ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের কালপরিক্রমা
১২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৫১
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে।
গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের আগে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ঠিক তখনি পরিকল্পিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নেয়।
পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য পায়। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর পতন আনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে ভারত।
মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়; প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। এখানে ছবিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই কালপরিক্রমা—
বাংলাদেশের পতাকা হাতে মুক্তিযোদ্ধারা
রাইফেল হাতে এক নারী মুক্তিযোদ্ধা
কুমিল্লা শত্রু মুক্ত হওয়ার দিন ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশিরা
কুমিল্লা শত্রু মুক্ত হওয়ার দিন ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশিরা
রাজাকারদের বেঁধে পিটাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সৈন্যরা
পাকিস্তানী সেনাদের বন্দী করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
শরনার্থী শিবিরের দিকে যাচ্ছে এক লোক তার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে
যুদ্ধের ঠিক আগে বাঙ্গালী এক নিরস্ত্র সাধারন লোকের দিকে ধাওয়া দিচ্ছে পাকিস্তানী সৈন্য
যশোরের মাটিতে পড়ে আছে বহু মানুষের লাশ
যুদ্ধের সময় শিশুদের মেরে ফেলে রেখেছে পাকিস্তানী সেনারা
ডিসেম্বর ১৯৭১। যশোরে রাজাকারদের আটক করে রেখেছে স্থানীয় জনতা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
গণহত্যার শিকার বাঙালিরা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
ডিসেম্বরে খুলনায় আটক পাকিস্তানি সেনা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
ডিসেম্বরে খুলনায় আটক পাকিস্তানি সেনা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
ডিসেম্বরে খুলনায় আটক পাকিস্তানি সেনা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
ডিসেম্বরে খুলনায় আটক পাকিস্তানি সেনা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
ডিসেম্বরে খুলনায় আটক পাকিস্তানি সেনা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
যশোরে পাক বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার সময় মুক্তিযোদ্ধারা। ছবি: রেমন্ড ডেপারডন
স্ত্রীর লাশ কোলে করে এক সাধারণ বাঙ্গালী
টাইম ম্যাগাজিনের কাভার পেজে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
পাকিস্তানি সেনাবাহীনির আত্মসর্পনের সময়ে তোলা রঙ্গিন ছবি
১৬ ডিসেম্বরে ঢাকার রাস্তায় মুক্তিসেনা
যুদ্ধে যাবার পূর্বে বাবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে যাচ্ছেন এই বাংলা মায়ের সন্তান
ঢাকার রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ
ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার চিত্র
দেশ ছেড়ে ভারতে যাচ্ছেন শরণার্থীরা
শরণার্থী
যশোরে মুক্তিসেনাদের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ
বুড়িগঙ্গায় ভাসছে মানুষের মরদেহ
পাকিস্তানি ক্যাম্পে আটকে রাখা এক তরুণী
ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার পর তার লাশ নদীতে ফেলতে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা
মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এভাবেই ট্যাঙ্গে পিষে মারত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী
ঢাকার রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ
মিরপুর বধ্যভূমিতে পড়ে থাকা মানুষের লাশ
শাঁখারিবাজারে একটি পরিবারের সব সদস্যকে এভাবেই গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা
নদীর পাড় থেকে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পের দিকে অস্ত্র তাক করে আছে মুক্তিসেনারা
নারী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের কালপরিক্রমা ফিচার মুক্তিযুদ্ধ সঞ্জয় ভৌমিক