Saturday 13 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নারী ও শিশু শ্বেতী রোগীর পাশে জাতিসংঘ


২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৩০ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:১৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্বেতী নিয়ে সারাবিশ্বে নানা কুসংস্কার ও ভীতি আছে। বিশেষ করে এই রোগে আক্রান্ত নারী ও শিশুরা চরম অবজ্ঞার শিকার হন। শ্বেতী  আক্রান্ত নারী ও শিশুদের দুরবস্থা দূর করতে নানারকম পদক্ষেপ নিয়েছে জাতিসংঘ।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিশ্ব শ্বেতী রোগ দিবসে ৫০ টি দেশে আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। এই রোগ বিষয়ে সামগ্রিক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে তারা। বিশেষ করে আক্রান্ত নারী ও শিশুদের পাশে দাঁড়াবে জাতিসংঘের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

অনেকেই শ্বেতী রোগীদের এড়িয়ে চলেন, অবজ্ঞা করেন। অথচ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে নয়।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মী অ্যালিস ক্রুজ জানান, শ্বেতী রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভাবনা জানার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তারা। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে তারা প্রত্যক্ষ করেছেন পুরুষ শ্বেতী রোগীর চেয়ে নারী ও শিশুরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন বেশি। অবহেলা সহ্য করতে না পেরে বেশ কিছু নারী শ্বেতী রোগী আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নারী ও শিশুদের এমন অবমাননার হাত থেকে বাঁচাতে জাতিসংঘ এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা দেশে দেশে গিয়ে বিনামূল্যে শ্বেতী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করবেন। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে তাদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করবেন।’

শ্বেতী রোগ নিয়ে কাজ করতে জাতিসংঘ নির্দিষ্ট ওই দেশগুলোর সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছে। অ্যালিস ক্রুজ বলেন, ‘শ্বেতী রোগীদের ওপর করা ‍সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এরপরও পরিবার ও সমাজে এই রোগীরা বৈষম্যের শিকার হলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

আক্রান্ত নারীদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে জানিয়ে ক্রুজ বলেন, সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে শ্বেতী রোগাক্রান্ত নারীদের কাজের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যোগ্যতা দিয়ে তাদের বিচার করতে হবে, গায়ের রং দিয়ে নয়। পরিবারেও তারা পিছিয়ে থাকবে না। মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে তাদের।

শ্বেতী রোগে আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। কোন দেশে কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া দরকার তা রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানবাধিকার কর্মীদের কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই ধীরে ধীরে সব দেশে শ্বেতী রোগীদের সেবামূলক ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানান অ্যালিস ক্রুজ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর