কোরবানির ইতিহাস ও শিক্ষা
৭ জুলাই ২০২২ ১৫:৫৫
কোরবানি মুসলমানদের ইতিহাসের সূচনাকাল থেকে চলে আসা একটি ইবাদত; যা মূলত স্রষ্টার উদ্দেশে সৃষ্টির নজরানা। কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ, উপঢৌকন, সান্নিধ্য লাভের উপায়,ত্যাগ করা, পশুত্বকে বিসর্জন ইত্যাদি। ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কোন প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা এবং শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় তা ব্যবহার করা।
আরেক পরিভাষায় কোরবানি হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট জন্তু জবাই করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবন উপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)। এই নিসাব পরিমাণ অর্থসম্পদ বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত নয়। সাহেবে নিসাব তথা সামর্থ্যবান ব্যক্তি হাতে নগদ অর্থ না থাকলে আপাতত ধার করে হলেও ওয়াজিব কোরবানি আদায় করতে হবে। একটি কোরবানি হলো একটি ছাগল, একটি ভেড়া বা একটি দুম্বা অথবা গরু, মহিষ ও উটের সাত ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ একটি গরু, মহিষ বা উট সাতজন শরিক হয়ে বা সাত নামে অর্থাৎ সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়।
হজরত ইবরাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসমাইলকে (আ.) আল্লাহর উদেশ্যে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। সেই থেকে ইসলাম ধর্মে কোরবানি প্রথার প্রচলন হয়— এমন ধারণাই বহুল প্রচলিত। তবে ওই ঘটনাই ইসলাম ধর্মে প্রথম কোরবানির ঘটনা নয়। কারণ, ইসলাম ধর্মের প্রথম নবী ও প্রথম মানব হজরত আদমের সময়ও কোরবানির প্রথা প্রচলিত ছিল। আবুল ফিদা হাফিজ ইবন কাসির দামেস্কির মতে, ‘…আদম তাদের দু’জনকে (হাবিল এবং কাবিল) কোরবানি করার আদেশ দিয়ে নিজে হজ করার জন্য মক্কায় চলে যান।… আদম চলে যাওয়ার পর তারা কোরবানি করেন। হাবিল একটি মোটা তাজা বকরি কোরবানি করেন। তার অনেক বকরি ছিল। আর কাবিল কোরবানি দেন নিজের উৎপাদিত নিম্নমানের এক বোঝা শস্য। তারপর আগুন হাবিলের কোরবানি গ্রাস করে নেয়। আর কাবিলের কোরবানি অগ্রাহ্য করে (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ২১৭)।’
আল-কোরআনেও একজনের কোরবানি কবুল হওয়া এবং অন্যজনের না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ হয়েছে। সুরা মায়েদায় ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আদমের দুই ছেলের বৃত্তান্ত তুমি তাদের যথাযথভাবে শোনাও, যখন তারা উভয়েই কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো এবং অন্যজনের কবুল হলো না…।’ ওই আয়াত থেকেই এ বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে, হজরত আদমের সময়ও ইসলাম ধর্মে কোরবানির প্রথা প্রচলিত ছিল। এও প্রতীয়মান হয়, কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য তাকওয়া, অর্থাৎ খোদাভীতির প্রয়োজন। লোক দেখানো কোনো ইবাদত আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না।
কোরবানির ইতিহাস পবিত্র কোরআনে এভাবে এসেছে: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক নেক সন্তান দান করুন। অতঃপর আমি তাকে এক সহিষ্ণু পুত্রের সুসংবাদ দিলাম, অতঃপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইবরাহিম (আ.) বললেন, “হে বত্স! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে আমি জবাই করছি, তোমার অভিমত কী?” সে বলল, “হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।” যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহিম (আ.) তার পুত্রকে কাত করে শোয়াল, তখন আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম: “হে ইবরাহিম! আপনি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলেন!” এভাবেই আমি সত্কর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি।(সূরা সাফফাত: ১০২-১০৫) নিশ্চয় এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কোরবানির বিনিময়ে। আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখে দিলাম। ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য অভিবাদন! আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও শুভেচ্ছা।’ (সুরা সাফফাত, আয়াত: ১০০-১১০)।
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, কোরবানি হচ্ছে— হজরত ইবরাহিমের (আ.) সুন্নত। হজরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! এ কোরবানি কী? মহানবী (সা.) এরশাদ করলেন, তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিমের (আ.) সালামের সুন্নত (সহিহ আবু দাউদ)। আজকের মুসলিম সমাজে কোরবানির যে প্রথা চলমান আছে, এ সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম প্রিয় নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোরবানি কী? এটা কোথা থেকে এসেছে? প্রিয় নবী (সা.) উত্তরে বললেন, ‘এটা হলো তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত বা আদর্শ। এই আদর্শকে অনুসরণের জন্যই আল্লাহ পাক তোমাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব করেছেন।’ সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, এতে আমাদের জন্য কী রয়েছে? উত্তরে মহানবী (সা.) বললেন: ‘কোরবানি জন্তুর প্রতিটি পশমে তোমরা একটি করে নেকি পাবে।’
ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়, স্বপ্নে আল্লাহর নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এবং নিজ পুত্র হজরত ইসমাইলের সম্মতিতে হজরত ইবরাহিম কোরবানি করার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি পুত্র হজরত ইসমাইলকে নিয়ে মিনার একটি নির্জন স্থানে যান এবং তার চোখ বেঁধে মাটিতে শুইয়ে দেন। অতঃপর কোরবানি করার জন্য পুত্রের গলায় ছুরি চালান। কিন্তু আল্লাহ তার নির্দেশ পালনের প্রতি পিতা এবং পুত্রের অপরিসীম ত্যাগ স্বীকারে খুশি হন এবং হজরত ইসমাইলকে রক্ষা করেন। আর আল্লাহর তরফ থেকে পাঠানো একটি মেষকে (ভিন্ন মত দুম্বা) হজরত ইসমাইলের পরিবর্তে কোরবানি করা হয়।
হজরত মুসার (আ.) সময়েও কোরবানি প্রথা চালু থাকার বিষয়টি আল-কোরআনেই উল্লেখ হয়েছে। সুরা বাকারায় বলা হয়েছে,‘স্মরণ করো, যখন মুসা আপন সম্প্রদায়কে বলেছিল, আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করার আদেশ দিয়েছেন।’
তারা বলেছিল, ‘তুমি কি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছো?’
মুসা বললেন, ‘আল্লাহর শরণ নিচ্ছি, যাতে আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হই।’
তারা বলল, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে উহা কী?’
মুসা বললেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, উহা এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়, মধ্যবয়সী। সুতরাং, যা আদিষ্ট হয়েছে তা করো।’
তারা বলল, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে বলো উহার রং কী?’
মুসা বললেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, উহা হলুদ বর্ণের গরু, উহার রং উজ্জ্বল গাঢ়, যা দর্শকদের আনন্দ দেয়।’
তারা বললো, ‘আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বলো, গরুটি কী? আমরা গরুটি সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছি এবং আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিশ্চয় আমরা দিশা পাবো।’
মুসা বললেন,‘তিনি বলেছেন, উহা এমন এক গরু— যা জমিতে চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, সুস্থ ও নিখুঁত।’
তারা বললো,‘এখন তুমি সত্য এনেছ।’ যদিও তারা জবাই করতে উদ্যত ছিল না, তবুও তারা উহাকে জবাই করলো।’ (আয়াত নং : ৬৭-৭১)। এই আয়াতগুলো থেকে এ বিষয়টি আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হজরত মুসার সময়েও কোরবানির প্রচলন ছিল।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) হজরত ইবরাহিমের সুন্নত হিসেবে তার উম্মতের জন্যও কোরবানির প্রচলন করেছিলেন। মহানবী নিজেও কোরবানি করেছেন। হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘একদা হজরত রাসুলুল্লাহ (স.) দুটি ধুসর বর্ণের শিংওয়ালা দুম্বা কোরবানি করছিলেন। তিনি ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে তা নিজ হাতেই জবাই করেছিলেন। হজরত আনাস বলেন, আমি মহানবীকে (স.) এর পাঁজরের ওপর পা রাখতে দেখেছি এবং জবাই করার সময়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলতে শুনেছি (সহিহ মুসলিম)।
প্রত্যেক মানুষ ইবাদত করবে শুধু তার মহান মালিক আল্লাহ তাআলার, মোমিন বান্দা তার কোনো ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক করবে না। অর্থাৎ ইবাদত হতে হবে সকল প্রকার শিরকমুক্ত, শুধু এক আল্লাহর উদ্দেশে। মহান রাব্বুল আলামিন হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে সে শিক্ষাই দিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে: ‘বলুন: নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সমগ্র জগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত।’ এ আয়াত দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল, কোরবানি শুধু আল্লাহর উদ্দেশেই হতে হবে। লৌকিকতা বা সামাজিকতার উদ্দেশে নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘আল্লাহর নিকট ওদের গোশত-রক্ত পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তার কাছে তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন: ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের স্বাস্থ্য-চেহারা এবং ধনসম্পদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি দৃষ্টি দেন তোমাদের অন্তর এবং আমলের প্রতি। সুতরাং, কোরবানির পূর্বেই কোরবানিদাতার নিয়ত বা সংকল্প শুদ্ধ করে নিতে হবে।’
কোরবানির তিন দিনে (১০ জিলহজ সকাল থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত) যার নিকট নিসাব পরিমাণ সম্পদ (সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এ উভয়ের যেকোনো একটির মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা ব্যবসাপণ্য থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। হাদিস শরিফে আছে, কোরবানির দিনগুলোতে কোরবানির চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল আর নেই। আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত কোরবানিকে পরবর্তী মানুষের জন্য অনুসরণীয় করে দেন। যাতে মানুষ বুঝতে পারে এবং শিখতে পারে যে, অর্থ-সম্পদ, টাকাপয়সা, আল্লাহর রাস্তায় কীভাবে ব্যয় করতে হয়। এমনকি প্রয়োজনে আল্লাহর জন্য জীবন দিতেও যেন মানুষের কোনো দ্বিধা, সংশয় না থাকে। তা ছাড়া কোরবানি আত্মত্যাগের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন। মানুষের ষড়রিপু তথা হিংসা, লোভ, কাম, ক্রোধ, ত্যাগের মাধ্যমে মনের পশুবৃত্তি তথা কুপ্রবৃত্তিকে জবাই করতে হবে। পশু কোরবানির সঙ্গে সঙ্গে ধনলিপ্সা, লোভ-লালসা, জাগতিক কামনা-বাসনা এবং দুনিয়াপ্রীতিকে কোরবানি করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য অর্জন করা কোরবানির শিক্ষা। কোরবানির গোশত আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গরিবদের মাঝে বিতরণ করা সুন্নত ও অতি উত্তম আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: সে প্রকৃত মোমিন নয় যে নিজে পেট পুরে খায়; কিন্তু তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে। (তিরমিজি)।
প্রথম মানব হজরত আদম থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ পর্যন্ত প্রত্যেক নবীর উম্মতের জন্যই কোরবানির বিধান বলবৎ ছিল। হজরত মুহাম্মদের অনুসরণে আজও সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা প্রতিবছর ওই বিধান যথাযথ ধর্মীয় অনুশাসন মেনেই পালন করছেন। আর এর মাধ্যমেই মুসলিম সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন,কোরবানি করা পশুর গোশত আল্লাহর দরবারে পৌঁছায় না, আল্লাহ তার বান্দার ত্যাগ করার মানসিকতায়ই সন্তুষ্ট হন। মুসলিমদের এই বিশ্বাসের উৎস আল-কুরআন: ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না তাদের (কোরবানি করা পশু) গোশত এবং রক্ত; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া’ (সূরা হজ : ৩৭)। প্রকৃতপক্ষে, সাদা চোখে কোরবানির মাধ্যমে নিরীহ পশুকে জবাই করার বিষয়টি দৃশ্যমান হলেও বাস্তবিক পক্ষে ওই পশু কোরবানির মধ্যেই মানুষের জন্য রয়েছে প্রভূত কল্যাণ ও সমৃদ্ধি। কোরবানির অন্তর্নিহিত শিক্ষাকে যদি মুসলিমরা উপলব্ধি ও ধারণ করতে পারে, তবে তখনই কেবল কোরবানি অর্থ শুধু পশু জবাই নয়; বরং এর সুদূরপ্রসারী মানবকল্যাণের লক্ষ্যই পূরণ হবে।
লেখক: আইনজীবী
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
এ জেড এম আব্দুস সবুর কোরবানির ইতিহাস ও শিক্ষা ধর্ম ও জীবন ফিচার মত-দ্বিমত