কোন পশু কোরবানি করা যাবে, কোনটা যাবে না
৬ জুলাই ২০২২ ১৭:৩৪
কোরবানি মুসলমানদের ইতিহাসের সূচনাকাল থেকে চলে আসা একটি ইবাদত; যা মূলত স্রষ্টার উদ্দেশে সৃষ্টির নজরানা। কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ, উপঢৌকন, সান্নিধ্য লাভের উপায়, ত্যাগ করা, পশুত্বকে বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কোন প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা এবং শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় তা ব্যবহার করা। ইদুল আজহার অন্যতম ইবাদত পশু কোরবানি। এটি রাসুল (সা.) ও তার উম্মতের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার প্রতীক।
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আদম (আ.) থেকে শুরু করে সব নবীর যুগেই কোরবানি পালিত হয়েছে। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজিকে আল্লাহতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন। (সুরা কাওসার-২)। অন্য আয়াতে- হে রাসুল! আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ রাব্বুল আলামীনের জন্য উৎসর্গিত। (সুরা আনআম-১৬২)। কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সা. ইরশাদ করেন—‘আল্লাহ তায়ালার নিকট কোরবানির দিন মানবজাতির কোরবানি অপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। বিচারদিনে কোরবানির পশুকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তায়ালার নিকট তা বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়, সুতরাং তোমরা আনন্দচিত্তে কোরবানি করো।’ (সহিহ তিরমিযি: ১৩৯১)। এবার জেনে নিই কোন কোন পশু কোরবানি করা যাবে ও কোন কোন পশু কোরবানি করা যাবে না।
কোরবানি আদায়ের সকল বিধান পাওয়া যাই কোরআন ও হাদিসের বর্ণনায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানির নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছি। জীবনোপকরণ স্বরূপ তাদের যেসব ‘বাহিমাতুল আনআম’ দিয়েছি সেগুলোর ওপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত ৩৪)। আসন্ন কোরবানির জরুরি কিছু বিধান— কোরবানি দিতে হবে শরিয়ত যে ধরনের পশু পছন্দ করে। গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়। যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি দিয়ে। এ ধরনের পশুকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহিমাতুল আনআম অর্থাৎ অহিংস্র গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু।’ এই ছয় প্রকার পশু দ্বারা কোরবানি করা যায়, এ ছাড়া অন্য কোনো পশু দ্বারা কোরবানি করা যায় না।
হজরত আবু যাহ্হাক উবায়দ ইবনে ফায়রূজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমি হজরত বারা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, যে সব পশুর কোরবানি করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন তা আমার কাছে বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (খুতবা দিতে) দাঁড়ালেন আর আমার হাত তার হাত অপেক্ষা ছোট। তিনি বললেন, চার প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়- চোখে দেখে না এমন পশু, যার চোখে না দেখাটা সুস্পষ্ট। রোগা পশু,যার মধ্যে রোগ সুস্পষ্ট। খোঁড়া বা ল্যাংড়া পশু, যার খোঁড়া বা ল্যাংড়া হওয়া সুস্পষ্ট। দুর্বল পশু, যার হাঁড়ে মজ্জা নেই। অর্থাৎ চলা-ফেরা করার অযোগ্য। আমি বললাম, ‘আমি শিং ও দাঁতে ত্রুটি থাকাও পছন্দ করি না। তিনি বললেন, তুমি যা অপছন্দ কর, তা ত্যাগ কর; কিন্তু অন্য লোকের জন্য তা হারাম করো না।’ (নাসাঈ)।
হালাল বন্য পশু দ্বারা কোরবানি করা যাবে না; যদিও তা কেউ লালন-পালন করে থাকুক না কেন। যেমন- হরিণ, কেউ যদি কোনো হরিণের বাচ্চা ছোটবেলা থেকে গৃহপালিত পশুর মতো পালতে থাকে, তবু তা দ্বারা কোরবানি হবে না। কারণ স্বভাবত এরা গৃহপালিত নয়। কোরবানির জন্য ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স এক বছর হতে হয়; গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর এবং উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। দুম্বার এক বছর পূর্ণ না হলেও যদি এক বছরের মতো হৃষ্টপুষ্ট হয় তাহলে চলবে। উল্লিখিত পশুগুলো নর-মাদি যা-ই হোক না, তা দ্বারা কোরবানি হবে। উপরোল্লিখিত ৬ প্রকারের বন্ধ্যা পশুও কোরবানি দেওয়া জায়েজ। কোরবানির পশু তরতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। কোনো খুঁত থাকলে সে পশু দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না। যেমন: লেজের বা কানের বেশির ভাগ অংশ কাটা থাকা, অন্ধ বা এক চোখ কানা হওয়া, এক পা খুঁড়িয়ে চলা বা চলনশক্তিহীন হওয়া, উভয় শিং বা কোনো এক শিং মূল থেকে উত্পাটিত হওয়া। অর্থাৎ এমন কোনো খুঁত বা অপূর্ণতা, যার দ্বারা এটির উপযোগিতা কমে যায় ও মূল্য হ্রাস পায়। হজরত হুজাইয়্যা ইবনে আদি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, ‘আমি হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের এ মর্মে আদেশ করেছেন, আমরা যেন কোরবানির পশুর চোখ ও কান উত্তমরূপে দেখে নিই।’ (নাসাঈ)
কোরবানির পশু কেমন হবে এ সম্পর্কে হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চেষ্টা করবে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট বয়সের পশু নির্বাচন করতে। যদি না পাও তাহলে ছয় মাসের দুম্বা কোরবানি করতে পার। (সহীহ মুসলিম)। বয়স কম; কিন্তু দেখতে হৃষ্টপুষ্ট এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ হওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। রাসুল (সা.) উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ছাড়া অন্য কোনো পশু কোরবানি করেননি কিংবা অনুমোদনও করেননি। তাই এসব পশু দিয়েই কোরবানি করা সুন্নত। শরিয়তের পরামর্শ হল, হৃষ্টপুষ্ট, বেশি গোশত, নিখুঁত এবং দেখতে সুন্দর পশু কোরবানি করা। কোরবানির পশু সব ধরনের দোষ-ত্রুটিমুক্ত হওয়া চাই। বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অন্ধ, রোগা, পঙ্গু এবং আহত।
নাসায়ির বর্ণনায় ‘আহত’ শব্দের জায়গায় ‘পাগল’ বলা হয়েছে। গর্ভবতী পশু, শিং ভাঙা, কান কাটা, লেজ কাটা, জিহ্বা কাটা, ওলান কাটা, লিঙ্গ কাটা ইত্যাদি ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করাকে মাকরুহ বলেছেন ফকিহরা। ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়ে কোরবানির বিধানও দেওয়া রয়েছে। (সুনানে নাসায়ি)। যে পশুর কান বা দৃষ্টিশক্তি এক তৃতীয়াংশের কম নষ্ট বা কাটা পড়েছে, তা কোরবানি দেওয়া জায়েজ। এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি হলে জায়েজ নয়। যে পশুর জন্মগতভাবে কান নেই তা কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে পশুর জিহবা এ পরিমাণ কাঁটা যে, ঘাস-পাতা খেতে পারে না, তা কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে পশুর স্তন কাঁটা বা জখম হওয়ার কারণে বাচ্চাকে দুধ পান করাতে পারে না তা দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়। যে পশুর লেজ অর্ধেকের বেশি আছে তা কোরবানি করতে কোনো অসুবিধা নেই। এর বিপরীত হলে জায়েজ নয়। যে পশু তিন পা দিয়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারে কিন্তু এটি দিয়ে চলতে পারে না, তা কোরবানি দেওয়া যাবে না। যে পশুর শিং মোটেই ওঠেনি তা কোরবানি দেওয়া জায়েজ। যদি শিং গোড়ায় ভেঙে যায় এবং এর ক্ষতি মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছে তবে তা দিয়ে কোরবানি আদায় হবে না। যে পশুর দাঁত মোটেই ওঠেনি বা অর্ধেক পড়ে গেছে তা কোরবানি দেওয়া যাবে না। জেনে শুনে চুরিকৃত পশু ক্রয় করা এবং তা কোরবানি করা জায়েজ নয়। এছাড়া ত্রুটিহীন পশু ক্রয় করার পর তাতে যদি এমন কোনও ত্রুটি জন্ম নেয়, যা কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক, তবে নেসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তির জন্য এমন পশু দিয়ে দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়, তবে দরিদ্র ব্যক্তির জন্য বৈধ।
ভেড়া, দুম্বা, ছাগল এসব পশু একজন কোরবানি করতে পারবেন। উট, গরু, মহিষ সর্বোচ্চ সাতজন কোরবানি করতে পারবেন। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হুদাইবিয়ায় রাসুল (সা.) এর উপস্থিতিতে গরুর ও উট সাত ভাগের কোরবানি করেছি। (ইবনে মাজাহ) পশু জবাই করার সময় পশুকে খুব আদর করে কষ্ট না দিয়ে জবাই করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। হাদিসের আলোকে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হৃষ্টপুষ্ট, নিখুঁত ও উত্তম পশু কোরবানি করতেন এবং খুঁতবিশিষ্ট পশু কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন।
কোরবানির পশু যেকোনো মুসলমান জবাই করতে পারেন। নিজের কোরবানির পশু নিজেই জবাই করা উত্তম। দোয়া জানা জরুরি নয়। নিজে জবাই করতে না পারলে যেকোনো কাউকে দিয়ে জবাই করাতে পারেন। জবাইয়ের সময় নিজে উপস্থিত থাকতে পারলে ভালো। একটি কোরবানি হলো একটি ভেড়া, ছাগল বা দুম্বা। গরু, মহিষ ও উট প্রতিটি ভেড়া, ছাগল ও দুম্বার সাতটির সমান। তাই গরু, মহিষ ও উটে অনূর্ধ্ব সাতটি পর্যন্ত অংশ দেওয়া যায়। আকিকা হলো একটি বা দুটি ছাগল। সুতরাং গরু, মহিষ বা উটে অংশ হয়ে যেভাবে কোরবানি দেওয়া যায়; সেভাবে একটিকে সাতটি ধরে অংশ হারে আকিকাও করা যায়। কোরবানি ও আকিকা একসঙ্গে করতে কোনো বাধা নেই। ওয়াজিব ও নফল কোরবানির গোশত খাওয়া যায় এবং খাওয়ানো যায়; এটি সবাই খেতে পারেন। উত্তম হলো তিন ভাগের এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া, তিন ভাগের এক ভাগ গরিব পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া এবং তিন ভাগের এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখা। আরও বেশি দিলে আরও ভালো। প্রয়োজনে সম্পূর্ণটা রেখে দিলেও ক্ষতি নেই। অনেকে সাত ভাগের এক ভাগ দিয়ে থাকেন।
ওয়াজিব কোরবানি ছাড়া ছোট, বড়, জীবিত, মৃত যে কারও পক্ষ থেকে যে কেউ নফল কোরবানি আদায় করতে পারেন। এতে উভয়েই সওয়াবের অধিকারী হবেন। নারী যদি সামর্থ্যবান বা সাহেবে নিসাব হন, তার জন্যও কোরবানি ওয়াজিব। শিশুদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। হিজড়ারা মূলত নারী বা পুরুষ, তাই তাদেরও প্রাপ্তবয়স্ক এবং সামর্থ্যবান হলে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মতো কোরবানিও ওয়াজিব হবে। অনেকে আছেন যাদের জন্য স্বাস্থ্যগত কারণে বিশেষ বিশেষ গোশত ঝুঁকিপূর্ণ বা চিকিৎসকের বারণ রয়েছে। তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে স্বল্প পরিমাণে খেতে পারেন। অনেকে দেখা যায় নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বলে থাকেন কোরবানির গোশত খেলে ক্ষতি হবে না। এটা সঠিক নয়, বরং ভ্রান্তি বা আত্মপ্রবঞ্চনা মাত্র।
অনেকে মনে করেন, কোরবানির পশুর শিং বাড়ি বা ঘরের সামনে ঝুলিয়ে রাখলে বাড়িঘর নিরাপদ থাকে। জিন-ভূত ও চোর-ডাকাত আসতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কোরআন, হাদিস ও বিজ্ঞানে এর কোনো সমর্থন পাওয়া যায় না। কোনো অঞ্চলে দেখা যায়, কিছু মানুষ মনে করে, কোরবানির পশুর রক্ত পায়ে লাগালে পায়ের তলার ক্ষত বা ফাঙ্গাস সেরে যায়। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক এবং কোরআন-হাদিস সমর্থিত নয়। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা বিশেষ কোনো কারণে কোরবানির পশুর গোশত খেতে পারেন না। যেমন: অ্যালার্জিজনিত কারণে, অ্যাজমার কারণে বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, সামর্থ্যবানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব; গোশত খাওয়া ওয়াজিব নয়। কোনো অসুবিধা না থাকলে কোরবানির গোশত খাওয়া ও খাওয়ানো সুন্নত। কখনো পশুর মাধ্যমে রোগবালাই ছড়াতে পারে। যেমন অ্যানথ্রাক্স বা কাঁপুনি রোগ ইত্যাদি। তাই কোরবানির পশু কেনার আগে দেখেশুনে, জেনেবুঝে কিনতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
কোরবানির পর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ফরজ ইবাদত। তাই যত্রতত্র রাস্তাঘাটে পথের ধারে কোরবানির পশু জবাই করা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইয়ের পর মলমূত্র, রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ আমল।
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
এ জেড এম আব্দুস সবুর কোন পশু কোরবানি করা যাবে- কোনটা যাবে না ধর্ম ও জীবন ফিচার