নারী সুরক্ষা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল তুরস্ক
২১ মার্চ ২০২১ ০১:৫২
নারী সুরক্ষার জন্য তৈরি এক আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে গেছে তুরস্ক। শুক্রবার এক ডিক্রির মাধ্যমে তুরস্ককে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। পরদিন শনিবার ওই চুক্তির সমালোচনা করে এক বিবৃতি দেয় তুরস্ক সরকার। চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার এ ঘটনাকে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল এ কে পার্টি তাদের বড় এক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে তুরস্কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হাজারো মানুষ।
পারিবারিক সহিংসতা, বৈবাহিক ধর্ষণসহ যে কোনো ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে নারীদের সুরক্ষা দিতে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত হয় ইস্তানবুল কনভেনশন। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৪৫টি দেশ এতে স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষরকারী দেশগুলো বিভিন্ন নারীবান্ধব আইন প্রণয়ণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
শুক্রবার রাতে এরদোগানের জারি করা ডিক্রিতে ওই চুক্তি থেকে সরে যায় তুরস্ক। দেশটির রক্ষণশীলরা বহুদিন ধরেই এ চুক্তির বিরোধীতা করে আসছিল। তাদের দাবি—এর ফলে দেশটিতে পারিবারিক ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে তুরস্কে পারিবারিক সহিংসতায় নারী মৃত্যুর হার ক্রমাগত বাড়ছে।
এরদোগানের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তুরস্কের রাজপথে নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন হাজারো মানুষ। শনিবার সকালেই ইস্তানবুলের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। এছাড়া রাজধানী আঙ্কারা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর ইজমিরেও প্রতিবাদ মিছিল হয়।
এমনই এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হাতিচে ইয়োলচু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা ঘুম থেকে উঠেই নারীর খুন হওয়ার খবর শুনি। সহিংসতায় নারীর মৃত্যু থামছেই না। এক্ষেত্রে পুরুষদের কিছুই হয় না’।
তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন। তুরস্কের বিরোধী দল সিএইচপি এরদোগানের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে।