Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আশার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন হ্যারি-মেগান


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৮

ব্রিটিশ রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন হ্যারি ও মেগান, এ কোনো নতুন খবর নয়। তবে সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাকিহংহাম প্রাসাদে তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বহিষ্কার করা হচ্ছে রাজপরিবারের ১৫ কর্মীকে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজ-দম্পতি তাদের প্রাসাদে ফিরে যাওয়ার আশায় শেষ পেরেক ঠুকলেন। খবর ডেইলি মেইলের।

বাকিংহাম প্রসাদ জানিয়েছে, দ্য ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাসেক্স এর অফিস বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে অবগত রয়েছেন রানি এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্স উইলিয়াম। তবে বহিষ্কার হওয়া রাজসেবকদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি প্যালেস।

বিজ্ঞাপন

যারা চাকরি হারাচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, হ্যারি-মেগানের ব্যক্তিগত সেক্রেটারি ফিওনা ম্যাকেলিওয়াহম, কিমউনিকশন চিফ সারা ল্যাথাম, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ক্লারা লগারহাম।

হ্যারি, মেগান ও তাদের সন্তান আর্চির বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ধারিত থাকায়, তাদের এ সিদ্ধান্ত মোটেই অস্বাভাবিক ছিল না। চলতি বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে গেল যুক্তরাজ্য। যেটির নাম দেওয়া হয় ‘ব্রেক্সিট’। মেগানদের রাজপ্রাসাদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তকমা পেয়েছে ‘মেক্সিট’ হিসেবে। এই দুটি সিদ্ধান্তেই দ্বিধা বিভক্ত যুক্তরাজ্য, ব্যথা হয়ে আছে অনেক ব্রিটেনবাসীর মনে।

এর আগে, গত ৮ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে যৌথ বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান জানান, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চান। সেই ইচ্ছার ফলশ্রুতিতে রানির বিশেষ প্রতিনিধি, হ্যারি ও রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যরা আলোচনায় বসেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ জানুয়ারি বাকিংহাম প্রাসাদ বিবৃতিতে ঘোষণা দেয়, প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল এখন থেকে রাজকীয় পদবি এইচআরএইচ (হিজ/হার রয়েল হাইনেস) ব্যবহার করবেন না। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।

হ্যারি ও মেগান তাদের সন্তান আর্চিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় উত্তর আমেরিকাতে অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন। অর্থ উপার্জানের জন্য তারা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারবেন। তবে রানির সম্মানহানি হয় এমন কিছুর সঙ্গে জড়িত হবেন না। চলতি বসন্তের শেষেই এই আদেশ কার্যকর হবে। এক বছর পর তা পুনঃমূল্যায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, শৈশব থেকেই প্রিন্স হ্যারি কিছুটা স্বাধীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত। ২০১৬ সালে হলিউড অভিনেতা মেগান মার্কেলের সঙ্গে হ্যারির প্রণয় হয়। এরপর থেকেই ব্রিটেনের ট্যাবলয়েডগুলো হ্যারি-মেগানের মুখরোচক সব সংবাদ ছাপিয়ে তাদের পিছনে লেগে ছিল। কিছুদিন আগে বড় ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এমনটা আভাস দেয় সংবাদপত্রগুলো। সবমিলিয়েই সিদ্ধান্ত নিলেন হ্যারি ও মেগান দম্পতি।

বাকিংহাম প্যালেস হ্যারি-মেগান

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর