কর্মক্ষেত্রে নারীর তুলনায় পুরুষের দ্রুত উন্নতি: গবেষণা
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:১০
যদিও সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে কিন্তু শীর্ষ পদগুলোতে নারীদের উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামোর মারপ্যাঁচে কর্মক্ষেত্রে নারীর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে, অন্যতম একটি উপাদান ফিডব্যাক। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রের ভবিষ্যত উন্নয়নের ব্যাপারে ফিডব্যাক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন।
স্বয়ংক্রিয় তথ্য বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ‘টপিক মডেলিং’র মাধ্যমে গবেষকরা দেখেছেন — কর্মক্ষেত্রে ফিডব্যাক দেওয়ার সময় নারী এবং পুরুষের মধ্যে যে তারতম্য করা হয় তার মধ্য দিয়ে দুই দলকে আলাদা দুইটি পথে পরিচালিত হওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
এই গবেষণায় ১৪৬ মিড ক্যারিয়ার লিডারদের ব্যাপারে তাদের ১০০০ সহকর্মী মতামত দিয়েছেন। ওই মতামতের ভিত্তিতে তারা নারী এবং পুরুষ নেতৃত্বের ক্ষেত্রে চারটি নিয়ামক চিহ্নিত করা গেছে।
লক্ষ্য নির্ধারণ: গবেষণায় অংশ নেওয়া কর্মীরা বলেছেন, নারীরা লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই বড় প্রেক্ষাপটে চিন্তা করতে পারেন না তাই নারীদেরকে সব সময় ব্যক্তিগত লক্ষ্যের ব্যাপারে ভাবতে বলা হয়। যেখানে, পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক উভয় ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণের ব্যাপারে ভাবতে বলা হয়।
রাজনৈতিক দক্ষতা: যদিও কর্মক্ষেত্রে রাজনীতিকে উৎসাহিত করা হয় না। কিন্তু বড় পদে থেকে নেটওয়ার্কিং, আলোচনা এবং অন্য কর্মীদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে রাজনীতি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীদেরকে সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হতে হয়।
নেতৃত্বের প্রতি ঝোঁক: বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে পুরুষদেরকে নেতৃত্বের ব্যাপারে আগ্রহী করে তলা হয় কিন্তু নারীদেরকে কেবলমাত্র তাদের পুরুষ সহকর্মীদের অনুগামী হওয়ার কথাই বলা হয়। নারীরা সেক্ষেত্রে টিমের মধ্যে কেবলমাত্র সমন্বয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আত্মবিশ্বাস: কর্মক্ষেত্রে বহিঃযোগাযোগের জন্য পুরুষদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কথা বলা হলেও নারীদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র নিজদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ওপরই গুরুত্বারোপ করা হয়।
গবেষণার উপসংহারে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈষম্যের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকার জন্য বৈষম্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। সে বিবেচনায় এই গবেষণার মাধ্যমে প্রাথমিক কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম