মার্কিন সামরিক বাহিনীর নারীরা পেলেন বিশেষ স্বীকৃতি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৮
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে অবদান রাখা সকল পর্যায়ের নারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। যে নারীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সামরিক বাহিনীতে কাজ করছেন এবং যারা সদ্য নিয়োগ পেয়েও কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তাদের নিয়ে এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, সাফল্য অর্জন করা পুরুষ সামরিক কর্মকর্তাদের মা ও স্ত্রীকেও দেওয়া হয়েছে স্বীকৃতি।
সম্প্রতি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের টাম্পা কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেন দেশটির নৌবাহিনীর নারী কর্মকর্তা ট্রিশ লেটো এবং সামরিক এক কর্মকর্তার স্ত্রী আইরিশ গ্রিন। নারীর ক্ষমতায়ন ও অবদান ধরে রাখতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান অনুষ্ঠানের দুই আয়োজক।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফিলিস উইলসন বলেন, ‘সামরিক বাহিনীতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে এদেশের মেয়েরা। আমরা মনে করি, পুরুষের সাফল্যের পেছনেও রয়েছে মা কিংবা স্ত্রীর অবদান। কিন্তু এটা কেউ দেখে না। সাফল্যের পেছনে থাকা নারীর স্বীকৃতি সহজে মেলে না। নারীর অবদান যেন পুরুষরা ভুলতে না পারে এজন্য আজকে এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস থেকে আমরা দেখি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীর অবদান উপেক্ষিতই থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর নারীরা যে বিশাল অবদান রেখেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন তা ক’জন মনে রেখেছে? বিশ্বযুদ্ধ শেষে কেবল পুরুষ কর্মীদেরই জয়গান শোনা গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের কাজের স্বীকৃতিটুকু পেতেও অনেক বেগ পেতে হয় নারীদের।’
সামরিক বাহিনীতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া দুই সন্তানের মা চেরিসা জ্যাকসন বলেন, `আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই পেশায় এসেছি। এখন আরও ভালো লাগছে যে, সামরিক বাহিনীতে নারীদের অবদান উপেক্ষা করা হয় না। বরং চমৎকার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকল পর্যায়ের নারীদের সম্মান জানানো হচ্ছে। এভাবেই ধীরে ধীরে সমাজ ও ব্যক্তিচিন্তায় পরিবর্তন আসবে।’