দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়াবহ বিহারি নৃশংসতা
২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:২৭
১৯৭১ সালে লুৎফর রহমানের জীবনে ঘটেছিল দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা। একাত্তরে কুষ্টিয়া শহরের পতন ঘটার পর লুৎফরসহ আরও অসংখ্য মানুষ পাকিস্তানি সেনা ও বিহারিদের ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসেন গ্রামে। কুষ্টিয়ার ভদ্রাসনের বাসিন্দা লুৎফর পালিয়ে এসেছিলেন, আর শহরে ফিরে যাওয়ার সাহস করেননি। চাচাতো ভাই খোকা মাঝে মাঝে শহরে গিয়ে তার দোকানের জন্য প্রয়োজনীয় মাল আর জরুরি জিনিসপত্র কিনে আনেন, সেটাও খুব সাবধানে। যদিও শহরে তার অবাঙালি বিহারি বন্ধুরা ভরসা দিয়েছে যে, সে নির্ভয়ে আসতে পারে। কিন্তু শহরে চলমান ভয়াবহ অরাজকতা আর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড প্রত্যেক বাঙালির জন্যই ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক।
পুরো কুষ্টিয়া শহর ছিল অবাঙালি বিহারিদের রাজত্ব। পাকিস্তানি সেনাদের বিশ্বস্ত হায়েনার দল হিসেবে কাজ করা এই বিহারিরা বাঙালিদের উপর নির্মম অত্যাচার আর নির্যাতন, নির্বিচার লুটপাট আর নির্দ্বিধায় জবাইয়ের মহোৎসব শুরু করেছিল। কোনো পূর্ণবয়স্ক বা স্বাস্থ্যবান বাঙালি পুরুষ রেহাই পেতো না। যে কোনো কৌশলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হতো বধ্যভূমিতে।
এপ্রিলে শহরে নিজের বাসগৃহ থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামে পালিয়ে আসার পর থেকে লুৎফর আর শহরে যাননি। কিন্তু প্রিয় শহরের অবস্থা কী—সেটা জানার জন্য একসময় উদগ্রীব হয়ে উঠলেন তিনি। তার খোকা ভাইকে ধরে বসলেন, যেভাবেই হোক তাকেও শহরে নিয়ে যেতে হবে। খোকা প্রথমে উড়িয়েই দিলেন তার এই অনুরোধ,। বিহারিরা মেরে ফেলতে পারে সে ভয়ও দেখালেন, বহু অনুনয় বিনয়ের পর অবশেষে তিনি রাজি হলেন লুৎফরকে শহরে নিয়ে যেতে। শর্ত একটাই, কোনোভাবেই বাড়ির কাউকে জানানো যাবে না।
শর্তমতে পরদিন বাড়ির কাউকে না জানিয়ে দুই ভাই রওনা হলেন শহরে। শহরে প্রবেশ করেই চমকে উঠলেন লুৎফর, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত বাড়িঘর, রীতিমত মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনারা। রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের টহল, বিহারি অবাঙালিদের হাতে অস্ত্র। কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজারে ঢুকতেই লুৎফরের চোখে পড়লো—যে দু-চার জন বাঙালি আছ, তারা ভয়ে প্রায় চোখ-কান বুজে সন্তর্পণে চলাচল করছে, কারো মুখে কোন কথা নেই। চারপাশে প্রচুর বিহারি আর পাকিস্তানি সেনা। তারা বেশ আয়েশে আড্ডা দিচ্ছে, টহল দিচ্ছে। দ্রুতপায়ে খোকা তার গ্রামের হাটের দোকানের জন্য মাল কিনতে চলে গেলেন।
হঠাৎ এক দোকানে জিনিসপত্র কেনার সময় এক অবাঙালি যুবক এসে খোকা ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালো। তার কাঁধে রাইফেল। খোকা পাশ ফিরে তাকে দেখে বললেন, আরে আসলাম ভাই, ভালো আছেন? অবাঙালিটি মাথা নেড়ে তাকে বলল, ‘হা ভাই। আচ্ছা, এক সিগারেট পিলাইয়ে না’। খোকা শার্টের পকেট থেকে সিগারেট বের করে তাকে দিলেন, সিগারেট বের করার সময় দেখা গেল খোকার পকেটে অনেকগুলো জিন্নাহর ছবিওয়ালা একশো টাকার নোট। মাল কেনার জন্য যে টাকাটা এনেছিলেন তিনি। লোকটি সিগারেট নিয়ে আর একটা কথাও না বলে চলে গেল, কিন্তু লুৎফর লক্ষ্য করলেন সে লোভাতুর দৃষ্টিতে বারবার খোকার কাছে থাকা টাকাগুলো দেখছিল। লুৎফরের মেরুদণ্ডে এক হিমশীতল অনুভূতি হলো। তখনো কল্পনাও করেননি তারা, কি ভয়ংকর ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর।
বকরীদানের দোকানে কাজ সেরে দু’জন যখন নবী বকশের দোকানের দিকে এগোচ্ছেন, হঠাৎ তাদের গতিরোধ করে দাঁড়ালো চার অবাঙালি আর এক পাকিস্তানি সেনা। তাদের ভেতর ১০ বছরের এক ছেলে খোকার দিকে আঙ্গুল তুলে বললো, ‘ইয়ে আদমি মেরে রুপিয়া লে গিয়া’।
সাথে সাথে স্তব্ধ খোকার সামনে পাকিস্তানি সেনাটি ওই ছেলেটাকে ক্ষুব্ধ স্বরে জিজ্ঞেস করল, ‘ইয়ে গাদ্দার আদমি কেতনা রুপিয়াকা নোট লিয়া থা?’ সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটি মুখস্থ বুলির মতো জবাব দিলো, ‘শ রুপিয়াকা নোট’। খোকা বা লুৎফর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাকিস্তানি সেনাটি খোকার পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুহূর্তে তার টাকাগুলো সব বের করে নিলো। টাকাগুলো দেখেই ছেলেটা চিৎকার করে উঠলো, ‘এহিহ হ্যায় মেরা রুপিয়া!’
সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাটির রাইফেলের বাঁটের প্রচণ্ড বাড়ি এসে পড়ল খোকার মেরুদণ্ড বরাবর। আর লুৎফর পেটে বুকে উপুর্যপরি বুটের লাথি খেয়ে উল্টে পড়লেন পাশের নর্দমায়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে তিনি দেখলেন খোকা তার ধরে ঝাঁকাচ্ছেন । প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন লুৎফর। দেখলেন, শুধু টাকা নয়, অবাঙালিগুলো তাদের সাইকেলটাও নিয়ে গেছে। রিকশা করে স্টেশন রোডে এসে আকবর ডাক্তারের ডিসপেনসারিতে এসে শুশ্রূষার পর লুৎফর অতি দ্রুত খোকাকে নিয়ে চলে যেতে চাইলেন। কিন্তু টাকা এবং সাইকেল হারিয়ে মার খেয়ে অপমানিত খোকা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে চিৎকার করতে শুরু করলেন, ‘আর্মি আর বিহারি মিলে আমার সাইকেল আর টাকা কেড়ে নিয়ে গেছে। আমি এখন কোর্ট বিল্ডিং-এ মেজরের কাছে যাবো, এর বিচার করতেই হবে।’
প্রমোদ গুনলেন লুৎফর। যেখানে বাঙালিদের প্রতিমুহূর্তেই বিহারি আর পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্বিচারে জবাই হওয়ার আতঙ্ক নিয়ে চলতে হচ্ছে, প্রতিদিন প্রাণে বেঁচে থাকাটাই যেখানে প্রবল সৌভাগ্য, সেখানে টাকা আর সাইকেলের জন্য বিচার চাইতে মেজরের কাছে যাওয়ার প্রস্তাব সরাসরি আত্মহত্যার সামিল। খোকা আসলে এই অপমানের জেরে তার মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলছিলেন ওই মুহূর্তে, তার চিৎকারে আশেপাশে লোক জড়ো হয়ে গেল। সবার চোখে-মুখে আতঙ্কের ছায়া। বিহারিরা বাঙালিদের এতো বড় সাহসের কথা শুনলে রাস্তার উপরেই মেরে ফেলে রাখবে। ভিড়ের ভেতর থেকে একজন খোকার হাত ধরে কাকুতিমিনতি করে বললেন, ‘যা হবার হয়ে গেছে, আপনি বাড়ি ফিরে যান ভাই। মেজরের কাছে আর যাওয়ার দরকার নেই।’
কিন্তু খোকার এককথা, বিচার করতেই হবে মেজরকে। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে সকলের আশঙ্কা সত্য করে ভিড় আর চিৎকার শুনে এগিয়ে এলো এক অবাঙালি। তার নাম হানিফ। ২৫ শে মার্চের আগে সে ছিল নরসুন্দর, ফুটপাতে লোকজনের চুল কেটে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন তার বেশভূষা একেবারেই পাল্টে গেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়ে আর চেহারায় সে এখন পৌরসভার সম্ভাব্য সদস্য। সে এসে বললো, ‘ইতনা শোর কিউ? হুয়া কেয়া?’ হানিফ খোকার পূর্ব পরিচিত ছিল, তাকে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলা হলো। শুনে হানিফ খোকাকে বললো, ‘মেরা সাথ চলো দোস্ত, দেখেঙ্গে কোন রুপিয়া অউর সাইকেল ছিনকার লে গেয়া তুমকো। হাম মেজর কা পাস যায়েঙ্গে।’
লুৎফর আপ্রাণ চেষ্টা করেও খোকাকে ঠেকাতে পারলেন না। অগ্রপশ্চাৎ পরোয়া না করে খোকা হানিফের সঙ্গে যাওয়া শুরু করলেন। প্রচণ্ড আতঙ্কিত হলেও লুৎফর তার প্রিয়জনকে একলা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চাইলেন না। আশেপাশের লোকগুলো বারবার আকারে ইঙ্গিতে চোখে চোখে অনুরোধ করে ঠেকাতে চেষ্টা করলেন খোকাকে, কিন্তু খোকা তখন স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারছিলেন না। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন হানিফ তার পরিচিত, সে অন্তত তাকে বিচার পেতে সাহায্য করবে। হানিফ খুবই আন্তরিক চেহারায় বারবার নিশ্চয়তা দিতে দিতে খোকাকে নিয়ে এগোতে লাগলো, কিভাবে মেজরকে সব খুলে বলবে, কিভাবে তার সাইকেল আর টাকা উদ্ধার করে দেবে সেই প্ল্যান জানাতে লাগলো খোকাকে।
বড় রাস্তা ছেড়ে একসময় রক্সি গলির কিনারে আসলো যখন সবাই, তখন হঠাৎ হানিফ নিজের হাতের মুঠোয় থাকা খোকা হাত চাপ দিয়ে বললো, ‘খোকা ভাই, চালো ইয়ে গালি কা কিনারে, এক মিঠাইওয়ালা পানকা দোকান হ্যায়, উহাছে পান খারিদ করকে তুমকে খিলায়েঙ্গে। ইয়ে আচ্ছি পান হ্যাঁয়’। রক্সি গলিতে ঢুকতেই লুৎফরের সর্বাঙ্গ শিউরে উঠল। কারণ তিনি শুনেছিলেন বাঙালিদের নিয়মিত এই গলিতে নানাভাবে নিয়ে এসে জবাই করা হয় এবং নদীতে ছুঁড়ে ফেলা হয়। পারতপক্ষে জেনেশুনে কোনো বাঙালি এই গলিতে ঢোকে না।
কিন্তু হায়, খোকা সেদিন কোনকিছুই পরোয়া করছিলেন না। গলির শেষপ্রান্তে পানের দোকান, তার থেকে দুইশো গজ দূরে বর্ষায় থইথই গড়াই নদী। বানানো পানটা খোকা মাত্র মুখে দিয়েছেন, আচমকা যেন মাটি ফুঁড়ে তাদের চারপাশে উদয় হলো ৩ জন অবাঙালি। প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র। সাথে সাথে লুৎফর ছিটকে দোকানের পেছনে লুকিয়ে গেলেন, কিন্তু খোকার সামনে হানিফ দাঁড়িয়ে থাকায় তিনি ছুটতে পারলেন না। তবুও বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে খোকা নদীর দিকে দৌড় দিতেই এক বিহারি তার পায়ের ভেতর পা ঢুকিয়ে উল্টে ফেলে দিল তাকে, এমনভাবে সবাই উৎকটভঙ্গিতে হেসে উঠলো যেন বিশাল কোনো মজা দেখছে সবাই।
এরপর তাকে টেনে-হেঁচড়ে পাশের ছোট গলিতে নিয়ে গেল ওরা। প্রাণপণে চেষ্টা করেও তাদের হাত থেকে ছুটতে পারলেন না খোকা। বারবার তার বন্ধু হানিফের কাছে অনুরোধ করছিলেন, ‘হানিফ ভাই, জীবনটা ভিক্ষা দাও, আর কিছু চাই না। সাইকেল টাকা তোমরা রেখে দাও, আমাকে শুধু প্রাণে মেরো না’। জবাবে জল্লাদের দল স্রেফ অট্টহাসিতে বুঝিয়ে দিল, এর চেয়ে মজার রসিকতা তারা কখনো শোনেনি।
লুকিয়ে থাকা লুৎফর নিঃশব্দ হাহাকারে অসহায়ের মতো চেয়ে দেখলেন, কাদাপানিতে মাখামাখি খোকা শেষবারের মতো চারপাশ চেয়ে দেখলেন এবং মুহূর্তে তার চেহারা থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য অনুনয়ের ভাব মিলিয়ে গেল। দৃঢ় চিত্তে যেন আসন্ন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিলেন তিনি। কিন্তু পৈশাচিকতার যে তখনো বাকি ছিল।
প্রথমে তার ডান হাত কুপিয়ে ছিঁড়ে ফেললো ওরা। খোকার গগনবিদারী চিৎকারে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল যেন। এক হাত বিচ্ছিন্ন খোকা দাঁড়িয়ে ছিলেন তখনো। খিক খিক করে নোংরা হাসি হেসে হানিফ টিটকারির সুরে বললো খোকাকে, ‘যাইয়ে না ভাই, এক হাত লেকার আপ কা মেজর সাব কা পাস যাইয়ে না!’ বলতে না বলতেই পর পর দু’টো কোপ একসাথে পড়লো খোকার বাম হাত এবং ডান উরুর উপর। মুখ থুবড়ে পড়লেন খোকা, হাত পা টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে ওরা। হায়েনার দল এরপর কিছুক্ষণ বিরতি নিল। যথেচ্ছা হাসিতামাশা করল খোকাকে দেখিয়ে। এরপর প্রচণ্ড নৃশংসতায় খোকার মাথাটি কুপিয়ে আলাদা করে ফেললো ওরা। হানিফ খোকার মাথাটা পা দিয়ে উল্টে সরিয়ে দিল দূরে।
এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড শেষ হওয়ার পর হঠাৎ একজন জিজ্ঞেস করল, ‘আরে, ও লাড়কা কিধার গ্যায়া?’
ভাইকে নির্মমতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে দেখা লুৎফর দু’টো সেকেন্ডের জন্যও শোক করার সময় পেলেন না। প্রাণ বাঁচাতে দোকানের পেছন থেকে একছুটে বেরিয়ে সোজা গড়াইয়ের দিকে দৌড়াতে থাকলেন তিনি। লুৎফরকে পালাতে দেখে হানিফ গলায় বেশ আমোদ আর রসিকতার স্বর এনে চেঁচিয়ে উঠল, ‘পাকড়ো সালে কো, পাকড়ো, উসকো পাকড়ো’। প্রচণ্ড আতঙ্কে আর ভাই হারানোর তীব্র হাহাকারে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে ছুটছেন লুৎফর। কোনরকমে দুইশো গজ পেরোতে হবে তাকে, তারপরেই নদীতে এক ঝাঁপে বেঁচে যাবেন তিনি। পেছনে রক্তাক্ত ড্যাগার হাতে ধেয়ে আসছে জল্লাদের দল। আমোদ করছে নিজেদের মধ্যে, ধরতে পারলে কিভাবে তিলে তিলে মারবে রসিয়ে রসিয়ে সে বর্ণনা দিচ্ছে।
ভাইয়ের ছিন্নভিন্ন লাশ পেছনে ফেলে সেদিন লুৎফর গড়াইতে ঝাঁপ দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীর অভিজ্ঞতা বর্ণনা:- লুৎফর রহমান; কর্মকর্তা, বিআরবি কেবলস, কুষ্টিয়া।
কৃতজ্ঞতা:- ১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
সম্পাদনা: রশীদ হায়দার
সারাবাংলা/এসবিডিই
দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়াবহ বিহারি নৃশংসতা ফিচার মুক্তিযুদ্ধ রা'আদ রহমান