়। দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষ তো কিছুটা শীতের প্রস্তুতি নিয়েই রাখেন। তাই তারা শীত মোকাবিলা করে ফেলেন সহজেই। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় যে শীত পড়ে তাতে হালকা পাতলা শীত পোশাকেই কাজ চলে যায়।
কিন্তু গতকালের ঠান্ডা ঢাকাবাসীর অনুমানের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। আজও একই অবস্থা। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে এমন অনেক ঢাকাবাসীকেই হালকা শীত পোশাকে বেশ বিব্রত হতে দেখলাম।
তো ঢাকাবাসীকে বলি, গরম পোশাক কিনতে শুরু করুন। শীত কিন্তু বাড়বে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়বে শীত। ২২ তারিখ থেকে হয়তো কিছুটা তাপমাত্রা বাড়বে, তবে এ মাসের শেষে আর জানুয়ারির শুরুতে আবার শীতের দাপট বাড়বে।
এসব কথা কিন্তু আমি বলছি না, জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস।
ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে কি না জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ নেই, তবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের রাজশাহী, পাবনা, কুড়িগ্রাম, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এলাকার ওপর দিয়ে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৯.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
ঠান্ডার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর কারণেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশে এই পরিমাণ ঠাণ্ডা পড়েছে।
ঢাকাসহ সারাদেশেই ভারী কুয়াশা রয়েছে। কোথাও কোথাও তো সূর্যের মুখও দেখা যাবে না। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে।
উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যখন মেঘ-রোদ্দুর লিখছিলাম তখন ঢাকার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশা। বিশেষ করে যারা সাইকেল, রিকশা বা মোটরসাইকেলে চলাচল করবেন তাদের একটু বেশি পোশাক নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ থাকলো।
বাড়ির শিশু আর বৃদ্ধদের সাবধানে রাখতে হবে। কারণ ঢাকার বাইরে থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার যেসব খবর আমাদের কাছে আসছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধ আর শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এই জমে যাওয়া ঠান্ডায় সবাই ভালো থাকুন, এটাই প্রত্যাশা।
ছবি: সুমিত আহমেদ