যেভাবে এসেছিল একুশের বিশ্বস্বীকৃতি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১৮
পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম জাতি হিসেবে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিল বাঙালিরা। ছোটবেলায় মায়ের মুখের মিষ্টি বুলি যে ভাষা হয়ে উঠেছিল, সেই মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে বাঘের মতো গর্জনে ফুঁসে ওঠা বাঙালি প্রাণটাও উৎসর্গ করতে একবিন্দু দ্বিধা করেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য এমন সাহস আর নিঃশর্ত ভালোবাসা অকল্পনীয়। পৃথিবীতে মাতৃভাষার ভিত্তিতে একটা আস্ত দেশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার ঘটনাও আর ঘটেনি কখনো। বাংলা নামের দেশটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি ভিত্তিমূল ছিল বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় সেই রক্তাক্ত সংগ্রামের ইতিহাসখানা। ১৯৫২ সালের ৮ই ফাল্গুন, ইংরেজিতে একুশে ফেব্রুয়ারি সেকারণেই আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গৌরবগাঁথার একটি।
কিন্তু সেই গৌরবের ইতিহাসটা বিশ্বদরবারে অসামান্য মর্যাদায় পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাটা যেমন অভিনব রুদ্ধশ্বাসের, ঠিক তেমনি অসামান্য গৌরবেরও। আজ আমাদের ভাষাশহিদদের অকুতোভয় অসামান্য ত্যাগকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়। এই দিনটাকেই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের এই ইতিহাসটার পেছনে ছিলেন কিছু অসামান্য দেশপ্রেমিক, ছিল এক দীর্ঘ এবং অনিশ্চিত যাত্রা।
কাকতালীয় হলেও সত্য, একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা আর অধিকার রক্ষায় প্রাণ দিয়েছিলেন যে রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম, ৪৬ বছর পর আরেক রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম এই দিনের আত্মত্যাগ ও গৌরবগাঁথার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে রেখেছিলেন প্রধান ভূমিকা। ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা থেকে ১৯৯৭ সালে প্রথম ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী উত্থাপন করা হয়। সেবছর স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গফরগাঁও থিয়েটার’ ওই দাবির পক্ষে শোভাযাত্রা বের করে। এলাকার বিভিন্ন দেয়াল, বাস ও ট্রেনে পোস্টার লাগায়। তার দুই বছর পর সংগঠনটির একুশের সংকলনেও স্লোগান ছাপে ‘বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস চাই/ একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই’ (সূত্র : মাহবুবুল আলম কবীরের প্রবন্ধ, ১১ জানুয়ারি ২০১৩, দৈনিক কালের কণ্ঠ)।
ওদিকে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে প্রবাসী বাঙালি রফিকুল ইসলাম মায়ের ভাষা বাঙলার অধিকার আদায়ের সংগ্রামের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পরিচিত করে তোলার এক অসম্ভব লড়াইয়ে নেমেছেন। ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে দেওয়া এক চিঠিতে রফিকুল আবেদন করেন— ভাষার জন্য চরম আত্মত্যাগ করা বাঙালি জাতির এই অর্জনের ইতিহাসকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এবং পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি শুভকামনা জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার এই উদ্যোগ দেখে মহাসচিবের তৎকালীন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হাসান ফেরদৌস তাকে পরামর্শ দেন এই একই প্রস্তাবটি জাতিসংঘের আরেকটি সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে আনার যেন প্রস্তাবের গুরুত্বটা বাড়ে। ফলে রফিকুল তার আরেক সহযোদ্ধা আবদুস সালামের সঙ্গে মিলে গঠন করলেন ‘Mother Language Lovers of the World’ নামে একটি সংগঠন।
মাতৃভাষা-প্রেমিকগোষ্ঠীর এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন সাত জাতি ও সাত ভাষার ১০ জন সদস্য। তারা হলেন অ্যালবার্ট ভিনজন ও কারমেন ক্রিস্টোবাল (ফিলিপিনো), জ্যাসন মোরিন ও সুসান হজিন্স (ইংরেজি), ড. কেলভিন চাও (ক্যান্টনিজ), নাজনীন ইসলাম (কা-চি), রেনাটে মার্টিনস (জার্মান), করুণা জোসি (হিন্দি) এবং রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম (বাংলা)। এবার তারা এই সংগঠনের পক্ষ থেকে আবার মহাসচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠান। এবং ইউএনওর ক্যানাডিয়ান অ্যাম্বেসেডর ডেভিড ফাওলারের কাছে এই চিঠির একটা কপি প্রেরণ করেন। কিন্তু প্রথমে সেরকম কোনো সাড়া পেলেন না তারা। হাল না ছেড়ে রফিকুল-সালাম দু’জন তৎকালীন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এম এ সাদেক, শিক্ষা সচিব কাজী রকিবুদ্দিন, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটের তৎকালীন ডিরেক্টর), সৈয়দ মোজাম্মেল আলি (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সিলর), তোজাম্মেল হক (ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনারেলের শীর্ষ উপদেষ্টা) প্রমুখ ব্যক্তিদের এই স্বীকৃতি পাওয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করাতে সক্ষম হন এবং তারা সবাই প্রায় ২৯টি দেশের সমর্থন আদায়ে দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকেন। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসান ফেরদৌস সাহেব রফিক ও সালামকে পরামর্শ দেন ইউনেস্কোর ভাষা বিভাগের জোসেফ পডের সঙ্গে দেখা করতে।
জোসেফ তাদের ইউনেস্কোর সদর দফতরের আরেক কর্মকর্তা আনা মারিয়ার সাথে দেখা করার পরামর্শ দেন। এই সদা হাস্যজ্জ্বল আনা মারিয়া আমাদের এই যাত্রায় খুব গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ। তিনি যদি মনোযোগ দিয়ে এই পুরো ঘটনাটা না শুনতেন, তাহলে আমাদের কাজটা আরেকটু কঠিন হয়ে যেত। আনা সুইডেনের বাসিন্দা, কিন্তু তার মাতৃভাষা ছিল ইংরেজি। কিন্তু সুইডেনে ইংরেজি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। তিনি এই দিবসের তাৎপর্য উপলব্ধি করেছিলেন গভীরভাবে। তাই তিনি সেদিন অফিসের সময় শেষেও বসেছিলেন বাংলাদেশ মিশন থেকে রেজ্যুলেশনটি পাওয়ার আশায়। কেননা ইউনেস্কোর ফাইলে রেজ্যুলেশন রাখার ওইদিনই ছিল শেষ দিবস। এদিকে ঢাকায় ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কোর ফ্যাক্স মেশিন ছিল একেবারেই পুরানো। তাই সেখান থেকে বার বার ফ্যাক্স পাঠালেও দূতাবাসের কর্মীরা তার পাঠোদ্ধার করতে পারছিলেন না। অফিস সময় পেরিয়ে গেলেও দূতাবাসের অফিস কর্মী আবদুল আউয়ালও তাই অনেক রাত পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কয়েকজন মিলে সেটির পাঠোদ্ধার করে নতুনভাবে টাইপ করে মারিয়ার অফিসে পাঠানো হয় এবং মারিয়ার অপেক্ষারও অবসান ঘটে। প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠিয়ে দিয়ে তবে তিনি বাসায় ফেরেন। আনার মতো এই প্রত্যেকটি মানুষ এবং তাদের সর্বাত্মক সহায়তা কৃতজ্ঞতায় স্মরণ রাখা খুব জরুরি।
আনা মারিয়া পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রস্তাবটি ৫টি দেশ থেকে আনা হলে সবচেয়ে ভালো হয়। তার পরামর্শমতে কানাডা, হাঙ্গেরি, ভারত ও ফিনল্যান্ড থেকে প্রস্তাবটি আনবার ব্যবস্থা করা হলেও বাংলাদেশ থেকে তখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব আসেনি। ১৯৯৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোতে প্রস্তাব উত্থাপনের শেষদিন জানা গেল, প্রস্তাবটি আসতে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর একটা সই দরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে, সংসদ অধিবেশন শেষ হবার পরে সই নিতে নিতে অনেক দেরি হয়ে যাবে, ততক্ষণে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা যাবে পার হয়ে। শেষ পর্যন্ত উপায়ন্তর না দেখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করা হল কানাডার ভ্যানকুভার থেকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের জটিলতা উপেক্ষা করে নথি অনুমোদনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই নিজের সইখানা ফ্যাক্স করে পাঠিয়ে দিলেন ইউনেস্কোর সদরদপ্তরে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় ইউনেস্কোর অফিসটাইম শেষ হবার মাত্র এক ঘণ্টা আগে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব দিল।
তখন ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদের ১৫৭তম অধিবেশন এবং ৩০তম সাধারণ সম্মেলন ছিল। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিয়ে ইউনেস্কোতে সমস্যা দেখা দেয়। ইউনেস্কো ভেবেছিল, এমন একটা দিবস পালন করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। প্রতিবছর এই বিপুল পরিমাণ অর্থ-খরচের বিষয়টা সামনে আসাতেই ব্যাপারটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক। শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউনেস্কো অধিবেশনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা। তিনি অধিবেশনে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যেখানে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য পৃথিবীর ১৮৮টি জাতির সামনে তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পক্ষে অভিমতও গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। এমনকি উপস্থিত সদস্যদের বোঝাতে সক্ষম হন, দিবসটি পালন করতে প্রকৃতপক্ষে ইউনেস্কোর এক ডলারও লাগবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ নিজেরাই নিজেদের মাতৃভাষার গুরুত্ব আলোচনা ও জয়গান গাইতে গাইতে দিনটি পালন করবে।
১৯৯৯ সালের ১৬ নভেম্বর ইউনেস্কো সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবটি উত্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু বিধিবাম! সেদিন কোনো এক অজানা কারণে বাংলাদেশের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়নি। অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে আসে ১৭ নভেম্বর। অবশেষে শত প্রতীক্ষার সেই প্রস্তাবের ব্যাপারে সম্মতি জানালো উপস্থিত ১৮৮টা দেশের প্রতিনিধিরা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১-এ ফেব্রুয়ারি লাভ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা।
ইউনেস্কোর ঐতিহাসিক সেই অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের মূল প্রস্তাবক ছিল বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব। আর সমর্থন করেছিল আইভরি কোস্ট, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কমোরোস, ডোমিনিকান রিপাবলিক, পাকিস্তান, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপিন, বাহামাস, বেনিন, বেলারুশ, গাম্বিয়া, ভারত, ভানুয়াতু, মাইক্রোনেসিয়া, রুশ ফেডারেশন, লিথুয়ানিয়া, মিসর, শ্রীলংকা, সিরিয়া ও হন্ডুরাস।
আজ পৃথিবীতে জনগোষ্ঠীর বিচারে বাংলা ভাষার স্থান ৪র্থ। বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। কোটি মানুষের এই মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়া এই অসামান্য ঘটনার কথা জানে পৃথিবীর প্রায় সবদেশের মানুষ, প্রতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এই দিবসটা। কিন্তু যে মহাত্মরা আমাদের অর্জন আর গৌরবের একুশের ইতিহাস পৌঁছে দিলেন সারা পৃথিবী জুড়ে, সেই রফিকুল হক আর আবদুস সালামসহ এই যাত্রায় অবদান রাখা প্রত্যেকটা মানুষকে সেভাবে স্মরণ করা হয় না। ২০১৬ সালে রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হলেও তাদের কীর্তি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয় না, অনেকেই জানে না যে কিভাবে আমাদের এই গর্বের অর্জন পৌঁছে গেল বিশ্বদরবারে।
লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর কানাডার ভ্যানকুভারেই পরলোকগমন করেন একাত্তরে বিএলএফের হয়ে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম। তার এবং তার সহযোদ্ধা আবদুস সালামের নামে কোনো স্থাপনার নামকরণও হয়নি, নেওয়া হয়নি এমন কোনো উদ্যোগ যেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তরুণ-তরুণীরা তাদের কীর্তি সম্পর্কে জানতে পারে। আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম প্রধান অর্জনকে বিশ্বদরবারে যারা পরিচিত করাল, সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে এই অসামান্য আত্মত্যাগের গল্পটা পৌঁছে দিল, জাতি হিসেবে তাদের স্মরণ করা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তাদের রুদ্ধশ্বাস কীর্তির ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া আমাদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
লেখক: অ্যাক্টিভিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই