ফাগুন বলে দ্বিগুণ হতে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:১৪
মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
দেখতে দেখতেই ফাগুনের নয়টা দিন পেরিয়ে গেল, আজ ফাগুনের দশম দিন। ফাগুনে শুধু যে গাছ, ডাল পালা তর তর করে বাড়ে তাই নয়, ফাগুনে দিনের দৈর্ঘ্যও বেশ বেড়ে যায়। আজকের সূর্য উঠেছে ৬টা ২৭ আর ডুবে যাবে ৫টা ৫৭তে। আর কদিন পরে ভোর বেলা দেখাটা আর এত সহজ থাকবে না। ঘুম ভাঙতেই দেখা যাবে ঝকঝকে রোদ!
ফাগুনের ১০ দিন হয়ে গেলেও কিন্তু কুয়াশার অধিকারবোধে একটু ঘাটতি নেই। কুয়াশা আজ বেশ করে জাঁকিয়ে বসেছে। তবে বসেছে ভালো হয়েছে। বৃষ্টি যে সেই কবে দেশ ছাড়া হয়েছে এখনও তার ফেরার নাম নেই, এখন কুয়াশাই যা একটু আর্দ্রতা দিয়ে যাচ্ছে। নাহলে বাতাস যেই শুষ্ক! আজও ৪৪ শতাংশের বেশি আর্দ্রতা পাওয়া যাবে না।
মেঘের একটা কথা বলি, কতদিন ধরে মেঘ যে কোন পরীক্ষার জন্য রেডি হচ্ছে, কে জানে? আর একটামাত্র নোট মুখস্ত করে বসে আছে, আজকে মেঘের পরিমাণ ৩১ শতাংশ, আজকে মেঘের পরিমাণ ৩১ শতাংশ… কেন ভাই কোনোদিন একটু বেশি মেঘ হতে পারে না? ধুলো ধোয়ার সঙ্গে কত কষ্ট হচ্ছে মেঘ বুঝে না?
হঠাৎ করে গরম পরে গেল, তাপমাত্রা দিনের দিকে বেশ বেশি থাকে, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ শতাংশ। রাতে গিয়ে হবে ১৮ শতাংশ। তাই দিনের বেলা চেটেপুটে আইসক্রিম খেলেও বিকালের আগে শেষ করতে হবে, নাহলে গলায় ঠাণ্ডা বসে ছুটির দুদিন ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করে কাটবে।
আজ সপ্তাহের শেষ দিন। এরপর দুদিন ছুটি। তবে ছুটির দিনকে যারা ছুটিইইইই ভেবে গা এলিয়ে দেয় তাদের সব প্রাপ্তি “ছুট্টি” মানে শেষ হয়ে যায়। আমাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস বলে ফাগুণে আমরা ভেসে যাই না, ফাগুনে আমরা গা এলিয়ে দেই না। আমরা ফাগুনে আরও দৃঢ় প্রত্যয়ী হই। ফাগুন এলে আমরা আমাদের সব চেষ্টা ও শক্তি নিয়ে প্রাপ্তির পথে দ্বিগুণ হই!
দ্বিগুণ হওয়ার তেজ জেগে থাকুক আপনার প্রাণে।
শুভ সকাল!
সারাবাংলা/এমএ