সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয় ৯০০ বছরের খরায়
১৬ এপ্রিল ২০১৮ ১১:০৩ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৪৮
সারাবাংলা ডেস্ক
সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে আজ থেকে ৪ হাজার ৩ শ’ ৫০ বছর আগে। কিভাবে ধ্বংস হয়েছে সে নিয়ে অনেক ব্যাখ্যাই রয়েছে। তবে গবেষকদের নব্য আবিস্কার টানা ৯০০ বছরের খরায় পুড়ে ধ্বংস হয়েছিলো প্রাচীন ভারতের এই সভ্যতা।
গবেষকরা দেখেছেন উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ে বৃষ্টির দেখা মেলেনি দীর্ঘ ৯০০ বছর। তাতে শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায় সকল পানির উৎস… তার মধ্য দিয়েই শেষ হয়ে যায় একটি সভ্যতা।
ভারতের খড়গপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)’র বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন।
তাদের পাওয়া এই নতুন তত্ত্ব সেকালের বিরান খরা নিয়ে আগের ধারনাকেও বাতিল করে দিয়েছে।
আগে ধারনা করা হয়েছিলো সেটি ছিলো ২০০ বছরের খরা। নতুন গবেষণা বলছে খরা চলেছে টানা ৯০০ বছর।
এ মাসেই খ্যাতনামা কোয়াটারনারি ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ সংক্রান্ত খবরে জানিয়েছে।
ভূ-তত্ত্ব ও ভূ-পদার্থবিদ্যা বিভাগের গবেষকরা গত ৫০০০ বছরের বর্ষা-বাদলের আচরণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই এই নতুন তত্ত্ব জানতে পেরেছেন। তারা দেখেছেন উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ের এই অংশে বৃষ্টি হয় ৯০০ বছর ধরে। তাতে সিন্ধু উপত্যকার মানুষগুলো ধীরে আধুনিক সভ্য দালান কোঠা ছেড়ে ক্রমেই পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে ছড়িয়ে পড়ে বসতি গেড়েছেন। সেসব এলাকায় তখন বৃষ্টিপাত অপেক্ষাকৃত কম বেশি হতো।
গবেষণায় দেখা গেছে খ্রীষ্টের জন্মের ২ হাজার ৩ শ’ ৫০ বছর আগে থেকে ১ হাজার ৪ শ’ ৫০ বছর আগে পর্যন্ত এই এলাকায় কোনও বৃষ্টিই হয়নি। যাতে ভয়াবহ খরা দেখা গেয়, এবং সিন্ধু উপত্যকার মানুষগুলো অপেক্ষাকৃত সবুজ ভূমের দিকে সরে যেতে থাকে।
এই বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোই ক্রমে গঙ্গা-যমুনা অববাহিকায় তাদের বসতি স্থাপন করতে থাকে। যার বিস্তৃতি ছিলো উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে পূর্বে বাংলাদেশ পর্যন্ত। ওদিকে দক্ষিণে সে বসতি ছড়ায় বিন্দ্যাচল ও গুজরাট অবধি।
সারাবাংলা/এমএম