বোকারা বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দর্প করে: স্টিফেন হকিং
১৪ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪৬
মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
স্টিফেন হকিং। একটা নামই যথেষ্ট তার পরিচয় দিতে। প্রচণ্ড বুদ্ধিমান এই মানুষটি পৃথিবী শাসন করে গিয়েছেন মোটর নিউরনের দুরারোগ্য অসুখ নিয়ে। ৭৬ বছর জীবনের ৬৬ বছরই কেটেছে এই অসুখের সঙ্গে। প্রায় পাঁচ দশক কাটিয়েছেন মেশিননির্ভর জীবনে। তবে এগুলো তার কোনো পরিচয় নয়। স্টিফেন হকিং ছিলেন অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী একজন পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ।
আইকিউ স্কেলে স্টিফেন হকিং-এর বুদ্ধিমত্তা ছিল ১৬০। যা আরেক কালজয়ী বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সমান। এই সংখ্যাটি কত উচ্চ জানতে চান? আইকিউ স্কেলের মাপ হচ্ছে ১০০। এই ১০০’র বাইরে দেড়গুণ বেশি গিয়ে গণনা করতে হয়েছে তাদের বুদ্ধিমত্তা।
পৃথিবীতে মাত্র ১% লোক আছেন যাদের বুদ্ধিমত্তা ৯৮ বা তার উপরে। এসব মানুষরা নিজেদের মধ্যে বেশ ভালো যোগাযোগ করেন। তাদের আছেন একাধিক সংগঠন ও ক্লাব। তবে কোনো ক্লাবের অংশ ছিলেন না স্টিফেন হকিং। তার মতে,
যারা তাদের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দর্প করে তারা বোকা।
স্টিফেন হকিং এর হাস্যরস বোধ ছিল সহজাত, ছিল গভীর জীবনবোধও। মহান এ বিজ্ঞানীর কিছু বাণী সারাবাংলার পাঠকদের জন্য,
-
বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা।
-
জ্ঞানের সবচেয়ে বড় শত্রু অজ্ঞতা নয়, বরং জ্ঞানী হওয়ার ভ্রম।
-
জীবন একটি শোকগাথা, যদি এর মধ্যে কোনো হাস্যরস না থাকে।
-
তুমি যদি সব সময় রেগে থাকো আর অভিযোগ করো তাহলে জেনে রাখো মানুষের তোমার জন্য কোনো সময় নেই।
-
ঈশ্বর শুধু পাশা খেলেন না, মাঝে মাঝে তিনি সেগুলোকে এমন জায়গায় ছুঁড়ে মারেন যে সেগুলোকে আর দেখাই যায় না।
-
আমি সব সময় লক্ষ্য করেছি, যেসব মানুষ বলে সবকিছু পূর্বনির্ধারিত, এগুলোতে কারও কোনো হাত নেই, তারাও রাস্তা পাড় হওয়ার সময় ভালো করে দেখে নেয়।
-
আমরা মানুষরা একটা সাধারণ নক্ষত্রের ছোট গ্রহের উচ্চ প্রজাতির বানর ছাড়া কিছুই নই।
-
জীবনকে যতই কঠিন মনে হোক না কেন, সেখানে সব সময়ই এমন কিছু আছে যেটা তুমি করতে পারবে এবং যাতে তুমি সফল হতে পারবে।
-
ফিজিক্সে কেউ পুরষ্কার পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা করে না। এটা একটা আনন্দ, অজানাকে জানার।
-
আমার লক্ষ্য খুব পরিষ্কার, আমি এই দুনিয়াটিকে জানতে চাই। কেন এটা এমন, যেমন এটা আছে আর কেনই বা এটা আছে?
মহান এ বিজ্ঞানীকে সারাবাংলার পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
সারাবাংলা/এমএ