Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বীভৎস কল্যাণপুর: গণহত্যার পূর্বাপর

রহমান রা’আদ
৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৯

মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার উত্তরের মিরপুর ও মোহাম্মদপুর ছিল বিহারী অধ্যুষিত জনপদ। এরইমধ্যে কল্যাণপুর ছিল মিরপুর থানার অন্তর্গত বাঙালীপাড়া। আইয়ুব সরকারের আমলে আমদানী করা অবাঙ্গালী উর্দুভাষী বিহারীদের দাপট এই অঞ্চলে এতোটাই ছিল যে মিরপুর-মোহাম্মদপুরের প্রবেশপথ আসাদগেইটের অংশ থেকেই বাঙ্গালীরাও উর্দুতে কথা বলতে বাধ্য হত। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা বর্তমান সংসদ ভবন সংলগ্ন মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানাকে পাকিস্তানী ভাবধারায় গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। তারই ফলাফলে দখলকৃত ঢাকার কল্যাণপুরে একাত্তরের এপ্রিলে ঘটেছিল এক বীভৎস গণহত্যা!

বিজ্ঞাপন

এই গণহত্যার পটভূমি তৈরি হয়েছিল আরো অনেক আগে থেকেই। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিহারীদের পশ্চাৎপদ ধ্যান-ধারণা, ধর্মান্ধতা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র ধর্মব্যবসায়ীর দল জামায়াতে ইসলামী বিহারীদের নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের অস্ত্র বানাতে শুরু করে। বিহারীরাও জামায়াতের মাধ্যমে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হয়ে এবং পাকিস্তানী জান্তা সরকারের প্রলোভনে বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে শোষণের ছড়ি ঘোরাতে উৎসাহিত হয়। ধর্মকে ব্যবহার করে বাঙ্গালীদের কাফের আখ্যা দিয়ে জেনোসাইডের বীজ বপন করা হয় এভাবেই।

বিজ্ঞাপন

১৯৭০ সালের নির্বাচনে মিরপুর-মোহাম্মদপুর-তেজগাঁও এই তিন থানার সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের আসনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আযম প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। জাতীয় পরিষদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন ও প্রাদেশিক পরিষদে প্রার্থী ছিলেন ডাঃ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন ছিলেন উর্দুভাষী। কিন্তু ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে তিনি একনিষ্ঠভাবে আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। যার জন্য তাকে আর দশজন আওয়ামীলীগ কর্মীর মতই সহ্য করতে হয়েছিল নানাবিধ নির্যাতন।

বাঙ্গালীরা আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে এবং বিহারীরা জামায়াত প্রার্থী গোলাম আযমের পক্ষে প্রচারণা শুরু করে। মিরপুর এলাকা বিহারী অধ্যুষিত হওয়ায় গোলাম আযমের সমর্থকেরা ভেবেছিল বাঙালীদের ভেতর থেকে সামান্য কিছু ভোট টানতে পারলেই নির্বাচনে জামায়াতের গোলাম আযমের জয় নিশ্চিত। কিন্তু নির্বাচনে দেখা গেল বাঙ্গালীদের ভেতর জামায়াত বা গোলাম আযমের প্রতি ন্যুনতম সমর্থনও নেই। ফলে নির্বাচনে গোলাম আযম বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন এবং তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। পরাজিত হয়ে জামায়াত কর্মী-সমর্থক ও বিহারীরা প্রতিশোধস্পৃহায় উন্মাদ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতিশোধ নেবার সুযোগ আসে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নিরীহ নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙ্গালীদের উপর সভ্যতার অন্যতম বীভৎস গণহত্যা শুরু করলে।

গোলাম আযম ও তার দল জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের সামরিক জান্তার অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে আবির্ভূত হয়। এলাকায় এলাকায় শান্তি কমিটির নামে জেনোসাইডকে সমর্থনের পাশাপাশি জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতাকর্মীরা আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনীর মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে জেনোসাইডে অংশ নেয়। মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় গোলাম আযম বাঙ্গালীদের স্বাধীনতার চেষ্টা চিরতরে নির্মূল করতে নিয়োগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংঘের সভাপতি কাদের মোল্লাকে। বয়সে তরুণ হলেও বাঙ্গালী নিধনের মহাপরিকল্পনায় দুর্দান্ত চমক দেখান কাদের মোল্লা। তার নেতৃত্বে ছাত্রসংঘ জামায়াত কর্মী ও বিহারী জল্লাদদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে ঘাতক বাহিনী, যাদের মূল লক্ষ্য থাকে নির্বিচারে বাঙ্গালী নিধন করে ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে বাঙ্গালীদের মনন থেকে স্বাধীনতার স্বপ্ন চিরতরে উপড়ে ফেলা!

কাদের মোল্লার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অনুযায়ী জামায়াত ও ছাত্র সংঘের কর্মীরা বিহারীদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে একাত্তরের ২৮ এপ্রিল ভোরবেলা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চারদিক থেকে কল্যাণপুরকে ঘিরে ফেলে। কুখ্যাত নরপিশাচ আক্তার গুন্ডার নেতৃত্বে এই বাহিনী নিরীহ নিরপরাধ বাঙ্গালীদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। অন্যতম প্রধান ভূমিকা রাখে আক্তার গুন্ডা নিজেই। তার উত্থান ষাটের দশকে। জাতিগতভাবে বিহারী আক্তার মিরপুর এলাকাতে রীতিমত ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। তার অবাঙ্গালি ও বিহারীদের সমন্বয়ে গড়া একটা বাহিনী ছিল যারা চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার মত হেন কোন অপরাধ নেই যা করত না। তবে সে আলচনায় উঠে আসে ১৯৬৯ সালে বিহারী-বাঙ্গালী দাঙ্গায়।

ঊনসত্তর সালে নির্বাচন সামনে রেখে সরকার থেকে ভোটার লিস্ট প্রস্তুত করা হয়। ভোটার তালিকা কেন বাংলায়, কেন উর্দুতে না, সেই দাবীতে বিহারীরা অরাজকতা শুরু করে। একপর্যায়ে তারা বাঙ্গালীদের উপর হামলা চালাতে শুরু করলে বিহারী-বাঙ্গালী দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এই দাঙ্গায় আক্তার গুন্ডা পালন করে পৈশাচিক ভূমিকা। বাঙ্গালীপাড়ায় তার নেতৃত্বে লুটতরাজ ও নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ চলে। ফলে একাত্তরেই আগে থেকেই আক্তার গুন্ডার বাহিনী হয়ে উঠেছিল গণহত্যার অন্যতম প্রধান টুলস। আক্তার কতটা ভয়ংকর পিশাচ ছিল তার একটা ছোট্ট উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে।

মিরপুর ছয় নম্বর সেকশনে বর্তমানে প্রশিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় হজ্ব ফেরত হাজীদের নিয়ে একটা মাইক্রোবাস যশোর যাচ্ছিল। আক্তার গুন্ডা তার বাহিনী নিয়ে মাইক্রোবাসটি থামায়। মারতে মারতে হজ্বযাত্রীদের মাইক্রো থেকে বের করে। এরপরে প্রকাশ্যে প্রত্যেক হাজীকে জবাই করে তারা। হাজীদের একটাই অপরাধ। তারা ছিল বাঙ্গালী। মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাজীদের স্মরণে সেই রোডের নাম করণ করা হয় হাজী রোড। এখনো এই নামেই রোডটি পরিচিত। এটা ছিল আক্তার গুন্ডার পৈশাচিক নানা অপরাধের সামান্য নমুনা মাত্র।

একাত্তরের ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানী সেনারা কল্যাণপুর রেডিও পাকিস্তান ভবনের সামনে ও সরকারী বাঙলা কলেজে বাংকার স্থাপন করে ঘাঁটি গাড়ে। বিহারীরা মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের বাঙ্গালিদের উপর নানারকমের অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে। বাঙ্গালীদের গরু-ছাগল-হাস-মুরগী ধরে নিয়ে যাওয়া তো ছিলই, মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানী সেনাদের সাথে এনে বাঙ্গালী ছাত্র-শিক্ষক-যুবকদের ধরে নিতে যেত তারা। যাদের নিয়ে যেত তারা আর ফিরে আসতো না। কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের পূর্বে এখন যে কালভার্টটা আছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেখানে একটা উঁচু ব্রিজ ছিল। ব্রিজের নীচে ছিল গভীর খাল। ২৫ মার্চের পর থেকে বিহারী ও রাজাকারেরা পাকিস্তানী সেনাদের সাথে ঢাকা নানা প্রান্ত থেকে বাঙ্গালিদের ধরে এনে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে সেই ব্রিজের উপর দাঁড় করিয়ে দিত। এরপরে টানা ব্রাশফায়ার করে লাশগুলো পানিতে ফেলে দিত। খালের মাধ্যমে লাশগুলো হারিয়ে যেত বুড়িগঙ্গায়। একাত্তরের পুরো সময়টা জুড়েই চলেছে এই বীভৎস নির্বিচার গণহত্যা।

কিন্তু আরো বীভৎসতা বাকি ছিল। ২৫ মার্চের পর থেকেই রটে গিয়েছিল যে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিহারী ও পাকিস্তানী সেনাদের সাথে মিলে বড় ধরনের হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শ্যামলী রিং রোডের মাথায় একটা ত্রিকোণ আকৃতির সবুজ রং-এর পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিল বিহারীরা। পতাকাটা সাদা রং-এর চাঁদতারা খচিত ছিল। একটা বড় পাগলা ঘন্টা পতাকাটার নীচে ঝোলানো ছিল। একাত্তরের ২৮ এপ্রিল ভোরবেলায় সেই পাগলা ঘণ্টা বেজে উঠলো প্রচন্ড শব্দে। সেটিই ছিল বাঙ্গালীপাড়ায় হামলা চালাবার চূড়ান্ত সংকেত।

সেই পাগলা ঘন্টা ধ্বনি শুনে বিহারীরা নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর ও ইয়া আলী প্রভৃতি ধর্মীয় ও জিহাদী শ্লোগান দিতে দিতে ছুরি চাপাতি বল্লম টেঁটা ও বন্দুক নিয়ে সেই সবুজ পতাকাতলে সমবেত হয়। তারা কল্যাণপুর ঘিরে ফেলে এবং নির্দয় বর্বরতায় নারী–পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিচার গণহত্যায় মেতে ওঠে। মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের বিহারীরা অফিসযাত্রী কিংবা কর্মক্ষেত্রগামী বাঙ্গালী পথচারীদের রাস্তা থেকে ধাওয়া করতে করতে কল্যাণপুরের দিকে নিয়ে আসে, অন্যদিকে কল্যাণপুরে প্রস্তুত হয়ে থাকা বিহারী-রাজাকারদের দল আক্তার গুন্ডার নেতৃত্বে বাঁচার আশায় কল্যাণপুরের বিভিন্ন বাড়িঘরে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোকে সেসব বাড়ির বাসিন্দাসহ খুঁজে খুঁজে বের করে জবাই করে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। কাঁচা বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিলে যারা আগুনের হাত থেকে বাচতে বেরিয়ে আসে, তাদের রাস্তার উপরেই জবাই করে মারা হয়। এভাবে বাড়িঘরে ঢুকে এবং অলিগলিতে ধাওয়া করে নির্বিচার গণহত্যা চলার সময় যারা কোনভাবে কল্যাণপুরের ভেতর থেকে পালিয়ে মিরপুর রোডে এসে পৌঁছাচ্ছিল, তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল আরেক বিভিষিকা।

পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বিহারীরা কল্যাণপুরে হামলা চালালে মিরপুর রোডে অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উৎসাহ দিচ্ছিল। বিহারীদের গণহত্যা এড়িয়ে যারা মিরপুর রোডে উঠে এসেছিল তাদের পাকিস্তানী সেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে ট্রাকে তুলছিল। এভাবে সেদিন শত শত তরুণ-যুবককে ট্রাকে তুলে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানীরা। একপর্যায়ে আক্তার গুন্ডা তার বাহিনী নিয়ে মনোযোগ দেয় কল্যাণপুর বাঁসস্ট্যান্ড ও মেইনরোডে। একটা ইপিআরটিসি ( বর্তমান বিআরটিসি) বাস ও প্রাইভেটকার আটক করে আক্তার গুন্ডা, সেখান থেকে যাত্রীদের টেনে হিঁচড়ে বের করে উন্মত্ত আক্রোশে জবাই করে বেশ কয়েকজনের ছিন্নভিন্ন করে ফেলে দেয়া হয় ব্রিজের নীচে খালে।

কল্যাণপুর গণহত্যার মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগ, ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মীদের এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের খুঁজে বের করে মেরে ফেলা। বিশেষত তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ শেখ হায়দার আলীকে তারা তন্নতন্ন করে খুঁজেও পায়নি, ম্যানহোলের ভেতরে লুকিয়ে থেকে বেঁচে যান তিনি, পরবর্তীতে ,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শেখ হায়দার আলী বেঁচে গেলেও ধরা পড়ে যান এসিআই কর্মকর্তা সিরাজুল হক চৌধুরী। তিনি কল্যাণপুরের স্থানীয় যুবক ও ইপিআরটিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের একত্র করে সংগঠিত ও প্রশিক্ষিত করছিলেন। অস্ত্র চালাতে জানার কারণে ট্রেনিং-এর জন্য দুটো থ্রি নট থ্রি রাইফেলও যোগাড় করেছিলেন, প্রতিদিন বিকালে তিনি সবাইকে অস্ত্র চালনার ট্রেনিং দিতেন। তাকে বিহারীরা নিজবাড়িতে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করে।

কল্যাণপুর গণহত্যা দিবস হিসেবে পরিচিত হলেও এর বিস্তৃতি ছিল কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, পাইকপাড়া, পীরেরবাগ, আহম্মদনগর, শ্যামলী, টেকনিক্যাল, গাবতলী ও গৈদ্দারটেক পর্যন্ত। বিহারী অধ্যুষিত মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের মধ্যবর্তী এই এলাকাগুলো ছিল বাঙালিপাড়া, সেদিন বিহারীরা এই সবগুলো এলাকাতেই বাঙ্গালীদের খুঁজে খুঁজে মেরেছিল, তাড়িয়ে কল্যাণপুরে এনে মেরেছিল। কল্যাণপুর গণহত্যার সেইদিনে ঠিক কতজন নিরীহ নিরস্ত্র নিরপরাধ বাঙ্গালীকে কাদের মোল্লার পরিকল্পনা ও আক্তার গুন্ডার নেতৃত্বে বিহারী-রাজাকার-পাকিস্তানী সেনারা হত্যা করেছিল তা আজো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র_

১। কল্যাণপুর গণহত্যা/আলী আকবর টাবী
১৯৭১ গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট
২। একাত্তরে মিরপুর: সেখ ইসমাইল হোসেন

লেখক: একটিভিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

ফিচার বীভৎস কল্যাণপুর: গণহত্যার পূর্বাপর মুক্তিযুদ্ধ রহমান রা'আদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর