Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাঁদপুর মুক্ত হয়েছিল যেদিন

ফিচার ডেস্ক
৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২০

৮ ডিসেম্বর (শনিবার) চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁদপুর পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল। চাঁদপুর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম চাঁদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে পাক হানাদার বাহিনী দুটি বিমান থেকে সেলিং এর মাধ্যমে প্রথম আক্রমণ করে। প্রথম দিনেই হামলায় চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারের একজন নারী পথচারী নিহত হন। পরদিন ৮ এপ্রিল বিকালে প্রায় পাঁচশ পাকসেনা বোঝাই একটি বহর চাঁদপুর পৌঁছায়।

বিজ্ঞাপন

শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে তারা। এ স্কুলের মাঠ থেকে লতুফা বেগম নামের এক বৃদ্ধা গরু-ছাগল বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পাকবাহিনীর সদস্যরা প্রথম অপারেশন হিসেবে ওই বৃদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করে এবং বৃদ্ধার একটি গরু ও একটি ছাগল নিয়ে তারা রাতের খাবার খান। আর পাক সেনাদের অফিসারদের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসটি নির্ধারণ করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে চাঁদপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০১৩ সালে বড় স্টেশনের বধ্যভূমিতে নির্মাণ করা হয় ‘রক্তধারা’। এর আগে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুশীল, সংকর ও খালেকের নামে ট্রাক রোডে নির্মাণ করা হয় ‘মুক্তিসৌধ’ এবং চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে লেকের ওপর ভাসমান মুক্তি স্মৃতিসৌধ ‘অঙ্গীকার’ নির্মাণ করা হয়। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা সম্বলিত একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুর পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় ‘শপথ চত্বর’।

বিজ্ঞাপন

চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ বলেন, ‘চাঁদপুর মুক্ত হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করতে আমরা প্রতিবছরই কর্মসূচি পালন করে থাকি। এবারও দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, চাঁদপুর জেলায় গেজেটভুক্ত প্রায় চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া গেজেটের বাইরে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার মুক্তিযোদ্ধা।

সারাবাংলা/এসবিডিই

চাঁদপুর মুক্ত হয়েছিল যেদিন ফিচার মুক্তিযুদ্ধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর