করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে নারী সরকারপ্রধানরা, যে জাদুকাঠি তাদের হাতে
১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩৮
ঢাকা: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই সত্যটি দৃশ্যমান হয়েছে যে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুরুষ সরকারপ্রধানদের চেয়ে নারী সরকারপ্রধানরা সফল। পরিস্থিতি মোকাবিলা ও দ্রুতগতিতে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার বেলায়ও পুরুষদের তুলনায় তারা এগিয়ে। ফলে নারী সরকারপ্রধান আছেন এমন রাষ্ট্রগুলোয় করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম। কেন নারীরা এগিয়ে, নারী নেতৃত্ব আছে এমন দেশগুলোতে বিপর্যয় কেন কম? করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সফলতার জাদুকাঠি হাতে নিয়ে এগিয়ে আসা নারী নেত্রীদের বিস্তারিত নিয়ে এই প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর রাজনীন ফারজানা।
চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার শুরু দিকেই তাইওয়ান সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাই সেখানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো গেছে। নিজ দেশে সফলভাবে করোনা ঠেকিয়ে তারা এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশে লাখ লাখ ফেস মাস্ক রফতানি করছে।
ইউরোপের সব দেশের মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস টেস্ট করিয়েছে। সপ্তাহে ৩ লাখ ৫০ হাজার টেস্ট করাতে সক্ষম হয়েছে তারা। ফলে আগেভাগে ধরা পড়ায় খুব সহজেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে তারা।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের পর্যটন বন্ধ করেছে ও পুরো দেশে এক মাসের লক ডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে সেখানে ভাইরাস সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মাত্র নয়জন মারা গেছে।
পৃথিবীর তিন দিকে অবস্থিত এই তিনটি রাষ্ট্রের একটি ইউরোপের মধ্যভাগে, একটি এশিয়ায় আর অন্যটি দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে। তিনটি দেশই বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস অতিমারিতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্বমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে মিল হল, সবগুলোর সরকারপ্রধান নারী।
গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার এই দেশগুলোর সাফল্যের মূলে আছে দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। যত দ্রুত সম্ভব রোগ নির্ণয়, উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আক্রান্তদের খুঁজে বের করা, সামাজিক মেলামেশা ও জমায়েত বন্ধ করার মাধ্যমে তারা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
২ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার তাইওয়ান চীনের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর খুব দ্রুতই তাইয়ানেও ছড়িয়ে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাই ইং-ওয়েন উহানে ডিসেম্বরের শেষের দিকে একটি রহস্যময় ভাইরাস আক্রান্তের খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে উহান থেকে আসা সমস্ত প্লেনের যাত্রীদের বাধ্যতামূলক রোগ নির্ণয়ের ঘোষণা দেন। এরপর তিনি মহামারি সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করেন। যাদের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপেমেন্ট) ও মাস্ক তৈরি করা হয়। সেই কমিটি চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাওর সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
তাইওয়ানের এসব ক্ষিপ্রগতির পদক্ষেপের ফলে সেখানে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৯৫ আক্রান্ত ও ছয়জনের মৃত্যুর কথা শোনা গেছে। এর আগে তাইওয়ান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য ছিল না। করোনা মোকাবিলায় এই সাফল্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাইওয়ানকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যবেক্ষকের পদমর্যাদা দেওয়ার কথা বলে।
এদিকে ৮ কোটি ৩০ লাখ জনগোষ্ঠির জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৩ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৮০৪। সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার। আক্রান্ত ও মৃতের এই পরিসংখ্যান ইউরোপের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক কম। জার্মান চ্যান্সেলর কোয়ান্টাম রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী অ্যাঞ্জেলা মার্কেল অন্য যে কোনো ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে দক্ষতার সঙ্গে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন। তার যৌক্তিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্যই জার্মানির এই সাফল্য। ইনটেন্সিভ কেয়ার বেড আর করোনাভাইরাস টেস্টিং প্রোগ্রামের দিক দিয়ে ইউরোপে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটি।
পঞ্চাশ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিকা আর্ডেনও বিশ্বব্যপি করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তিনি ১৯ মার্চ দেশের সবগুলো সীমানা বন্ধ করে দেন এবং ২৩ মার্চ থেকে দেশব্যাপী চার সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করেন। সেখানে সমস্ত নন-এজেনশিয়াল (জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত নয় এমন) কর্মীদের ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।
ব্যাপক পরীক্ষার মাধ্যমে তারা পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০১ জন আক্রান্ত ও নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে পাঁচটির মধ্যে চারটি নরডিক দেশের সরকার প্রধান নারী। ইউরোপের বাকি দেশগুলোর তুলনায় এখানে মৃত্যুহার অনেকটাই কম। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু ৮৫ শতাংশ ফিনিশ নাগরিক করোনার এই দুঃসময়ে তার প্রতি আস্থা রেখেছেন। কারণ তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য ফিনল্যান্ডে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অনেক কম। পঞ্চান্ন লাখ জনসংখ্যার ফিনল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৩৭ জন আক্রান্ত ও মারা গেছেন ৭২ জন।
আইসল্যান্ডে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ১ হাজার ৭২৭, মারা গেছে ৮ আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭ জন। মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন ইয়াকবসদথ প্রচুর পরিমাণ করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। একদম শুরুতেই ক্ষিপ্রগতিতে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং (আক্রান্তদের খুঁজে বের করা) ও সন্দেহভাজন আক্রান্তদের কোয়ারেনটাইন করার ফলে সেদেশে আক্তান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নরওয়ের মোট জনসংখ্যা পঞ্চাশ লাখ ৩৬ হাজারের কিছু বেশি। আক্রান্ত ৬ হাজার ৭৯৮ ও মারা গেছে ১৫০। প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ মার্চের শুরুর দিকে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। পরে দুই দফা বাড়িয়ে এটি ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ডেনমার্কের মোট আক্রান্ত ৬ হাজার ৬৮১ ও মারা গেছে ৩০৯। পঞ্চাশ লাখ ৮০ হাজারের কিছু বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যহার কম রাখা সম্ভব হয়েছে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে। প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেন সম্প্রতি জরুরি অবস্থা শিথিল করলেও মার্চের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন। ১৪ মার্চ সীমানা বন্ধ করেন, ১৬ মার্চ থেকে স্কুল আর ১৮ মার্চ থেকে ১০ জন বা তার বেশি লোকের সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে সেখানে আক্রান্ত ও মৃত্যুহার দুটোই কমিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন শ্রমিকদের বেতনের ৭৫ শতাংশ সরকার থেকে দেওয়া হবে।
উপরিউক্ত নরডিক দেশগুলোর সাফল্য বোঝার জন্য চলুন দেখে নেই একমাত্র পুরুষ নিয়ন্ত্রিত নরডিক দেশ সুইডেনের কী অবস্থা। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোভিয়ান লক ডাউন দিতে, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে অস্বীকৃতি জানান। ফলাফল ১ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার জনসংখ্যার সুইডেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ১১ হাজার ৯২৭ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ২০৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৩৮১ জন।
এছাড়াও আরও কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোর নারী সরকার প্রধানরা করোনা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। মাত্র ৪২ হাজার জনসংখ্যার ছোট্ট ক্যারিবিয়ান দ্বিপ সিন্ট মার্টিনের প্রধানমন্ত্রী সিলভেরিয়া ইয়াকবস বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরুর দিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন। দুই সপ্তাহের জন্য সেখানকার নাগরিকদের একদমই জন সমাগম বন্ধ করে দেন। জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে বলেন, ‘ঘরে যদি রুটি না থাকে তাহলে ক্র্যাকার্স জাতীয় বিস্কিট খান, সিরিয়াল বা ওটস খান। তবু ঘরে থাকুন।’
নারী সরকার প্রধানরা পুরুষদের তুলনায় কেন তুলনামূলক সফল? উপরের উদাহরনগুলোতে বোঝা যাচ্ছে নারী সরকারপ্রধানরা পুরুষদের তুলনায় জনস্বাস্থ্যকে বেশি গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন। ফলে তারা এই বৈশ্বিক অতিমারি মোকাবিলায় তুলনামূলক বেশি সাফল্য দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। জার্মানি থেকে নিউজিল্যান্ড কী আইসল্যান্ড থেকে তাইওয়ান- সবখানেই নারীরা এগিয়ে এসে বিশ্বকে দেখাচ্ছে মানবজীবনের জন্য সংকটজনক পরিস্থিতি আসলে কীভাবে তা মোকাবেলা করতে হয়। তাদের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের পেছনে যে বিষয়গুলো কাজ করছে তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া।
জনগণের সামনে প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরা।
দ্রুত ও ক্ষিপ্রভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
প্রযুক্তিগত উতকর্ষ (করোনা টেস্ট, ট্র্যাকিংসহ নানা বিষয়ে)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার।
ভালোবাসা ও সহমর্মিতা। যার উদাহরণ জনগণের সঙ্গে এতাত্মতা প্রকাশ ও সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা।
উপরের বিষয়গুলোর বস্তুনিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য পুরুষ নিয়ন্ত্রিত দেশগুলোর উদাহরণ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আর্টিকেল ছোট রাখার প্রয়াসে বিস্তারিত না যেয়ে শুধুমাত্র অধিক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রথম দশটি দেশের তালিকা দেওয়া হল।
উপরের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি ও বেলজিয়ামের সরকার প্রধান নারী। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশের তুলনায় তাদের সরকারের কার্যক্রম নিঃসন্দেহে ভালো। তাই আক্রান্ত ও মৃত্যুসংখ্যা অনেকটাই কম তুলনামূলক। ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি হওয়ার পরেও জার্মানিতে মৃতের হার কম রাখতে পারা অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের জন্য একটি সাফল্য।
এদিকে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও সময়ক্ষেপণকেই দায়ী করা হচ্ছে। তিনি স্বদেশে তো বটেই বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্র ও সংগঠনগুলোর সঙ্গেও ক্রমাগত বিতর্ক তৈরি করে যাচ্ছেন। চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুহার কমার কোনো লক্ষণই নাই। আবার যুক্তরাজ্য যেমন মৃত্যুহার কমাতে ব্যর্থ তেমনি সেদেশের শ্রমজীবীদের অর্থনৈতিক সহায়তা সংক্রান্ত কোন ঘোষণাও এখন পর্যন্ত আসেনি।
সাম্প্রতিক এই অতিমারি মোকাবিলায় বিশ্বের নারী নেতৃত্বে পরিচালিত দেশগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি সফল। তবে হতাশার কথা হল, সারা বিশ্বে মাত্র ৭ শতাংশ দেশের সরকারপ্রধান নারী।
এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৬ এপ্রিল সর্বশেষ খবরে বাংলাদেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৭২ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ জন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটুকু সফল বা ব্যর্থ সে বিষয়ে কোনো মূল্যায়ণ করার মতো সময় এখনও আসেনি।
তথ্যসূত্র: সিএএনএন, ফোর্বস ও স্পেক্টেটর ডট ইউএস ও করোনা ওয়ার্ল্ড মিটার