লাইলাতুল কদরের বেজোড় রাত নিয়ে বিভ্রান্তি কেন?
১৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৭
লাইলাতুল কদরের বেজোড় রাত নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেকেই একটু বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। কারণ ইংরেজি ও বাংলা বর্ষপুঞ্জির হিসেবে দিন আগে ও রাত পরে। আর আরবি বর্ষপুঞ্জির হিসেব হলো- রাত আগে ও দিন পরে। রাসুল (সা.)-এর হাদীসের বর্ণনা মতে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলো হলো— ২১তম, ২৩তম, ২৫তম, ২৭তম এবং ২৯তম রাত। এখন জানার বিষয় হলো- বেজোড় রাতগুলো কখন থেকে গণনা শুরু হয়? বেজোড় সংখ্যার রোজার পরবর্তী রাতটি কি বেজোড় রাত? না, বেজোড় সংখ্যার রোজার পরবর্তী রাতটি বেজোড় রাত নয়।
আরবি বর্ষপঞ্জীর নিয়ম মোতাবেক রাতের মাধ্যমে যেহেতু দিবস গণনার সূচনা হয় সেই মতে জোড় সংখ্যার রোজার পরবর্তী রাতটি হবে বেজোড় রাত। অর্থ্যাৎ ২০তম রোজার পরবর্তী রাত হবে ২১তম রজনী। ২২তম রোজার পরবর্তী রাত হবে ২৩তম রজনী। ২৪তম রোজার পরবর্তী রাত হবে ২৫তম রজনী। ২৬তম রোজার পরবর্তী রাত হবে ২৭তম রজনী এবং ২৮তম রোজার পরবর্তী রাত হবে ২৯তম রজনী।
পরিশেষ রাসুল (সা.)-এর কিছু হাদীস স্মরণ করিয়ে দেই। ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘শবে কদর’ থেকে বঞ্চিত হলো; সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হলো।’
আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ আছে, হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘লাইলাতুল কদর’ পেল কিন্তু ইবাদত-বন্দেগীতে সময় কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই।’
সুতরাং পবিত্র রমজানের মাসে লাইলাতুল কদর আপনার আমার দরজায় কড়া নাড়ছে। এ রাতটিকে খুঁজে আমল-ইবাদতে কাটিয়ে সৌভাগ্যবানদের তালিকাতে নাম লেখাবো নাকি হতভাগা থেকে যাবো; সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদেরকেই।
লেখক: সম্পাদক, ইসলাম প্রতিদিন
সারাবাংলা/এসবিডিই