Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাদ্রাসাগুলোতে ধর্ষণের ভয়াবহতা থামবে কবে?


২৩ অক্টোবর ২০২০ ১৭:১৪

‘স্যার, ওরা তো খুব ছোট। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি, যেন ওরা বেশি ব্যথা না পায়। আমি তো ওদের শিক্ষক, ওরা ব্যথা পেয়ে কান্নাকাটি করলে আমার খুব কষ্ট লাগে।’ কথাগুলো বলছিল মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (৩৫)। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার নাছির একাধিক ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর এই সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম।

বিজ্ঞাপন

শুনতে কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে না?
কতটা বিকৃত মানসিকতার সাইকোপ্যাথ হলে এমন নিকৃষ্ট পাপাচারের পরেও ঠান্ডা মাথায় এই শব্দগুলো উচ্চারণ করা যায়? এককালের দুবাই প্রবাসী নাছির উদ্দিন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছোট বেউলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। সে প্রবাস থেকে ফিরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেয়। মাদ্রাসা শিক্ষক থেকে একসময় মাদ্রাসার হোস্টেল সুপার হিসেবে পদোন্নতি পায় সে। শুরু থেকেই মাদ্রাসার নিরীহ বাচ্চাদের উপর তার লালসা চরিতার্থ করতো সে। হোস্টেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে থাকার সুযোগ নিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রাথমিক অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী ছাত্র ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে যা জানতে পারে, তাতে শিউরে উঠবেন যেকোনো বিবেকবান মানুষই।

বিজ্ঞাপন

ধর্ষণ করার জন্য মূলত দশ বছরের নিচের বয়সী ছেলে শিশুদের টার্গেট করতো নাছির। কোন শিশু তার বিকৃত চাহিদা মেটাবার আদেশ না মানলে তার উপর নেমে আসতো ‘হুজুরের নির্যাতনের খড়গ’। তাকে বাধ্য করবার জন্য কারণে অকারণে বেধড়ক মারধোর করা হতো। যেহেতু সেখানে বেশিরভাগ শিশুই এতিম/দরিদ্র পরিবার থেকে আসা, শেষপর্যন্ত তার পক্ষে হুজুরের প্রস্তাবে হ্যা বলা ছাড়া কোন উপায় থাকতো না। নাছিরের ছেলেশিশু আসক্তি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বিষয়টি টের পেয়ে তার স্ত্রী তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান। কবে কোন বাচ্চাকে সে ধর্ষণ করবে, সেটা নিয়ে এই ধর্ষক সাইকোপ্যাথ রীতিমত রুটিন বানিয়েছিল একটা।

ঠিক যেন সেই বাঘের মতো, যে কিনা বনের পশুদের সাথে চুক্তি করেছিল যে, প্রতিদিন একটি করে প্রাণী খাবার হিসেবে তার ডেরায় আসলে সে আর নির্বিচারে শিকার করবে না। এভাবেই চলে আসছিল শিক্ষকতার আড়ালে এই ধর্ষক শ্বাপদের পাশবিক নির্যাতনের অধ্যায়। বেশিরভাগ এতিম অসহায় বাচ্চাগুলোর যেহেতু যাবার অন্য কোন জায়গা নাই, তাই ভয়ে কাউকে বলতেও পারেনি তারা। অবশেষে সহ্য করতে না পেরে তার দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার চার ছাত্র তাদের পরিবারের কাছে সবকিছু প্রকাশ করে দেয়। তারা রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে নাছিরকে। মজার ব্যাপারটা হচ্ছে গ্রেফতার হবার পর সে তার সব দায় অস্বীকার করে, দাবি করে তার আসলে কোন দোষ নেই, বাচ্চারা নাকি স্বেচ্ছায় তার কাছে আসতো। এই ভয়াবহ অপরাধের দায় সে নিরীহ অসহায় নির্যাতিত বাচ্চাদের উপর চাপাতে আসলে কতটা নির্লজ্জ পাপিষ্ঠ জঘন্য নরাধম হতে হয়, তা কল্পনা করাও কঠিন।

একইদিনে বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল আশ্রাফুল উলুম হাফেজিয়া নুরানীয়া ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ঘটে আরেক পৈশাচিক ঘটনা। আল আমিন নামে এক শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে মাদ্রাসায় ফেরার সময় এক প্যাকেট চানাচুর খেতে দিয়েছিল তার মা। মাদ্রাসায় আসবার পর তার কোন সহপাঠী দুষ্টুমি করে চানাচুরের প্যাকেটটি নিয়ে যায়। তো এই কথা সে তার মাকে জানালে তার মা ব্যাপারটা মাদ্রাসার শিক্ষক ও সভাপতিকে জানায়। সন্ধ্যায় চানাচুর চুরি(!) করবার ভয়াবহ অপরাধে মাদ্রাসার সভাপতি ও শিক্ষকরা ৬০ জন শিক্ষার্থীকে হেড-ডাউন (মাথা নিচে পা উপরে) করে আধা ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখে।

আধা ঘন্টা উল্টো করে রাখার ফলে ২৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় কারও বমি, কারও নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু হয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন এমন শাস্তির নামে নির্যাতনের প্রতিবাদে ওই মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে ফেলে। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে এক শিক্ষার্থীর পিতা মো. ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার ওই মামলায় মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

একইদিনে ঘটা এই দুটো ঘটনা আসলে আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষালয় অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোতে চলমান অত্যাচার ও নির্যাতনের সংস্কৃতির সামান্য কিছুটা তুলে এনেছে। প্রতিনিয়তই দেশের নানা স্থানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মিডিয়ার সুবাদে অনেক ঘটনাই সামনে আসছে, প্রতিবাদ-আন্দোলনও হচ্ছে। কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে আমাদের এই ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে মাদ্রাসায় ধর্ম ও কোরআন শিক্ষা নিতে গিয়ে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার নিরীহ বাচ্চাদের কথা উঠে আসে না।

মিছিল-মিটিং, মানববন্ধন-সমাবেশ, পোস্টার-ব্যানারে মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাওয়া হয় না। সবচেয়ে অদ্ভুত হচ্ছে কে কোথায় কি লিখলো বা কি বললো, তাতে ইসলামের চরম অবমাননা হয়ে গেলেও কোন এক অজানা কারণে কোরআন শিক্ষার মত পবিত্র কারণে ধর্মীয় শিক্ষালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের উপর পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার নিত্যনৈমিত্তিক হবার পরেও দেশের সিংহভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মানূভুতিতে আঘাত লাগে না, ইসলামের কোন অবমাননা খুঁজে পান না তারা। জোর প্রতিবাদ হয় না, সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়ে হয়ে ওঠে না মাদ্রাসার শিক্ষকরূপী ধর্ষক হায়েনাদের শাস্তির দাবীতে, রাজপথে আন্দোলনের ডাকও দেয়া হয় না।

কি আশ্চর্য ব্যাপারটা, তাই না? যেন মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার হওয়া কোন বড় ঘটনা না, এগুলো নিয়ে কথা বলার তেমন প্রয়োজনই নাই!

বেশ কয়েক মাস আগে টকশোতে জঙ্গিবাদের প্রসার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একজন প্রফেসর সালাম দেবার তরিকাটা জঙ্গিদের কৌশল হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপারে বলেছিলেন। সেই বক্তব্য গত দুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে বা কারা অজানা উদ্দেশ্যে ভাইরাল করেছে। রীতিমত ঝড় বয়ে গেল। সাধারণ মুসলিমেরা তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ফেটে পড়লেন, সালাম নিয়ে কথা বলে ঐ প্রফেসর আসলে ইসলামের অবমাননা করেছেন, সাধারণ মুসলমানদের ধর্মানূভুতিতে আঘাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন অনেকে। আফসোস, সেই একইদিনে উপরের দুটো খবরসহ পত্রিকাগুলোতে অন্তত এক ডজনেরও বেশি ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি মাদ্রাসার শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন। কিন্তু তাতে সাধারণ মুসলমানদের ক্ষিপ্ত হতে দেখা গেল না, তাদের কারো ধর্মানূভুতিতেও আঘাত লাগলো না। খুব অল্প কিছু মানুষ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে প্রতিবাদও করতে দেখা গেল না।

অথচ ইসলামকে ব্যবহার করে লেবাসধারী ভন্ড ধর্ষক এই হুজুরেরা শুধু ধর্মেরই নিকৃষ্টতম অবমাননা ঘটাচ্ছে না, একইসাথে মাদ্রাসাগুলোকে পরিণত করছে নির্যাতন ও নিপীড়নের টর্চার সেলে। তারা ইসলামের যে ভয়াবহ অবমাননা করছে প্রতিনিয়ত, তাও কোরআন শিক্ষা করতে আসা নিরীহ বাচ্চাদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে, যদি সত্যিই মুসলিমেরা তাদের ধর্মের সম্মান সম্পর্কে একবিন্দুও সচেতন হত, তাহলে আজ সবার আগে জিহাদ ঘোষিত হত দেশের মাদ্রাসাগুলোর এই ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।

অথচ ঘটনাটা অন্যরকমও হতে পারতো। দেশজুড়ে অসংখ্য মাদ্রাসায় অজস্র লেবাসধারী ধর্মব্যবসায়ী ধর্ষক হুজুরদের হাতে প্রতিনিয়ত অসংখ্য নিষ্পাপ নিরপরাধ শিশুদের পৈশাচিক ধর্ষণের মহোৎসবের বিরুদ্ধে ঘুমন্ত এবং ঘুমের ভান করে থাকা মুসলিমরা জেগে উঠতে পারতেন। মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষা করতে গিয়ে হুজুরদের হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া বাচ্চাদের জায়গায় একবার নিজের বাচ্চার মুখটা কল্পনা করে হলেও ইসলামকে শিশু ধর্ষণ জাস্টিফাই করতে ব্যবহার করা এই ধর্ষক হুজুরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামতে পারতেন তারা, মাদ্রাসাগুলোর ভয়াবহ নরক থেকে অসহায় বাচ্চাদের রক্ষার চেষ্টা করতে পারতেন।

কিন্তু বাস্তবতার দিকে তাকালে সেসব অবাস্তব কল্পনা। বাস্তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা প্রতিদিনের অজস্র ধর্ষণের ঘটনায় চোখ বুজে ঘুমন্ত থাকার অভিনয় করেন। মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের সংবাদ শুনলেই ছ্যাঁত করে জ্বলে উঠে ধর্ষক হুজুরদের বিচারের প্রসঙ্গ এড়াবার জন্য হাজারটা অজুহাত টেনে ডিফেন্ড করেন। ধর্ষক হুজুরদের বিচার চাইলে তারা ব্যাপারটা ইসলাম বা মাদ্রাসার উপর আঘাত হিসেবে নেন, ফলে তাদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ হবার প্রসঙ্গ টেনে মাদ্রাসায় ধর্ষণের প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যাওয়া।

অথচ অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি অন্য সব ধর্ষকদের মত মাদ্রাসায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে সকলে সোচ্চার হতেন, বিশেষ করে সাধারণ মুসলমানেরা জোর প্রতিবাদ করতেন, তবে অন্তত মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরি হত, মা-বাবারা সন্তানকে মাদ্রাসায় ভর্তির আগে যাচাই-বাছাই করতেন, সরকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে মাদ্রাসাগুলোতে আরও মনিটরিং ও পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা হত, শিক্ষার্থীদের সচেতন করবার মাধ্যমে তাদের দ্বারা শিক্ষক লেবাসধারী আরও অসংখ্য নিপীড়ক ও ধর্ষকের মুখোশ উন্মোচিত হত, আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলোতে ধর্ষণের হার কমিয়ে আনা যেত।
যেটা এখনো চাইলে খুবই সম্ভব।

প্রতিদিন যে পরিমাণ ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হয়, সেগুলো আসলে ১০ ভাগের এক ভাগও না। কারণ বেশিরভাগ মাদ্রাসায় বাচ্চাদের শাসনের নামে চলে নির্মম বেত্রাঘাত। ফলে বাচ্চারা এমনিই ভয়ে থাকে সবসময়, তার উপর এই ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটানো হুজুরেরা ধর্মগ্রন্থের নামে ও নানাবিধ হুমকি দিয়ে বাচ্চাদের মুখ বন্ধ রাখে। তাই সবার আগে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী ও ধর্ষণের ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানাবার জন্য সচেতন করতে হবে। এই কাজটি হতে হবে সরকারি উদ্যোগে। হাত ধোয়া, স্যানিটেশন কর্মসূচিসহ শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা কর্মসূচির মত এই কাজটাও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নিয়মিত প্রাথমিক স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে চালিয়ে যেতে হবে।

মেয়ে ও ছেলেদের মাদ্রাসাগুলোতে আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক, মানবাধিকার কর্মীসহ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এই প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কর্মসূচি চালানো যেতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে সর্বত সাহায্য সহযোগিতা এবং সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন। বাচ্চারা যেন নির্ভয়ে তাদের সাথে ঘটা যৌন হয়রানী ও পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করতে পারে, সেজন্য প্রত্যেক মাদ্রাসায় বিশেষ কোন ব্যবস্থা রাখা জরুরি যেটা মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের বাইরে থাকবে। শুধুমাত্র নির্যাতনের শিকার বা আশংকায় থাকা শিক্ষার্থীরাই এই ব্যবস্থাটি ব্যবহার করে সাহায্য চাইতে পারবে।

শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে মাদ্রাসাগুলোতে চলমান নির্যাতনের ঘটনাগুলো আরও বেশি প্রকাশিত হবে। তবে শিক্ষক নামধারী ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করা না গেলে ধর্ষকদের মনে ভয় ধরানো সম্ভব না। আর তার জন্য প্রয়োজন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগণ নির্বিশেষে সকলের একযোগে সোচ্চার হওয়া, মাদ্রাসার বাচ্চাগুলোকে ধর্মের লেবাসে ছদ্মবেশ নিয়ে থাকা ধর্ষক হুজুরদের হাত থেকে বাঁচানো। মাদ্রাসায় যে বাচ্চারা পড়ে, তারাও কারোর সন্তান, তাদের জায়গায় থাকতে পারতো আপনার বাচ্চাটিও! আমরা যেন ভুলে না যাই এই বাচ্চাগুলোর জন্য একটা নিরাপদ আনন্দময় শৈশব-কৈশোর নিশ্চিত করবার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

৪ শিশু ধর্ষণ মাদ্রাসায় ধর্ষণ শিশু ধর্ষণ শিশু নির্যাতন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর